কেচ্চিমালাই মসজিদ

কেচ্চিমালাই মসজিদ, কেচ্চিমালাই দরগাহ নামেও পরিচিত, শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ-পশ্চিমের বন্দর বেরুওয়ালায় অবস্থিত একটি মসজিদ। স্থানীয়দের মতে মসজিদটি আরব ব্যবসায়ীদের প্রথম ব্যবসাস্থলে প্রতিষ্ঠিত হয়।[১] তাদের মতে ইয়েমেনের হামদারামাউত অঞ্চলের রাজকীয় পরিবারের সাত সদস্য উপকুলে এসে ছিলেন। তারা হচ্ছেন সুলতান আশরাফ ওয়ালিউল্লাহ এবং তাঁর পাঁচ ভাই ও এক বোন।[২] ১০২৪ সালে যখন ওয়ালিউল্লাহ মারা যান তাকে তখন ঐখানের একটি পাহাড়ের শীর্ষের একটি সমাধিতে দাফন করা হয়। কথিতভাবে একদিন, বেরুওয়ালার মসজিদ আল-আবরার-এর প্রধান যখন সমাধি পরিষ্কার করছিলেন তখন তিনি একটি ধারালো কাঁটা দেখেন এবং যার অনুসরণে যেয়ে তিনি একটি গাছের নিচে বিশ্রাম নেন এবং ঘুমিয়ে পড়েন। তার ঘুমের সময় ওয়ালিউল্লাহ একটি আবির্ভূত হন এবং তার সমাধিস্থলে একটি মসজিদ নির্মাণের জন্য বলেন।[৩] তবে অনেক স্থানীয়দের মতে ওয়ালিউল্লাহ মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন।

কেচ্চিমালাই মসজিদ
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
অবস্থাচালু
অবস্থান
অবস্থানবেরুওয়ালা
কেচ্চিমালাই মসজিদ শ্রীলঙ্কা-এ অবস্থিত
কেচ্চিমালাই মসজিদ
শ্রীলঙ্কায় অবস্থান
স্থানাঙ্ক৬°২৮′২২″ উত্তর ৭৯°৫৮′৩৪″ পূর্ব / ৬.৪৭২৭৮° উত্তর ৭৯.৯৭৬১১° পূর্ব / 6.47278; 79.97611
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
ওয়েবসাইট
প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

সেই সময়ে জায়গাটি তামিল-এ "উচ্চচামলাই" নামে পরিচিত ছিল, যার অর্থ "উচ্চ পাহাড়", সময়ের সাথে সাথে এটি পরিবর্তন করে বর্তমান নাম কেটচিমালাই করা হয়।[৩]

বর্তমান ভবনটি ১৯১১ সালে একজন ধনী মুসলিম ব্যবসায়ী দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। এটি মূলত একটি বর্গাকৃতি সাদা বিল্ডিং, একটি অলঙ্কৃত খিলানযুক্ত, বক্র ডাচ-শৈলীর গ্যাবেল, একটি গম্বুজ মিনারে একটি অর্ধচন্দ্রাকৃতি ও তারকা অলঙ্কার সহ মুকুটযুক্ত। মসজিদের বাইরে এর ময়দানে দুই ইমামের (পিতা ও ছেলে) কবর এবং একটি মাদ্রাসা রয়েছে।

এখানে ঈদের জামাত হয়।বহু মুসল্লি এখানে ঈদের জামাত আদায় করতে আসে।

১২ জুন ২০১৫ সালে মসজিদটিকে সরকার কর্তৃক সুরক্ষিত প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান ঘোষণা করা হয়।[৪]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Jayawardena, Dulip (১৩ মার্চ ২০১৮)। "Communal violence and political instability in Sri Lanka"The Daily Mirror। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  2. Inayathullah, Husna (১২ জুলাই ২০১৫)। "Ketchimala Mosque"Sunday Observer। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  3. Dishan, Joseph (১৪ অক্টোবর ২০১৮)। "Ketchchimalai: The ancient mosque rising above the ocean"Sunday Observer। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  4. "Part I : Section (I) — General Government Notifications" (পিডিএফ)The Gazette of the Democratic Socialist Republic of Sri Lanka1919। ১২ জুন ২০১৫। 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা