খান বাহাদুর হেমায়েত উদ্দিন আহম্মদ

খান বাহাদুর হেমায়েত উদ্দিন আহম্মদ (১৯ নভেম্বর ১৮৬০ - ২১ সেপ্টেম্বর ১৯৪১) একজন পূর্ব বাংলার ব্রিটিশ ভারতীয় শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, শিক্ষা সংস্কারক ও ইসলামি ব্যক্তিত্ব ছিলেন।[১][২] তিনি ঢাকা মুসলমান সুহৃদ সম্মিলনী সংগঠনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি ১৯২০-২৪ এবং ১৯৩২-৩৬ বরিশাল জেলা বোর্ডের দুই মেয়াদের চেয়ারম্যান ছিলেন।[৩] তিনি নানা ধরনের জনসেবার জন্য ১৯১১ সালে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক খান বাহাদুর উপাধি লাভ করেন।[৪] বরিশাল থেকে প্রকাশিত পত্রিকা বঙ্গমিহির (১৯২৬) ও নকীব (১৯২৭) প্রকাশে হেমায়তের আন্তরিক পৃষ্ঠপোষকতা ছিলো। তার সংগঠন সুহৃদ সম্মিলনীর উদ্যোগে সাহিত্যসার ব্যাকরণ নামক বইয়ের সহ-লেখক ছিলেন। কলকাতা থেকে প্রকাশিত মিহির ও সুধাকর পত্রিকার (১৮৯৫) লেখকদের তালিকায় তার নাম ছিলো। এছাড়াও তিনি বেঙ্গল টেক্সট বুক বোর্ডের সদস্য ছিলেন।[৫]

খান বাহাদুর

হেমায়েত উদ্দিন আহম্মদ
খান বাহাদুর হেমায়েত উদ্দিন আহম্মদ
জন্ম(১৮৬০-১১-১৯)১৯ নভেম্বর ১৮৬০
মৃত্যু২১ সেপ্টেম্বর ১৯৪১(1941-09-21) (বয়স ৮০)
সমাধিনিজ বাসস্থান হেমায়েত মঞ্জিল
জাতীয়তাব্রিটিশ ভারতীয়
মাতৃশিক্ষায়তন
প্রতিষ্ঠানসুহৃদ সম্মিলনী সংস্থা, আনজুমানে হেমায়েতে ইসলাম
পরিচিতির কারণ
  • নারী শিক্ষায় অবদান
  • বরিশালে ব্যাংক স্থাপন
  • আছমত আলী খান ইনস্টিটিউশন প্রতিষ্ঠা
  • বেল ইসলামিয়া ছাত্রাবাস প্রতিষ্ঠা
দাম্পত্য সঙ্গীসাইয়েদা বেলাতুন্নেছা
সন্তানতিন পুত্র ও এক কন্যা সন্তান
পিতা-মাতা
  • মহিউদ্দিন আহম্মদ (পিতা)
পুরস্কারখান বাহাদুর উপাধি লাভ

জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

হেমায়েতউদ্দিন ১৮৬০ সালের ১৯ নভেম্বর বর্তমান গোপালগঞ্জ জেলাকোটালিপাড়া থানার কুশলা নামক গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম মহিউদ্দিন আহম্মদ ও দাদার নাম জহিরউদ্দিন আহম্মদ। জহিরউদ্দিন উপজেলার গোররা নামক স্থানে বাস করলেও, তার পুত্র মহিউদ্দিন আহম্মদ কুশলা গ্রামে এসে স্থায়ীভাবে বাস করা শুরু করেন। হেমায়তউদ্দিন তার দাদা ও পিতার নিকট থেকে জীবনের প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। তার দাদা ও পিতা পেশায় আইনজীবী ছিলেন, তাদের থেকেই হেমায়তউদ্দিন আইন পেশায় অনুপ্রেরণা পায়।

শিক্ষাজীবন সম্পাদনা

তিনি পারিবারিক শিক্ষা অর্জনের পর বরিশাল জিলা স্কুলে প্রাথমিক শ্রেণীতে ভর্তি হোন। এরপর ১৮৭৪ সালে ঢাকা মোহসিনীয়া মাদ্রাসার (বর্তমান কবি নজরুল সরকারি কলেজ) এ্যাংলো-পারসিয়ান বিভাগে ভর্তি হন। এরপর তিনি ১৮৮২ সালে ঢাকা কলেজ ভর্তি হোন, ঢাকা কলেজ থেকে ১৮৮৪ সালে এফ.এ পাশ ও ১৮৮৬ সালে বি.এ পাশ করে। বিএ পাশ করার পর তিনি ঢাকা মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। এই মাদ্রাসায় ৫ বছর শিক্ষকতা করার পাশাপাশি ১৮৯১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ঢাকা কলেজ থেকে বিএল ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বৃহত্তর বরিশাল জেলার ২য় মুসলমান স্নাতক ডিগ্রিধারী উকিল।[ক]

কর্মজীবন সম্পাদনা

আইনে স্নাতক শেষ করে ১৮৯১ সালে ঢাকা মাদ্রাসার চাকরি ছেড়ে দিয়ে পৈতৃক পেশা উকালতিতে বরিশাল বারে যোগদান করেন।[৬] তিনি ১৮৯১ সাল থেকে ১৯১৫ সাল দন্ড বিধায়ক বিচারক (ইংরেজি: Punitive Judge) হওয়া পর্যন্ত এই পেশায় ছিলেন, এরপর আইনের পেশা ছেড়ে দেন এবং সমাজসেবা শুরু করেন। তিনি জনসেবার জন্য ১৯১১ সালের ১২ ডিসেম্বর দিল্লীর করনেশন দরবারে ব্রিটিশ সরকার থেকে ‘খান বাহাদুর’ উপাধিতে ভূষিত হোন।

অবদান সম্পাদনা

তিনি বরিশাল অঞ্চলে নানা সামাজিক সেবামুখী কার্যক্রম ও উদ্যোগের সাথে যুক্ত ছিলেন, শিক্ষা নিয়ে, দরিদ্র শিক্ষার্থী নিয়ে, চিকিৎসা নিয়ে, দুঃস্থ-অসহায় মানুষের নিয়ে তার সেবাধর্মী কার্যক্রম ছিলো। তিনি বরিশাল দাতব্য চিকিৎসালয় সমিতির সেক্রেটারি ছিলেন এবং বরিশাল শহরে একটি সরকারি হাসপাতাল স্থাপনের আন্দোলন করেছেন। এসব কাজের জন্য তিনি সরকার থেকে সন্মানিতও হয়েছেন তার কাজের উল্লেখযোগ্য হলো:

সংগঠন প্রতিষ্ঠা সম্পাদনা

সুহৃদ সম্মিলনী সংস্থা

ইসলামি শিক্ষা প্রসারে তিনি ঢাকা মাদ্রাসায় পড়াশোনাকালীন সময়ে ঢাকাতে একটি শিক্ষা-সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৮৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ মাওলানা উবায়দুল্লাহ সুহরাওয়ার্দীর অনুপ্রেরণায় সুহৃদ সম্মিলনী নামে একটি শিক্ষা-সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা হয়।[খ] এই সংস্থাটি ২০ বছর যাবত নিজস্ব সিলেবাস প্রস্তুত করে নারীদের গৃহে গিয়ে পাঠদান করে আসতো এবং স্বতন্ত্রভাবে পরীক্ষা গ্রহণ করতো। এই সংগঠন তৎকালীন সময়ে ইসলামি শিক্ষা বিশেষ করে নারী শিক্ষায় ভালো অবদান রেখেছিলো, এইজন্য হেমায়তউদ্দিনকে বাংলাদেশে নারীশিক্ষার অন্যতম অগ্রদূত বলা হয়। তিনি ১৮৯১ সালে ঢাকা ত্যাগ করা পর্যন্ত এই সংস্থার কর্মকর্তা ছিলেন।

