খাসি পাহাড়

ভারতের পর্বত

খাসি পাহাড়শ্রেণী /ˈkɑːsi/ হচ্ছে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং মালভূমিতে অবস্থিত একটি নিম্ন পর্বত গঠন। পর্বতটি গারো-খাসি-জৈন্তিয়া পাহাড়শ্রেণীর একটা অংশবিশেষ, যা পূর্বাচল পাহাড়শ্রেণী এবং আরও পূর্বে বৃহত্তর পাটকাই পাহাড়শ্রেণীর সাথে একে সংযোগ করেছে। খাসি পাহাড়, এবং সমগ্র গারো-খাসি-জৈন্তিয়া পর্বতশ্রেণী, মেঘালয় উপক্রান্তীয় বনের এলাকা জুড়ে বিস্তৃত।

খাসি পাহাড়
অঞ্চল
পূর্ব খাসি পাহাড়
পূর্ব খাসি পাহাড়
দেশ ভারত
প্রদেশমেঘালয়
আয়তন
 • মোট১০,৪৪৩ বর্গকিমি (৪,০৩২ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (2011)
 • মোট১৪,৬৮,২২৩
 • জনঘনত্ব১৪০/বর্গকিমি (৩৬০/বর্গমাইল)
ভাষাসমূহ
 • কথ্য
  1. খাসি ভাষা
জেলাসমূহ

খাসি পাহাড় ও সমগ্র মেঘালয় রাজ্য প্রশাসনিকভাবে ১৯৭০ সালের পূর্বে আসাম রাজ্যের অংশ ছিল। বিশেষত পুরনো নথিপত্রে, বিকল্প নাম হিসেবে খাসিয়া পাহাড় প্রতিবর্ণীকরণ হতে দেখা যায়।[১] খাসি পাহাড় (/ˈkɑːsi/)

এই অঞ্চলে প্রধানত খাসি উপজাতির বাসিন্দারা বসবাস করে, যারা ঐতিহ্যগতভাবে বিভিন্ন সর্দারের অধীনে, খাসি পাহাড় প্রদেশ হিসেবে পরিচিত রাজ্যে অবস্থান করে। এর একটা রাজধানী, চেরাপুঞ্জিকে পৃথিবীর সবথেকে ভেজা স্থান হিসেবে মনে করা হয়।[২] খাসিদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ প্রেসবিটেরিয়ান এবং পরে ক্যাথলিক এবং অ্যাংলিকানদের অবস্থান।

এই অঞ্চলটি খাসি পাহাড় জেলার অধীনে আসে, যা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে ১৯৭৬ সালের ২৮ অক্টোবর পশ্চিম খাসি পাহাড় জেলা এবং পূর্ব খাসি পাহাড় জেলা গঠন করে।[৩]

লুম শাইলং হচ্ছে সর্বোচ্চ চূড়া যা ১,৯৬৮ মিটার (৬,৪৫৭ ফু) উঁচু।[৪] এটা শিলং শহর থেকে দক্ষিণ দিকে কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।[৫]

প্রশাসন সম্পাদনা

খাসি পাহাড়ে ধর্ম (২০১১)[৬]

  হিন্দু ধর্ম (১২.৪২%)
  নিয়াম খাসি (৮.৭০%)
  অন্যান্য (০.৮১%)

প্রশাসনিকভাবে, খাসি পাহাড়শ্রেণীকে খাসি পাহাড় জেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।[৭] এই জেলাকে পূর্ব খাসি পাহাড় জেলা[৮] এবং পশ্চিম খাসি পাহাড় জেলায় বিভক্ত করা হয় ২৮ অক্টোবর, ১৯৭৬ সালে। ৪ জুন ১৯৯২ সালে, রী ভোঈ জেলাকে পূর্ব খাসি পাহাড় জেলা থেকে পৃথক করা হয়।

খাসি পাহাড়ের ভাষা (২০১১)[৯]

  খাসি (৬৬.০৮%)
  গারো (৬.০৩%)
  বাংলা (৩.৮২%)
  নেপালি (৩.২৭%)
  অন্যান্য (%)

নদনদী সম্পাদনা

খাসি পাহাড় এলাকায় যেসব নদী আছে সেগুলো হচ্ছে জালুখালি নদী, খাসিয়ামারা নদী, যাদুকাটা নদী, উমিয়াম নদী, আশাউড়া নদী প্রভৃতি।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Sarkar, A.B. Chaudhuri & D.D. (২০০৩)। Megadiversity conservation : flora, fauna, and medicinal plants of India's hot spots। Delhi: Daya Publishing House। আইএসবিএন 8170353017 
  2. Bhaumik, Subir (২০০৩-০৪-২৮)। "World's wettest area dries up" (stm)South Asia News। Calcutta: BBC। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০২-২১ 
  3. Bhattacharjya, Umasaday (১৯৮০)। Local government in Khasi Hills। Vivek, 1980। পৃষ্ঠা 263। 
  4. Karlsson, Bengt G. (২০১০)। Unruly hills : a political ecology of India's northeast। New York: Berghahn Books। আইএসবিএন 0857451049 
  5. Riggins, ed. by Stephen Harold (১৯৯০)। Beyond Goffman : studies on communication, institution, and social interaction। Berlin [u.a.]: Mouton de Gruyter। আইএসবিএন 3110122081 
  6. "Population by religion community – 2011"Census of India, 2011। The Registrar General & Census Commissioner, India। ২৫ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  7. Shangpliang, Rekha M. (২০১০)। Forest in the life of the Khasis। New Delhi: Concept Pub. Co.। আইএসবিএন 8180696677 
  8. "East Khasi hills"। Government of India। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ১৫, ২০১২ 
  9. ORGI। "C-16: Population by Mother Tongue"www.censusindia.gov.in। Office of the Registrar General & Census Commissioner, India। ১৫ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৮ 

আরো পড়ুন সম্পাদনা