জোড় মন্দির, রংপুর

রংপুর অষ্টাদশ শতকের একটি মন্দির, রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলার বড়বিল ইউনিয়ন এর ঐতিহ্যবাহী মন্

জোড় মন্দির, রংপুর অষ্টাদশ শতকের একটি মন্দির, রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলার বড়বিল ইউনিয়ন এর ঐতিহ্যবাহী মন্দিরটি অষ্টাদশ শতকে স্থাপিত হিসেবে পরিচিত।[১][২]

জোড় মন্দির, রংপুর
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দু
অবস্থান
অবস্থানরংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলার বড়বিল ইউনিয়ন
স্থাপত্য
ধরনমন্দির
স্থাপত্য শৈলীনবরত্ন মন্দির
সম্পূর্ণ হয়অষ্টাদশ শতক

অবস্থান সম্পাদনা

মন্দিরটি রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলার বড়বিল ইউনিয়ন এর ঠাকুরদহ নামক স্থানে অবস্থিত। ঠাকুরদহ বাজার থেকে মাত্র ৫ মিনিট পশ্চিম দিকে পায়ে হাঁটলে এই মন্দিরটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়।[১]

বর্ণনা সম্পাদনা

স্থানীয় হিন্দুদের ভাষ্যমতে মন্দিরটির সামনে দু’টি দোতলা বিশিষ্ট চূড়া ছিল। তারপর পর্যায়ক্রমে আরও ৪টি ছোট চূড়া ছিল। দরজার সামনে দু’পাশে দু’টি সিংহের মূর্তি ছিল। মন্দিরের এখন একটি চূড়া জীর্ণ অবস্থায় আছে। মন্দিরগাত্রে এখনও পোড়া মাটির বিভিন্ন চিত্র দেখতে পাওয়া যায়। মন্দিরটির গঠন ও ইটগুলো দেখে মনে হয় এটা অষ্টাদশ শতকের সময় বা তারও পূর্বে নির্মিত নবরত্ন মন্দির। এই মন্দিরটির পাশে শেখ কুয়া নামক একটি কুয়া ছিল; যাতে মহামূল্যবান কষ্টিপাথরের কয়েকটি মূর্তি আছে। যার দু’টি উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিয়ে গেছেন। দু’টি চূড়ার মাঝখানে দান করার জন্য একটি লোহার সিন্দুক ছিল; যা আস্তে আস্তে মাটির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয় হিন্দুরা বিশ্বাস করেন। এই মন্দিরটির ঠিক দক্ষিণ দিকে একই সময়ে নির্মিত ৩ তলা বিশিষ্ট একটি মঠও ছিল।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. আলম, মাহমুদুল (২০১৩)। গংগাচড়া উপজেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য। রংপুর: লেখক সংসদ, রংপুর। পৃষ্ঠা ৮৫। আইএসবিএন 9789848923450 
  2. "ইউনিয়নের মন্দির সমূহ - বড়বিল ইউনিয়ন"borobilup.rangpur.gov.bd। ১০ জুলাই ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০২১