জাপান সাম্রাজ্যের অধিকৃত অঞ্চলের তালিকা

উইকিমিডিয়ার তালিকা নিবন্ধ

জাপান সাম্রাজ্যের অধিকৃত অঞ্চলগুলো হচ্ছে জাপানের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে এশিয়ায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির বছর ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত জাপান সাম্রাজ্য দ্বারা দখলকৃত বা জাপানের সাথে একীভূত অঞ্চলসমূহ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং সান ফ্রান্সিসকো চুক্তির পরে জাপানের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণে জাপানের বেশিরভাগ মূল ভূখণ্ড (হোক্কাইডো, হোনশু, কিউশু, শিকোকু এবং প্রায় ৬,০০০টি ছোট আশেপাশের দ্বীপ) ছাড়া সমস্ত অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ত্যাগ করতে হয় জাপানকে। ১৯৪৫ সালের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দখলকৃত বেশ কয়েকটি অঞ্চল জাপানে ফিরিয়ে দেওয়া হলেও এখনও জাপান ও রাশিয়ার মধ্যে বেশ কয়েকটি বিতর্কিত অঞ্চল রয়েছে, যেমন কুরিল দ্বীপপুঞ্জ বিরোধ। এছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়াউত্তর কোরিয়ার সঙ্গে লিয়ানকোর্ট রকস বিরোধ এবং গণচীনতাইওয়ানের সঙ্গে সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জ বিরোধ

বৃহত্তর পূর্ব এশিয়া সহ-সমৃদ্ধি বলয়ের সদস্য; সর্বোচ্চ বিস্তারের সময় জাপানের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল। গাঢ় লালে জাপান এবং তার মিত্ররা; থাইল্যান্ড ও আজাদ হিন্দ। অধিকৃত অঞ্চল/ক্লায়েন্ট রাজ্যগুলি হালকা লাল রঙে। কোরিয়া, তাইওয়ান এবং কারাফুটো (দক্ষিণ সাখালিন) ছিল জাপানের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
জাপানি সাম্রাজ্যের সর্বোচ্চ সীমা

প্রাক-১৯৪৫ সম্পাদনা

উপনিবেশ সম্পাদনা

  • তাইওয়ান এবং পেংহু দ্বীপপুঞ্জ – ১৮৯৫–১৯৪৫
  • কারাফুটো – ১৯০৫–১৯৪৩
  • কান্তো – ১৯০৫–১৯৪৫
  • চোসেন – ১৯১০–১৯৪৫
  • কিয়াউৎসচৌ বে লিজড অঞ্চল - ১৯১৪–১৯২২
  • নান'ইয়ো ১৯১৯-১৯৪৫

দখলকৃত অঞ্চল সম্পাদনা

  • চিতা শহরের পূর্বের রাশিয়ার প্রিমোরস্কি ক্রাই এবং সাইবেরিয়া অঞ্চলের সকল বন্দর এবং প্রধান শহরগুলি ১৯১৮ সাল থেকে জাপানের দখলে ছিল। ১৯২২ সাল পর্যন্ত ধীরে ধীরে দখন প্রত্যাহার করা হয়।[১]
  • উত্তর সাখালিন জাপান ১৯২০-১৯২৫ মধ্যবর্তী সময়ে জাপানের দখলে ছিল।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পাদনা

এলাকা জাপানি নাম

তারিখ

জনসংখ্যা আনুমানিক। (১৯৪৩) মন্তব্য
দক্ষিণ সাখালিন কারাফুটো প্রিফেকচার (樺太庁) ১৯০৫-১৯৪৩ ৪০৬,০০০ ১৯৪৩ সালে নাইচি মর্যাদায় উন্নীত।
চীনের মূল ভূখণ্ড চুগোকু তাইরিকু (中国大陸) ১৯৩১-১৯৪৫ ২০০,০০০,০০০ (আনুমানিক) মানচুকুও ৫০ মিলিয়ন (১৯৪০), রেহে, কোয়ান্টুং লিজড অঞ্চল, জিয়াংসু, সাংহাই, শানডং, হেবেই, বেইজিং, তিয়ানজিন, প্লাস এর কিছু অংশ: গুয়াংডং, গুয়াংজি, হুবেই, হুনান, ফুজিয়ান, গুইঝো, অভ্যন্তরীণ মঙ্গোলিয়া
জাপান যথাযথ নাইচি (内地) ১৮৬৮-১৯৪৫ ৭৬,২০০,০০০ বর্তমান জাপান, দক্ষিণ সাখালিন (১৯৪৩ সালের পরে), এবং কুরিল দ্বীপপুঞ্জ
কোরিয়া চোসেন (朝鮮) ১৯১০-১৯৪৫ ২৫,৫০০,০০০
তাইওয়ান তাইওয়ান (臺灣) ১৮৯৫-১৯৪৫ ৬,৫৮৬,০০০
হংকং হন কন (香港) ১২ ডিসেম্বর, ১৯৪১ - আগস্ট ১৫, ১৯৪৫ ১,৪০০,০০০ হংকং (ইউকে)
:: পূর্ব এশিয়া (মোট) হিগাশি আজিয়া (東アジア) ৩১০,০৯২,০০০
ভিয়েতনাম আন্নান (安南) ১৫ জুলাই, ১৯৪০ – ২৯ আগস্ট, ১৯৪৫ ২২,১২২,০০০ ফ্রেঞ্চ ইন্দোচিনা (এফআর) হিসাবে
কম্বোডিয়া কানবোজিয়া (カンボジア) ১৫ জুলাই, ১৯৪০ – ২৯ আগস্ট, ১৯৪৫ ৩,১০০,০০০ ফরাসি ইন্দোচীন হিসাবে, কম্বোডিয়ার জাপানি দখল
লাওস রাওসু (ラオス) ১৫ জুলাই, ১৯৪০ – ২৯ আগস্ট, ১৯৪৫ ১,৪০০,০০০ ফরাসি ইন্দোচীন হিসাবে, লাওসের জাপানি দখল
থাইল্যান্ড তাই (タイ) ৮ ডিসেম্বর, ১৯৪১ - আগস্ট ১৫, ১৯৪৫ ১৬,২১৬,০০০ স্বাধীন রাষ্ট্র কিন্তু জাপানের সাথে মিত্র
মালয়েশিয়া মারায়া (マラヤ), কিতা বোরুনিও (北ボルネオ), মারাই (マライ) ২৭ মার্চ, ১৯৪২ - ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫ (মালয়), ২৯ মার্চ, ১৯৪২ - ৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫ (সারওয়াক, ব্রুনেই, লাবুয়ান, উত্তর বোর্নিও) ৪,৯৩৮,০০০ প্লাস ৩৯,০০০ (ব্রুনাই) মালয়া (ইউকে), ব্রিটিশ বোর্নিও (ইউকে), ব্রুনাই (ইউকে)
ফিলিপাইন ফিরিপিন (フィリピン) ৮ মে, ১৯৪২ - ৫ জুলাই, ১৯৪৫ ১৭,৪১৯,০০০ ফিলিপাইন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)
ডাচ ইস্ট ইন্ডিজ হিগাশি ইন্দো (東印度) ১৮ জানুয়ারি, ১৯৪২ - ২১ অক্টোবর, ১৯৪৫ ৭২,১৪৬,০০০ ডাচ ইস্ট ইন্ডিজ (NL)
সিঙ্গাপুর সিওনান-তো (昭南島) ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪২ - ৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫ ৭৯৫,০০০ সিঙ্গাপুর (ইউকে)
বার্মা (মিয়ানমার) বিরুমা (ビルマ) ১৯৪২-১৯৪৫ ১৬,৮০০,০০০ বার্মা (ইউকে)
পূর্ব তিমুর হিগাশি চিমোরু (東チモール) ফেব্রুয়ারি ১৯, ১৯৪২ - ২ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫ ৪৫০,০০০ পর্তুগিজ তিমুর (PT)
:: দক্ষিণপূর্ব এশিয়া (মোট) তোনান আজিয়া (東南アジア) ১৫৫,৪৫২,০০০
নিউ গিনি নিউ জিনিয়া (ニューギニア) ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৪১ - ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫ ১,৪০০,০০০ পাপুয়া এবং নিউ গিনি (AU) হিসাবে
গুয়াম ওমিয়া-তো (大宮島) ৬ জানুয়ারি, ১৯৪২ - অক্টোবর ২৪, ১৯৪৫ গুয়াম (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) থেকে
দক্ষিণ সাগর ম্যান্ডেট নানয়ো গুন্টো (南洋群島) ১৯১৯-১৯৪৫ ১২৯,০০০ থেকে জার্মান সাম্রাজ্য
নাউরু নাউরু (ナウル) আগস্ট ২৬, ১৯৪২ - ১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫ ৩,০০০ যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড থেকে দখলকৃত
ওয়েক আইল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তোরি-শিমা, -জিমা (大鳥島) ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৪১ - ৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫ শূন্য ইউএস
কিরিবাতি কিরিবাসু (キリバス) ১৯৪১ সালের ডিসেম্বর - ২২ জানুয়ারি, ১৯৪৪ ২৮,০০০ গিলবার্ট দ্বীপপুঞ্জ (যুক্তরাজ্য) থেকে
:: প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ (মোট) ১,৪৩৩,০০০
:: সর্বমোট জনসংখ্যা ৪৬৫,৫৪৪,০০০

দাবিত্যাগ: সমস্ত এলাকাকে ইম্পেরিয়াল জাপানের অংশ হিসাবে বিবেচনা করা হয়নি বরং পুতুল রাষ্ট্র এবং প্রভাবের ক্ষেত্র, মিত্রদের অংশ, জনসংখ্যাগত উদ্দেশ্যে আলাদাভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সূত্র: POPULSTAT এশিয়া [২] ওশেনিয়া [৩]

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অন্যান্য অধিকৃত দ্বীপ:

  • আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ (ভারত) - ২৯ মার্চ, ১৯৪২ - ৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫
  • ক্রিসমাস দ্বীপ (অস্ট্রেলিয়া) - মার্চ ১৯৪২ - অক্টোবর ১৯৪৫
  • আট্টু এবং কিসকা (আলাস্কা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) - ৩ জুন, ১৯৪২ - ১৫ আগস্ট, ১৯৪৩

আক্রমণ করা হলেও জয় করা সম্ভব হয়নি সম্পাদনা

  • কোহিমামণিপুর (ভারত)
  • ডরনোড (খালখিন গোল, মঙ্গোলিয়া)
  • মিডওয়ে অ্যাটল (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)

দখলের তাৎক্ষণিক উদ্দেশ্য ছাড়াই অভিযান চালানো হয় সম্পাদনা

  • বিমান হামলা
    • পার্ল হারবার (হাওয়াই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)
    • কলম্বো এবং ত্রিনকোমালি (শ্রীলঙ্কা)
    • কলকাতা (ভারত)
    • চট্টগ্রাম (বাংলাদেশ)
    • অস্ট্রেলিয়ায় বিমান হামলা, সহ:
      • ব্রুম (ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া)
      • ডারউইন (উত্তর অঞ্চল, অস্ট্রেলিয়া)
      • টাউনসভিল (কুইন্সল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া)
    • ডাচ হারবার (আলাস্কা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)
    • লুকআউট এয়ার রেইড (ওরেগন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)
  • সাবমেরিন দ্বারা নৌ বোমাবর্ষণ
    • ব্রিটিশ কলাম্বিয়া (কানাডা)
    • এলউড (সান্তা বারবারা, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)
    • ফোর্ট স্টিভেনস (ওরেগন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)
    • নিউক্যাসল (নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া)
    • গ্রেগরি (ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া)
  • মিডজেট সাবমেরিন আক্রমণ
    • সিডনি (নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া)
    • দিয়েগো সুয়ারেজ (মাদাগাস্কার)

আরও দেখুন সম্পাদনা

  • জাপানি ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য
  • বৃহত্তর পূর্ব এশিয়া সহ-সমৃদ্ধি বলয়
  • তানাকা মেমোরিয়াল
  • জাপানি সাম্রাজ্যে ইহুদি বসতি
  • জাপানের সাথে জড়িত যুদ্ধের তালিকা
  • সাঙ্গোকুজিন - 'তৃতীয় দেশের ব্যক্তি'

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Leonard A. Humphreys (১৯৯৫)। 'The Way of the Heavenly Sword: The Japanese Army in the 1920s। Stanford University Press। পৃষ্ঠা 26। 
  2. http://www.populstat.info/Asia/asia.html ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০২০-০২-২৩ তারিখে Populstat ASIA
  3. http://www.populstat.info/Oceania/oceania.html ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০২০-০২-২৫ তারিখে Populstat OCEANIA