গুরুগীতা

ব্যাস প্রণীত, শিব-পার্বতীর কথোপকথন, বৃহত্তর স্কন্দপুরাণের অংশ

গুরুগীতা (সংস্কৃত: गुरुगीता, আইএএসটি: Gurugītā; আক্ষরিক অর্থ গুরুর সঙ্গীত) হল একটি হিন্দু ধর্মগ্রন্থ যা ঋষি ব্যাস দ্বারা রচিত হয়েছে বলে জানা যায়। এই শাস্ত্রের শ্লোকগুলিও জপ করা যেতে পারে। পাঠ্যটি বৃহত্তর স্কন্দপুরাণের অংশ। পাঠ্যটির বিভিন্ন সংস্করণ রয়েছে, প্রায় ১০০ থেকে ৪০০ শ্লোকের মধ্যে পরিবর্তিত। আরেকটি মত হল যে গুরুগীতা বিশ্বসার তন্ত্রের অংশ।[১]

সিদ্ধযোগ ঐতিহ্যে, গুরুগীতাকে "অপরিহার্য পাঠ" হিসাবে বিবেচনা করা হয়;[২] অন্যান্য কিছু ঐতিহ্যও এই মত পোষণ করে।[৩] মুক্তনন্দ গুরুগীতার অনন্য সংস্করণ তৈরি করার জন্য ১৮২টি শ্লোক বেছে নিয়েছিলেন, যেগুলো জপের নিজস্ব সুর রয়েছে।[২]

গুরুগীতার পাঠ্য হিন্দু দেবতা, ভগবান শিব এবং তার স্ত্রী পার্বতীর মধ্যে কথোপকথন বর্ণনা করে, যেখানে তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করেন কিভাবে মুক্তি পেতে হয়। শিব গুরু নীতি, গুরু উপাসনার সঠিক উপায় এবং গুরুগীতার পুনরাবৃত্তির পদ্ধতি ও উপকারিতা বর্ণনা করে তার উত্তর দেন।[৪][৫]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Saraswatananda Bharat, Swami Diksha Prasanga, Gurugita O Bani, Bharat Sevashram Sangha, 211, Rashbehari Avenue, Ballygunge, Kolkata – 700 019, p. 52 (ed. 2015) আইএসবিএন ৯৭৮-৯৩-৮৪৯৬৫-২২-৮
  2. Muktananda (1984). The Nectar of chanting: Sacred texts and mantras sung in the ashrams of Swami Muktananda: Sanskrit transliteration with English translations; SYDA Foundation; pp. xiv, 6-57 আইএসবিএন ০৯১৪৬০২১৬০
  3. Shah, Riddhi (১৪ আগস্ট ২০১০)। "The "Eat, Pray, Love" guru's troubling past"। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০২১ 
  4. Subodh Kapoor (২০০২)। The Indian Encyclopaedia, Vol. 1। Genesis Publishing। পৃষ্ঠা 7796। আইএসবিএন 8177552570 
  5. "Guru Gita"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-১৮ 

উৎস সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা