মহারাজ গোবিন্দমাণিক্য সপ্তদশ শতাব্দীর শেষভাগে ভারতে ত্রিপুরার রাজা ছিলেন। ইনি ছিলেন রাজা কল্যাণমাণিক্যের পুত্র; ভাই নক্ষত্ররায় সিংহাসনলোভী হওয়ায় তাঁকে সিংহাসন ছেড়ে দেন। এই রাজার সময়ে ত্রিপুরা মুঘল সাম্রাজ্যের করদ রাজ্যে পরিণত হয়, কর ছিল বছরে পাঁচটা হাতি। একমাত্র এই কর ছাড়া ত্রিপুরার স্বাধীনতা তখন ক্ষুণ্ণ হয় নি। [১] দীনেশচন্দ্র সরকার এর মতে, বঙ্গাব্দ ত্রিপুরায় চালু করেন রাজা গোবিন্দমাণিক্য; সেটিকে তিন বছর পিছিয়ে ত্রিপুরাব্দের সূচনা করেন তাঁর ভাই ছত্রমাণিক্য। এর আগে ত্রিপুরায় শকাব্দ ব্যবহৃত হত। [২] গোবিন্দমাণিক্যকে কেন্দ্র করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 'রাজর্ষি' ও 'বিসর্জন' লেখেন।

গোবিন্দমাণিক্য
ত্রিপুরা রাজ্যের রাজা
রাজত্ব১৬৬০-১৬৮৩
পূর্বসূরিকল্যাণমাণিক্য
উত্তরসূরিরামদেবমাণিক্য
মৃত্যু১৬৮৩
রাজবংশমাণিক্য রাজবংশ
পিতাকল্যাণমাণিক্য

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Rajmala and the Historical Writings in Tripura, জে. বি. ভট্টাচার্য, ২০১৩
  2. Some Epigraphical Records of the Medieval Period from Eastern India, দীনেশচন্দ্র সরকার, ১৯৭৯, পৃঃ৯৩