ঘামাচি এক ধরনের চর্মরোগ। দেহের ঘর্মগ্রন্থিগুলোর মুখ যখন ময়লা ও ব্যাকটেরিয়ার জন্য আটকে যায়, তখন ঘাম বের হতে না পেরে সেখানে আটকে গিয়ে ঘামাচি হয়। এর সাথে যুক্ত হয় চুলকানি বা নানা রকম সংক্রমণ।

ঘামাচি
বিশেষত্বfamily medicine উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

কার্যকারণ এবং লক্ষন সম্পাদনা

ত্বকের মৃত কোষ এবং স্টেফ এপিডারমাইডিস নামের জীবাণু ত্বকের লোমকূপের সঙ্গে লুকিয়ে থাকা ঘামগ্রন্থির মুখ বন্ধ করে দেয়। উষ্ণ আবহাওয়ায় প্রতিনিয়ত শরীরে ঘাম তৈরি হতে থাকে। কিন্তু ঘামগ্রন্থির মুখ বন্ধ থাকায় সেই ঘাম বের হতে পারে না। তাই লাল ফুসকুড়ি বা দানার আকারে যা ফুলে ওঠে, তাই হলো ঘামাচি। চুলকানি ও লাল দানার পাশাপাশি এগুলো অনেক সময় জ্বালা করে এবং ত্বকও লাল হয়ে যায়।[১]

আক্রান্তের স্থান সম্পাদনা

বড়দের ক্ষেত্রে ত্বকের যেসব জায়গায় ভাঁজ পড়ে এবং কাপড়ের ঘষা লাগে সেসব স্থানে ঘামাচি হয়। ছোটদের ঘাড়ে, কাঁধে, বুকে, বগলে, কনুইয়ের ভাঁজে এবং কুঁচকিতে ঘামাচি হয়।

ক্ষতির প্রকৃতি সম্পাদনা

ঘামাচির ফলে অনেক সময় জীবাণুর সংক্রমণ হয়, ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি হয় এবং চুলকায়। অতিরিক্ত গরমে ঘর্ম গ্রন্থি বন্ধ হয়ে শরীরকে পরিশ্রান্ত করে তোলে। এর ফলে নিম্ন রক্তচাপ, অবসাদ, বমি বমি ভাব, মাথা ব্যথা হয় এবং নাড়ীর স্পন্দন দ্রুত হয়। এর ফলে হিটস্ট্রোকও হতে পারে।[২]

আরো দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. DL, Kasper; E, Braunwald; AS, Fauci; SL, Hauser (২০০৫)। Harrison's Principles of Internal Medicine। New York: McGraw-Hill। আইএসবিএন 0-07-139140-1 
  2. সাঈদ, ডা. আবু (এপ্রিল ১৬, ২০১৬)। "শিশুর ঘামাচি: কী করবেন"প্রথম আলো। ঢাকা, বাংলাদেশ: মতিউর রহমান। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৪-১৬