গুরুদাসপুর পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়

বাংলাদেশী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

গুরুদাসপুর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় হলো বাংলাদেশের নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলায় অবস্থিত একটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এটি নাটোর জেলার একটি উল্লেখযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি ১৯১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ।

গুরুদাসপুর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়
অবস্থান

,
তথ্য
ধরনমাধ্যমিক বিদ্যালয়
বিদ্যালয় বোর্ডমাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী
বিদ্যালয় জেলানাটোর
বিদ্যালয় কোড১২৩৯৮৪
প্রধান শিক্ষকমো: জাহাঙ্গীর আলম
লিঙ্গসহশিক্ষা
শিক্ষার্থীর সংখ্যা১৫০০+
ভাষাবাংলা
ক্যাম্পাসগ্রামীণ

অবস্থান সম্পাদনা

গুরুদাসপুর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা সদরে অবস্থিত। বিদ্যালয়ের অবস্থান ২৪°২২′৫″ উত্তর ৮৯°১৪′৫১″ পূর্ব থেকে ২৪.৩৬৮০৬° উত্তর ৮৯.২৪৭৫০° পূর্ব।

ইতিহাস সম্পাদনা

১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন নাটোর মহকুমার কয়েকজন ব্যক্তির উদ্যোগে গুরুদাসপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তিতে এটি মডেল প্রকল্পের ২০১৮ সালের ২৬শে জানুয়ারি বিদ্যালয়টির ১০০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন করা হয়।

অবকাঠামো সম্পাদনা

বিদ্যালয়টিতে মোট চারটি ভবন রয়েছে। এর মধ্যে একটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য, একটি কারিগরি ভবন এবং অন্যটি বিদ্যালয়ের পুরনো ভবন আরেকটি স্কাউট ভবন। ভবনগুলোতে মোট কক্ষের সংখ্যা ৮৯টি; যার মধ্যে ৫৬টি ক্লাসরুম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া একটি কক্ষ গ্রন্থাগার এবং একটি কক্ষ সততা স্টোর হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

শিক্ষক ও প্রশাসন সম্পাদনা

গুরুদাসপুর পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষকের সংখ্যা ৩৬ জন। বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক হলেন জাহাঙ্গীর আলম।

শিক্ষা কার্যক্রম সম্পাদনা

শিক্ষার্থী সম্পাদনা

গুরুদাসপুর পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করার সুযোগ রয়েছে। বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১,৫০০ জন। এর মধ্যে ছাত্র প্রায় ৮৫০ জন ও ছাত্রী প্রায় ৫৫০ জন। প্রতিটি শ্রেণি দুই থেকে তিনটি শাখায় বিভক্ত। এছাড়া নবম ও দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পড়ার সুযোগ রয়েছে।

বিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য পোশাকের নির্ধারিত রঙ সাদা ও কালো। অন্যদিকে মেয়ে শিক্ষার্থীদের পোশাকের নির্ধারিত রঙ সবুজ ও সাদা। তবে, শিক্ষার্থীরা সহশিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ স্কাউটসের নির্ধারিত পোশাক পরিধান করে থাকে।

সহশিক্ষা কার্যক্রম সম্পাদনা

বিদ্যালয়ে সহশিক্ষা কার্যক্রম হিসেবে কাব স্কাউটিং চালু আছে। এছাড়া অন্যান্য সংঘের মধ্যে “সূর্য কিশোর”, “স্বর্ণ কিশোরী” প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

সততা স্টোর সম্পাদনা

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার উন্নয়নের জন্য বিদ্যালয়ে একটি “সততা স্টোর” নামক একটি মুদি দোকান রয়েছে। এই দোকানে কোনো ব্যক্তি উপস্থিত থাকেন না; শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে বাক্সে টাকা রেখে যায়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা