কেদারনাথ গোস্বামী

রাজনীতিবিদ

কেদারনাথ গোস্বামী (১৯০১―১৯৭৬) ছিলেন একজন কৃষকদরদী সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতা। তার জন্ম ১৯০১ সালে আসামের নগাঁও জেলায়

কেদারনাথ গোস্বামী
জন্ম১৯০১
মৃত্যু৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬
আন্দোলনসাম্যবাদ

শিক্ষা সম্পাদনা

কলেজের শিক্ষা সম্পূর্ণ না হলেও নিজ আগ্রহে হিন্দি, ইংরেজি শিখেছিলেন। জানতেন আরবি, ফারসি ও উর্দু ভাষা। সমস্ত ধরনের সাহিত্যপাঠ করতেন। হিন্দু ধর্মগ্রন্থ, কোরান, বাইবেল ইত্যাদির পাশাপাশি মার্কসবাদী সাহিত্য, মার্ক্স-এঙ্গেলসের রচনাও পড়তেন।

রাজনৈতিক জীবন সম্পাদনা

১৯২১ - ১৯৩৮ পর্যন্ত জাতীয় কংগ্রেসের সমর্থক। ডিব্রুগড় ছিল তার কর্মকেন্দ্র। ডিব্রুগড় শহর কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। প্রগতিশীল চিন্তার ব্যতিক্রমী মানুষ ছিলেন কেদারনাথ। অস্পৃশ্যতা, বর্ণভেদ ও পর্দা প্রথার ঘোর বিরোধী ছিলেন। আসাম টাইমস পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন ১৯৩০-১৯৩৯।সাংবাদিক হিসেবে সবিশেষ খ্যাতি ছিল। শ্রমিকদের নিয়ে তার জ্বালাময়ী লেখাগুলির জন্যে আসাম চা বাগিচা মালিকেরা ক্ষুব্ধ হয় ও পত্রিকাটি আর্থিক সহায়তা হারায়।

শ্রমিক আন্দোলন সম্পাদনা

১৯৩৮ সালে কংগ্রেস ত্যাগ করে সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত আর.সি.পি.আই দলে যোগ দেন এবং সরাসরি শ্রমিক কৃষক আন্দোলনের সাথে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৩৯ সালে 'কৃষক বড়ুয়া পঞ্চায়েত' স্থাপন করেন ও তার সভাপতি হন। শ্রমিক শোষন ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে তার বহু লেখা প্রকাশিত হয়েছে। মূলত তারই নেতৃত্বে আসামে তীব্র শ্রমিক-কৃষক আন্দোলন গড়ে ওঠে। আসাম রেলওয়ে ও ট্রেডিং কোম্পানির শ্রমিকদের বিরাট ধর্মঘটে নেতৃত্ব দেন যা ব্যাপকভাবে সফল হয়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে ও আরো চোদ্দজন ধর্মঘটীদের সাথে গ্রেপ্তার হন কেদারনাথ গোস্বামী।[১]

মৃত্যু সম্পাদনা

সারাজীবন দরিদ্র মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত কেদারনাথ গোস্বামীর দারুন দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থায় মৃত্যু ঘটে। গোয়ালপাড়ায় অন্তরীন থাকাকালীন যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Deepali Barua, Freedom Struggle II (১৯৯৪)। Urban History of India। Mittal Publications। পৃষ্ঠা 166। 
  2. প্রথম খন্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত (২০০২)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ১০৮। আইএসবিএন 81-85626-65-0