জামিয়া আল-হুদা

ইংল্যান্ডের নটিংহ্যামের বোর্ডিং স্কুল

জামিয়া আল-হুদা (আরবি: جامعة الهدی) হলো ইংল্যান্ডের নটিংহ্যামের ম্যাপারলি পার্কে অবস্থিত মেয়েদের জন্য একটি ইসলামিক দারুল উলুম বোর্ডিং স্কুল[১] আবুল হাসান আলী হাসানী নদভী ১৯৯৬ সালের ১৭ আগস্ট স্কুলটি চালু করেন।[২] এটি ব্রিটিশ মিডল্যান্ডসের মেয়েদের জন্য প্রথম ইসলামিক বোর্ডিং স্কুলের একটি।[৩] এটি তার আদর্শ হিসেবে ইসলামের দেওবন্দি রূপকে ব্যবহার করে।[৪]

জামিয়া আল-হুদা
ঠিকানা
মানচিত্র
বাগান বাড়ি
বার্কলে অ্যাভিনিউ


,
এনজি৩ ৫টিটি

তথ্য
ধরনস্কুল
ধর্মীয় অন্তর্ভুক্তিইসলাম
প্রতিষ্ঠাকাল১৭ আগস্ট ১৯৯৬
শিক্ষা বিভাগ ইউআরএন১৩১১১৯ ছক
লিঙ্গমেয়ে
বয়স১১ ১৯ পর্যন্ত
ওয়েবসাইটwww.jamiaalhudaa.com

এর ক্যাম্পাস প্রায় ৭৫,০০০ বর্গফুট (৭,০০০ মি) জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। পূর্বে এটি নটিংহ্যাম স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় ছিল।[১] স্কুলটি ১০-১৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য, তবে ১১ বছরের পরের বয়সীদের জন্য একটি বোর্ডিং প্রোগ্রাম রয়েছে। ১১+ শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ৭ বছরের পূর্ণ-সময়ের কোর্স রয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা ইসলামি অধ্যয়নের পাশাপাশি জাতীয় পাঠ্যক্রম অধ্যয়ন করে এবং তাদের কোর্সের শেষ দুই বছরে, তারা শুধুমাত্র ইসলামি অধ্যয়নের উপর গুরুত্বারোপ করে।[২] এছাড়াও ১৬+ শিক্ষার্থীদের জন্য একটি কোর্স রয়েছে, যা ৩ বছর মেয়াদী ইসলামি অধ্যয়ন কোর্স নামে পরিচিত।[২] শিক্ষার্থীরা স্থানীয়ভাবে বসবাস করলে প্রতিদিন ক্লাসে উপস্থিত থাকতে পারে।

ইতিহাস সম্পাদনা

অফস্টেড ২০১০ সালে স্কুলটিকে একটি সাধারণ পরিদর্শন এবং ২০১১ সালে একটি কল্যাণ পরিদর্শন করেছে এবং উভয় ক্ষেত্রেই এটি "ভাল" মর্যাদায় রয়েছে৷

২০১৪ সালে, প্রাক্তন শিক্ষার্থী আলিয়া সেলিম ২০০৬ সালে তাকে স্কুল থেকে বহিষ্কৃত করায় পাঠ্যক্রমটিকে চরমপন্থী বলে স্কুলের সমালোচনা করেছে।[৪]

এছাড়া ২০১৬ সালে অফস্টেড বলেছিল যে, স্কুলে গুন্ডামি, ছাত্রদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থতা, কর্মীদের দুর্বল প্রশিক্ষণ এবং অপ্রতুলতার কারণে এটিকে তার বোর্ডিং প্রোগ্রাম বন্ধ করতে হবে। দ্য টাইমসও একই জিনিস লেখার ফলে স্কুলটি কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়। ঐ বছরের ১৮ অক্টোবর, স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদেরকে তাদের সন্তানদের ক্যাম্পাস থেকে সরিয়ে নিতে বলে।[৪]

শিক্ষার্থী সম্পাদনা

২০১৫-এর হিসাব অনুযায়ী, স্কুলে ১৭১ জন বোর্ডিং শিক্ষার্থীসহ মোট ২৪৩ জন শিক্ষার্থী ছিল; যা ক্যাম্পাসে বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের প্রায় ৮৫%।

ফলাফল সম্পাদনা

২০১৬-এর হিসাব অনুযায়ী, স্কুলটির ২৫% শিক্ষার্থী সাধারণ মাধ্যমিক শিক্ষার সার্টিফিকেটে (জি.সি.এস.ই) এ*–সি র‍্যাঙ্কে পাঁচটি গ্রেড পেয়েছে। তারা বিজ্ঞান, গণিত এবং উর্দুতে খুব ভালো, যদিও ৮৯% শিক্ষার্থী ৩ বিষয়ে ৯–১ বা এ*–সি পেয়েছে।[৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Students Facilities | Jamia Al-Hudaa"www.jamiaalhudaa.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-০২ 
  2. "Jamia Al-Hudaa in Nottingham"www.jamiaalhudaa.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-০২ 
  3. "Prospectus ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৮ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে." Jamia Al-Hudaa. সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-১২
  4. "Islamist girls' school 'taught gay people should be killed and men could beat wives'"The Independent (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-১০-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-০২ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা