খড়মপুর মাজার শরীফ

বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার খড়মপুরে অবস্থিত একটি মাজার শরীফ

খড়মপুর মাজার শরীফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার খড়মপুরে অবস্থিত একটি মাজার শরীফ।[১] মাজারটি ২৬০ একর জমির উপরে অবস্থিত।

খড়মপুর মাজার শরীফ
সৈয়দ আহমদ গেছুদারাজ (র:) কল্লা শহীদ কেল্লা বাবা
মাজার শরীফ
অবস্থান
অবস্থানখড়মপুর, আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাংলাদেশ
স্থানাঙ্ক২৩°৫৩′০১″ উত্তর ৯১°১২′২৯″ পূর্ব / ২৩.৮৮৩৫° উত্তর ৯১.২০৮১° পূর্ব / 23.8835; 91.2081

ইতিহাস সম্পাদনা

১৩০৩ সালে হযরত শাহজালাল (র) ইসলাম প্রচারের জন্য ৩৬০ জন আউলিয়া নিয়ে এসেছিলেন সিলেটে। এই ৩৬০ জন শিষ্যের মাঝে অন্যতম ছিলেন সৈয়দ আহমদ গেছুদারাজ কল্লা শহীদ (র)। তিনি হযরত শাহজালাল (র) খুব কাছের লোক ছিলেন।

খড়মপুর মাজার শরীফ সম্পর্কে কাহিনি প্রচলিত আছে সেটা হল, সে সময় খড়মপুর গ্রামের জেলেরা তিতাস নদীতে মাছ ধরত। একদিন চৈতন্য দাস ও তার সঙ্গীরা তিতাস নদীতে মাছ ধরার সময় হঠাৎ তাদের জালে একটি খণ্ডিত মস্তক আটকা পড়ে। বিষয়টি দেখে জেলেরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। খণ্ডিত মস্তকটি উঠাতে গেলে আল্লাহর কুদরতে খণ্ডিত মস্তকটি বলে ওঠে, "একজন আস্তিকের সাথে আর একজন নাস্তিকের কখনো মিল হতে পারে না। তোমরা যে পর্যন্ত কলেমা পাঠ করে মুসলমান না হবে ততক্ষণ আমার মস্তক স্পর্শ করবে না।" খণ্ডিত মস্তকের কাছ থেকে এই কথা শোনার পর চৈতন্য দাস ও তার সাথীরা হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। খণ্ডিত মস্তকের নির্দেশ অনুযায়ী ইসলামি মতে খণ্ডিত মস্তকটি দাফন করে এবং তারা মাজারটির খাদেমদারিতে নিযুক্ত হন।[২]

বিভিন্ন ঐতিহাসিকগণ অনুমান করেন যে, তরফ রাজ্যেও রাজা আচক নারায়ণের সঙ্গে হজরত শাহজালালের প্রধান সেনাপতি হযরত সৈয়দ নাসিরউদ্দিন (র) যে যুদ্ধ পরিচালনা করেন সে যুদ্ধে হযরত সৈয়দ আহমদ গেছুদারাজ (র) শহিদ হন এবং তার খণ্ডিত মস্তক তিতাসের স্রোতে ভেসে আসে।

প্রতি বছর মাজারটিতে ওরস উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ওরস উৎসবে গেছুদারাজ কল্লা শহীদ (র) বহু ভক্তের আগমন ঘটে।[৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. আমের হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইতিহাস, পৃষ্ঠা ১৮৬।।
  2. "কেল্লা শহীদ মাজার - ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা"। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০২২ 
  3. ব্রাহ্মণবাড়িয়া সোসাইটি; শাশ্বত ব্রাহ্মণবাড়িয়া; পৃষ্ঠা ৫২।