চেনচুরা হল একটি দ্রাবিড় উপজাতি। তারা ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং ওড়িশা রাজ্যের একটি চিহ্নিত তফসিলি উপজাতি[১] তারা এমন একটি আদিম উপজাতি যাদের ঐতিহ্যগত জীবনধারা শিকার এবং সংগ্রহের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল। চেনচু জাতির মানুষেরা চেনচু ভাষায় কথা বলে, এই ভাষাটি দ্রাবিড় ভাষা পরিবারের সদস্য। সাধারণভাবে, অ-উপজাতীয় লোকেদের সাথে চেনচু মানুষের সম্পর্কটি মূলত মিথোজীবীর (দুই বা ততোধিক ভিন্ন ভিন্ন জীবের মধ্যে বসবাস করা বা একটি ঘনিষ্ঠ আদান প্রদানের সম্পর্ক দ্বারা চিহ্নিত) ছিল। কিছু চেনচু মানুষ বিশেষভাবে বনজ পণ্য সংগ্রহ করে অ-উপজাতীয় মানুষদের কাছে বিক্রির করত এবং এটি তারা এখনও অব্যাহত রেখেছে। তেলেঙ্গানার বিরল এবং পর্ণমোচী নাল্লামালা অরণ্যে অনেক চেনচু মানুষ বাস করে।

চেনচু
শিকাররত চেনচু মানুষ নাল্লামালা অরণ্য, তেলেঙ্গানা
মোট জনসংখ্যা
৬৫,০০০
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল
অন্ধ্র প্রদেশ, তেলেঙ্গানা
ভাষা
চেনচু ভাষা
ধর্ম
হিন্দুধর্ম
সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠী

চেনচু মানুষেরা আদিম উপজাতি গোষ্ঠীগুলির মধ্যে একটি হিসাবে উল্লেখিত হয়। তারা এখনও অরণ্যের উপর নির্ভরশীল। তারা জমি চাষ করে না কিন্তু জীবিকা নির্বাহের জন্য শিকার করে। তাদের মধ্যে বসবাসকারী অ-উপজাতি লোকেরা চেনচুদের থেকে জমি ভাড়া নেয় এবং ফসলের একটি অংশ দিয়ে পরিশোধ করে। অন্যান্য লোকেরাও চেনচুদের সহায়তায় তাদের মধ্যে বসতি স্থাপন করেছিল এবং তাদের কাছ থেকে কৃষিকাজ শিখেছিল। এছাড়াও যেসব যাযাবর বানজারা পশুপালক জঙ্গলে তাদের গবাদি পশু চরাতে নিয়ে যায়, তাদেরও সেখানে জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। সরকারী প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল যাতে চেনচু মানুষেরা তাদের নিজেদের কৃষিকাজ করতে প্ররোচিত হয়। কিন্তু তারা সরকারের প্রচেষ্টায় সাড়া দেয়নি।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  • ফুয়েরার-হাইমেনডরফ, খ্রিস্টফ ভন (১৯৪৩) দ্য চেনচুস: এ জাঙ্গল ফক অফ দ্য দ্য ডেকান । লন্ডন: ম্যাকমিলান অ্যান্ড কোং।
  • বেতাগেরি, প্রহ্লাদ (১৯৯৩) আদাবিচেঞ্চার সংস্কৃতি । ব্যাঙ্গালোর: কর্ণাটক সাহিত্য একাডেমী। (কন্নড় ভাষায়)

পাদটীকা সম্পাদনা

  1. "List of notified Scheduled Tribes" (পিডিএফ)। Census India। ৭ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

টেমপ্লেট:ভারতের তফসিলি উপজাতি