আনজুমানে হেমায়েতে ইসলাম

তিনি ঢাকা থেকে আসার পরেই ১৮৯৩ সালের ২০ মে বরিশাল আনজুমানে হেমায়েতে ইসলাম নামে একটি ধর্মীয় সেবামূলক একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।[৭] সংগঠনের সভাপতি ছিলেন মুহাম্মদ ওয়াজেদ (শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের পিতা) এবং সেক্রেটারি ছিলেন হেমায়েত উদ্দিন। এই সংগঠন মুসলমানদের মধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সমাজসেবা ও ধর্মীয় কুসংস্কার রোধে কার্যক্রম চালাতেন, হেমায়েত উদ্দিন আমৃত্যু পর্যন্ত এই সংগঠনের সেক্রেটারি ছিলেন।

বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা সম্পাদনা

বেল ইসলামিয়া ছাত্রাবাস

১৮৯৫ সাল থেকে হেমায়েত উদ্দিন ও তার সংগঠনের উদ্যোগে আলীগড় আন্দোলনের অনুপ্রেরণায় বরিশালে বেল ইসলামিয়া ছাত্রাবাস স্থাপনের চেষ্টা চালানো শুরু হয়। হেমায়েত উদ্দিন, নওয়াব সিরাজুল ইসলাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেনসহ অনেকের প্রচেষ্টায় এই ছাত্রাবাসটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

আছমত আলী খান ইনস্টিটিউশন

হেমায়ত উদ্দিন ১৯১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত আছমত আলী খান ইনষ্টিটিউশন নামে স্কুলটি প্রতিষ্ঠার ব্যপারেও অনেক সাহায্য করেছিলেন। তিনি সারাজীবন এই প্রতিষ্ঠানের সেক্রেটারি ছিলেন। তার প্রচেষ্টায় স্কুলের পাশেই একটি খেলার মাঠ তৈরি করা হয়েছিলো, বর্তমানে সেটি হেমায়েতউদ্দিন সেন্ট্রাল ঈদগাহ নামে পরিচিতি পেয়েছে।

বরিশাল জিলা স্কুল ও বি.এম. কলেজ

তিনি বরিশাল জিলা স্কুলে দীর্ঘদিন সেক্রেটারি ও সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তার কৃতিত্বের কথা স্মরণ করে জিলা স্কুলে হেমায়েতউদ্দিন মেধা বৃত্তি নামে একটি শিক্ষাবৃত্তি চালু করা হয়। এছাড়া তিনি বরিশাল বিএম কলেজের কাউন্সিলর ছিলেন, তার নামে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বই বিতরণ ও আর্থিক সাহায্যের জন্য একটি তহবিল চালু করা হয়েছিলো। তার চেষ্টাতেই মুসলিম ছাত্ররা হোস্টেলে থাকার সুযোগ লাভ করে।

শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান সম্পাদনা

তিনি ১৮৯৩ সালে ক্যালকাটা মোহামেডান ইউনিয়নের সদস্য মনোনীত হন। তিনি ১৮৮৬ সালের সালের অলইন্ডিয়া মোহামেডান এডুকেশনাল কনফারেন্সে জেলা প্রতিনিধি হিসাবে যোগদান করেন এবং ১৯০৬ সালের অলইন্ডিয়া কনফারেন্সে জাতীয়ভাব নেতৃত্ব প্রদান করেন। ১৯০৫ সালে পূর্ববঙ্গের মুসলিম শিক্ষা সমিতি সম্মেলনে যোগদান করেন। সম্মেলনের সিদ্ধান্ত অনুসারে মোহসীন ফান্ডের সাহায্যে ঢাকা মেহামেডান হল, নগর প্রাইমারী স্কুল, ঢাকার ডাফরিন হোস্টেল ও কলকাতায় ইলিয়ট হোস্টেল (১৮৯৬) প্রভৃতি প্রতিষ্ঠায় অগ্রনী ভূমিকা রাখে।

