ক্ল্যান্সি ফার্নান্দো

ক্ল্যান্সি ফার্নান্দো (সিংহলি: ක්ලැන්සි ෆර්නැන්ඩෝ; ১৯৩৮-১৯৯২) শ্রীলঙ্কা নৌবাহিনীর একজন অ্যাডমিরাল ছিলেন। ১৯৯১ সালের ১ নভেম্বর তিনি ভাইস অ্যাডমিরাল পদবীতে শ্রীলঙ্কীয় নৌবাহিনীর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন, ১৯৯২ সালের ১৬ই নভেম্বর তিনি তামিল জঙ্গি গোষ্ঠী এলটিটিইর বোমা হামলায় নিহত হন। ক্ল্যান্সি ফার্নান্দো শ্রীলঙ্কার একমাত্র নৌ কমান্ডার যিনি খুন হয়েছিলেন।[১] তাকে মরণোত্তর পূর্ণ অ্যাডমিরাল পদবী প্রদান করা হয়।

ডব্লিউ. ডব্লিউ. ই. ক্ল্যান্সি ফার্নান্দো
জন্ম নামওয়ান্নাকুয়াট্টা ওয়াদুগে ইরউইন ক্ল্যান্সি ফার্নান্দো
জন্ম(১৯৩৮-১০-১০)১০ অক্টোবর ১৯৩৮
মৃত্যু১৬ নভেম্বর ১৯৯২(1992-11-16) (বয়স ৫৪)
কলম্বো, শ্রীলঙ্কা
আনুগত্যশ্রীলঙ্কা
সেবা/শাখা শ্রীলঙ্কা নৌবাহিনী
কার্যকাল৩৫ বছর
পদমর্যাদা অ্যাডমিরাল
নেতৃত্বসমূহশ্রীলঙ্কীয় নৌবাহিনীর কমান্ডার
যুদ্ধ/সংগ্রামশ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধ
পুরস্কার বিশিষ্ট সেবা বিভূষণ
উত্তম সেবা পাদাক্কামা

নৌ জীবন সম্পাদনা

১৯৫৭ সালে শ্রীলঙ্কা নৌবাহিনীতে ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন ক্ল্যান্সি এবং তাকে প্রশিক্ষণের জন্য যুক্তরাজ্যের রয়্যাল নেভাল কলেজে পাঠানো হয়, ওখান থেকে তিনি ১৯৬০ সালে সাব লেফটেন্যান্ট হিসেবে শ্রীলঙ্কা নৌবাহিনীর এক্সিকিউটিভ শাখায় কমিশন লাভ করেন। তিনি যুদ্ধজাহাজ এসএলএনএস আলিয়া, গজবাহু, সমুদ্র দেবী, রণকামী এবং দিয়াকাওয়াতে কাজ করেন। ১৯৭৭ সালে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ক্ল্যান্সি ভারতে স্টাফ কোর্স করতে যান। ১৯৭৮ সালের মার্চে তাকে কমান্ডার পদবীতে পদোন্নতি দেওয়া হয়, তিনি যুদ্ধজাহাজ এসএলএনএস তিচ্ছা এবং এসএলএনএস এলারার অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৩ সালের ৩০ জুন তিনি ক্যাপ্টেন পদবীতে উন্নীত হন এবং নৌ সদরে নৌ অপারেশন্স পরিদপ্তরের পরিচালক নিযুক্ত হন। ১৯৮৪ সালে তাকে নেভাল অ্যান্ড ম্যারিটাইম একাডেমীর অধিনায়ক করা হয়। ১৯৮৬ সালের জুলাই মাসে তিনি কমোডোর হন এবং পশ্চিম নৌ কমান্ডের অধিনায়ক নিযুক্ত হন। '৮৭ সালে তিনি ভারতে এনডিসি কোর্স করতে যান। ১৯৯১ সালে তিনি রিয়ার অ্যাডমিরাল হন এবং নৌবাহিনীর চীফ অব স্টাফ হন; পরে খুব দ্রুত তাকে ভাইস অ্যাডমিরাল করে শ্রীলঙ্কীয় নৌবাহিনীর কমান্ডার নিযুক্ত করা হয়।

মৃত্যু সম্পাদনা

১৬ নভেম্বর ১৯৯২ তারিখে ভাইস অ্যাডমিরাল ক্ল্যান্সি তার গাড়িতে করে সকাল সাড়ে আটটার দিকে নৌ সদরে যাচ্ছিলেন (বেসামরিক এলাকা দিয়ে), তখন এলটিটিইর এক আত্মঘাতী বোমাহামলাকারী হামলা করে, নিহত হন ভাইস অ্যাডমিরাল ক্ল্যান্সি এবং তার সঙ্গে থাকা ব্যক্তিগত সহকারী লেফটেন্যান্ট সান্দুন গুণশেখর আর গাড়ি চালক একজন নাবিক।[১]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

তার স্ত্রীর নাম ছিলো মণিকা এবং তাদের দুই পুত্র ছিলো।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Suicide terrorism: a global threat, www.janes.com
  2. "A pioneering naval officer who inspired"। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ 
সামরিক দপ্তর
পূর্বসূরী
এইচ. এ. সিলভা
শ্রীলঙ্কীয় নৌবাহিনীর কমান্ডার
১৯৯১-১৯৯২ †
উত্তরসূরী
ডি. এ. এম. আর. সামারাসেকারা