গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত

বাংলাদেশের সমুদ্র সৈকত
(গুলিয়াখালি সমুদ্র সৈকত থেকে পুনর্নির্দেশিত)

গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় নদীর মোহনায় অবস্থিত। এটি মুরাদপুর সৈকত নামেও পরিচিত।[১] সমুদ্রসৈকতটিকে পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করেছে সরকার। উপকূলীয় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ২৫৯ দশমিক ১০ একর জায়গা এই ঘোষণার আওতায় থাকবে।[২]

গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত
সৈকত
গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতের স্কাইলাইন
স্থানাঙ্ক: ২২°৩৬′৪০.০৯″ উত্তর ৯১°৩৭′৩২.০৫″ পূর্ব / ২২.৬১১১৩৬১° উত্তর ৯১.৬২৫৫৬৯৪° পূর্ব / 22.6111361; 91.6255694
দেশবাংলাদেশ বাংলাদেশ
বিভাগচট্টগ্রাম
উপজেলাসীতাকুণ্ড
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)

ইতিহাস সম্পাদনা

সৈকতটি সম্পর্কে ধারণা কম থাকায় পূর্বে এখানে মানুষের সমাগম কম হতো। ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) কিছু ছাত্র ঘুরে তার ছবি ফেসবুক, ইউটিউবে আপলোড করেন। এরপরই সৈকতটির ব্যাপারে সবাই জানতে পারেন। বর্তমানে এখানে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়।[৩]

অবস্থান সম্পাদনা

গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত এটি সীতাকুণ্ডের সীতাকুণ্ড বাজার থেকে ৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত।

প্রাকৃতিক নৈসর্গ সম্পাদনা

প্রকৃতি ও গঠনগত দিক থেকে এটি অন্যান্য সমুদ্র সৈকত থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। সৈকতের পশ্চিমে দিগন্ত জোড়া জলরাশি, পূর্ব দিকে তাকালে দেখা মেলে পাহাড়ের। এলাকায় কেওড়া বন রয়েছে। কেওড়া বনের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের চারদিকে কেওড়া গাছের শ্বাসমূল দেখা যায়। এই বন সমুদ্রের অনেকটা গভীর পর্যন্ত চলে গেছে। এর পরিবেশ সোয়াম্প ফরেস্ট ও ম্যানগ্রোভ বনের মত। সৈকত জুড়ে সবুজ গালিচার বিস্তীর্ণ ঘাস একে অন্যান্য সমুদ্র সৈকত থেকে করেছে অন্যন্য। এই সবুজের মাঝ দিয়েে এঁকে বেঁকে গেছে সরু নালা। নালাগুলো জোয়ারের সময় পানিতে ভরে উঠে। পাখি, ঢেউ আর বাতাসের মিতালীর অনন্য অবস্থান দেখা যায় এই সমুদ্র সৈকতে। সৈকতের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে চন্দ্রনাথ পাহাড়মন্দির, বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্কের সহস্রধারাসুপ্তধারা নামের দুটি ঝরনা।[২]

পর্যটন কেন্দ্র সম্পাদনা

প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতকে পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। সৈকতটি এতদিন সরকারি ভাবে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি লাভ না করলেও সেখানে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়ে থাকে। যা স্থানীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। আগে সৈকতে বোট ভাড়া/গাড়ি পার্কিং এর কোন সু-ব্যবস্থা ছিল না। সাম্প্রতিক সময়ে কর্তৃপক্ষ তা বেঁধে দিয়েছেন। তবে ট্যুরিস্ট পুলিশ না থাকায় রাতে সৈকতটি নিরাপদ নয়।[৩]

চিত্রশালা সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "যেন বিন্দু বিন্দু দ্বীপ"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-০৭ 
  2. "সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সৈকতকে পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা"। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১১ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "এ যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা"। প্রথম আলো। ১৩ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০২০