এছাড়াও তিনি ঢাকা মাদ্রাসা কমিটির সদস্য ছিলেন এবং বেঙ্গল টেক্সট বুক বোর্ডের সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯০৭ সালের ও ১৯০৮ সালের আলিয়া মাদ্রাসায় ইংরেজি শিক্ষা প্রবর্তন বিষয়ক দুইটা শিক্ষা কমিশনের সদস্য ছিলেন। ১৯১০ সালে পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রাদেশিক শিক্ষা ব্যবস্থাপক সভার সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯২৭-৩৪ মেয়াদে বড় লাটের আইন সভার একজন সদস্য ছিলেন।

বরিশালে ব্যাংক স্থাপন সম্পাদনা

তার প্রচেষ্টায় বরিশালে ১৯১৩ সালে সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়, তিনি ১৯১৩ সাল থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত ব্যাংকের সেক্রেটারি এবং মৃত্যু পর্যন্ত ব্যাংকের উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি বরিশালের সমবায় আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি প্রাদেশিক ব্যাংকিং ইনকোয়ারি কমিটির সদস্য ছিলেন।

কুলকাঠি মুসলিম হত্যায় প্রতিবাদ সম্পাদনা

১৯২৭ সালের কুলকাঠি দাঙ্গাতে পুলিশের গুলিতে ১৭ জন মুসলমান মৃত্যুবরণ করলে বরিশাল ও ভারতের সকল মুসলমান এর প্রতিবাদ করে। প্রতিবাদস্বরূপ হেমায়তউদ্দিনের নেতৃত্বে নিখিল বঙ্গ মুসলিম কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও হেমায়তউদ্দিনের নেতৃত্বে তহবিল গঠন করে দাঙ্গায় নিহত ও আহতদেরে পরিবারদের সাহায্য করা হয়।[গ] এই ঘটনার তিন মাস পরে বরিশাল শহরে পাঁচদিন ব্যাপী বিশাল আকারে প্রাদেশিক মুসলমান সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়, হেমায়তউদ্দিন এই সম্মেলনের তৎকালীন অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতি ছিলেন। এই সম্মেলন থেকে ১৯২৮ সালে হিন্দু-মুসলমান ও খ্রিস্টানদের মধ্যে এক ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হয়।

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

খান বাহাদুর নিজে সাদাসিধে জীবন পালন করলেও অজিভাত ব্যক্তিদের সাথে তার উঠাবসা ছিলো। সেইসময়ের প্রথা অনুসারে সাদা থান কাপড়ের ধুতি ও মাথায় লাল টুপি পড়তেন। তিনি সেই সময়ে যাতায়াতে ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার করতেন। তিনি ধর্মভীরু ও অতিথিপরায়ণ ব্যক্তি ছিলেন, তার বাসায় সবসময় লোকজনের সরগরম থাকতো। তার বাড়ীটি বর্তমানে দোতালা ভবনে উন্নতি হয়েছে যা “হেমায়েত মনঞ্জিল” নামে পরিচিত।

তার স্ত্রীর নাম সাইয়েদা বেলাতুন্নেছা। তাদের তিন পুত্র ও এক কন্যা সন্তান ছিলো। পুত্রদের নাম যথাক্রমে হাবিবউদ্দিন আহম্মদ (ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট), মাহবুবউদ্দিন আহম্মদ (ডেপুটি কালেক্টর), কবীরউদ্দিন আহম্মদ (ডেপুটি ডিরেক্টর, বিআইডব্লিউটিএ)। এবং কন্যা সন্তান হাসিনার বিয়ে হয়েছিলো এ.কে.এম ফখরুদ্দিনের (ডিস্ট্রিক্ট রেজিষ্ট্রার) সাথে।[ঘ]

মৃত্যু সম্পাদনা

বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন, ১৯৪১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় তিনি ইন্তেকাল করেন। পরদিন ৯ টায় জানাজার নামাজ শেষ করে তার পিতা ও দাদার সমাধিস্থান হেমায়েত মঞ্জিলে তাকে দাফন করা হয়। তার স্ত্রীকেও একই স্থানে দাফন করা হয়েছে।

টীকা সম্পাদনা

  1. ঢাকা মাদ্রাসার প্রথম ব্যাচ হিসাবে তারাই ১৮৮২ সালে সর্বপ্রথম কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অথবা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত থেকে এনট্রান্স পাশ করে। তিনি বরিশালের মুসলিম হিসাব ২য় স্নাতক উকিল ছিলেন, আর প্রথম মুসলমান উকিল ছিলেন শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের পিতা মোহাম্মদ ওয়াজিদ।
  2. এই সংগঠনের পূর্বে ১৮৭৮ সালে এই তিন ব্যক্তিই সমাজ সম্মিলনী নামেও একটি শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানও গড়ে তুলেছিলেন, তবে সেটা বেশি কার্যক্রম চালাতে পারেনি।
  3. এই ঘটনা তখন সমকালীন সব পত্র-পত্রিকা যেমনঃ দৈনিক আজাদ, যুগান্তর, সওগাত, ঢাকা প্রকাশ প্রভৃতিতে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়। এই দাঙ্গার কঠোরভাবে সমালোচনা করা হয়। আর হেমায়তউদ্দিনের কনফারেন্স ও রিলিফ সংগ্রহের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়।
  4. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট গবেষক ড. মুহাম্মদ আবদুল্লাহ তার গবেষণা গ্রন্থে হেমায়েত উদ্দিনের স্ত্রী ও সন্তানদের কথা উল্লেখ করেছেন। গবেষক উল্লেখ করেছেন, তার স্ত্রীর ছিলো বরিশাল জেলার মুলাদি থানার গাছুয়ার জমিদার আলহাজ্ব সৈয়দ জয়নাল আবেদিনের কন্যা।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. আহম্মদ, ড. ওয়াকিল (১৯৮১)। "হেমায়েত উদ্দিন আহম্মদ ১৮৬০ -১৯৪১"। ইতিহাস সমিতি পত্রিকা। ১০ম সংখ্যা। উল্লেখ্য এই লেখাটি ১৯৭৯ সালের ৫-৭ অক্টোবর বরিশাল বি এম কলেজে বাংলাদেশ ইতিহাস কমিটি ৫ম জাতীয় সম্মেলনে প্রবন্ধকার কর্তৃক উপস্থাপিত হয়েছিলো। 
  2. "খান বাহাদুর হেমায়েত উদ্দিন স্মরণে সেমিনার"ajkerparibartan.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১৭ 
  3. "১৯৪২ সালে প্রকাশিত Who's Who in India গ্রন্থে হেমায়েতউদ্দিনের বরিশাল জেলা বোর্ডের কার্যক্রম বর্ণনা করা রয়েছে"Who's Who in India -গুগল বুকস। ৫ জুন ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০২৩ 
  4. "খান বাহাদুর হেমায়েতউদ্দীন খান - Barisalpedia"www.barisalpedia.net.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১৭ 
  5. মাহমুদ, শামসুন নাহার (অক্টো ১৯৪০)। "খান বাহাদুর হেমায়েত উদ্দিন আহম্মদ"। মাসিক মোহাম্মদী: পৃষ্ঠা ৫২-৫৩। 
  6. চৌধুরী, মোহাম্মাদ আব্দুল বাতেন। "ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে বরিশাল: ১৯০৫-১৯২৩" (পিডিএফ)জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় জার্নাল অব আর্টস। ভলিউম ১০, নং ১। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৩ 
  7. "আনজুমানে হেমায়েত-এ-ইসলাম - Barisalpedia"www.barisalpedia.net.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১৭ 

গ্রন্থপঞ্জি সম্পাদনা

  • আহমেদ, সিরাজউদ্দিন (১৯৮৫)। বরিশালের ইতিহাস। বরিশাল: বরিশাল প্রেস। 
  • আহম্মদ, নাজিম উদ্দিন (২০০৪)। বরিশাল জিলা স্কুলের ইতিবৃত্ত। বরিশাল: বরিশাল জিলা স্কুল। 

আরো দেখুন সম্পাদনা