কাজী রেজাউল হক

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক

কাজী রেজাউল হক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক।

কাজী রেজাউল হক
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1958-11-28) ২৮ নভেম্বর ১৯৫৮ (বয়স ৬৫)
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
জীবিকাবিচারক

জীবনের প্রথমার্ধ সম্পাদনা

কাজী রেজাউল হক ১৯৫৮ সালের ২৮ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।[১] তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন।[১] পরবর্তীতে তিনি এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে দ্বিতীয় স্নাতকোত্তর, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ এবং নটিংহাম ট্রেন্ট ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন।[১]

কর্মজীবন সম্পাদনা

কাজী রেজাউল হক ১৯৮৫ সালের ৬ অক্টোবর জেলা আদালতের আইনজীবী হন[১]

১৯৮৯ সালের ৬ এপ্রিল কাজী রেজাউল হক হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হন।[১]

২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল, কাজী রেজাউল হক হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন[১]

২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল, কাজী রেজাউল হক হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন।[১]

২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারী, ফেনী সদর উপজেলায় কাজী রেজাউল হকের বাসভবন পুড়িয়ে ফেলা হয় যখন তিনি ও বিচারপতি আবু তাহের মোঃ সাইফুর রহমানের একটি রায়ে, বাংলাদেশ সরকারকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার করতে নিষেধ করেন।[২] রায়ের পরপরই তারেক রহমানের ভাষণ প্রচারের দায়ে একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আবদুস সালামকে গ্রেপ্তার করা হয়।[২] একই বছরের শেষের দিকে এস আলম গ্রুপ একুশে টেলিভিশন কিনে নেয়।[৩]

২০১৬ সালের মার্চ মাসে, কাজী রেজাউল হক বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম হিসাবে ইসলামকে অপসারণ করার জন্য করা একটি পিটিশন বাতিল করেন।[৪] কাজী রেজাউল হক, বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মোঃ আশরাফুল কামাল বাংলাদেশের সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে একটি রায় জারি করেন, এই সংশোধনীর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অপসারণ করার ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।[৫][৬][৭]

২০১৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর, কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তালক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুজ্জামান এবং লক্ষ্মীপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শেখ মোরশেদুল ইসলামকে তিরস্কার করেন।[৮][৯]

২০১৯ সালের আগস্টে, কাজী রেজাউল হক, বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হককে দুর্নীতির অভিযোগে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছিল।[১০][১১] সালমা মাসুদ চৌধুরী ও জহিরুল হককে এমআর ট্রেডিংয়ের পক্ষে রায় দেওয়ায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।[১০] বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট তিনজনকে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে নিষেধ করেছে।[১২] এরপর থেকে তাদের বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত ছিল।[১৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Home : Supreme Court of Bangladesh"www.supremecourt.gov.bd। ২০২২-০৭-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  2. Report, Star Online (২০১৫-০১-০৮)। "HC judge's house torched after Tarique ban"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  3. "একুশে টিভির নতুন মালিক এস আলম গ্রুপ"jagonews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  4. Bergman, David। "Bangladesh court upholds Islam as religion of the state"www.aljazeera.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  5. Dhaka, UNB। "HC releases verdict scrapping 16th Amendment"en.prothomalo.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  6. Staff Correspondent (২০১৬-০৩-১১)। "HC verdict on empowering parliament on May 5"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  7. "সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ: সুপ্রিম কোর্ট"BBC News বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-০৭ 
  8. Staff Correspondent। "High Court sees abuse of power in mobile courts, cites Lakshmipur jailing of pensioner"bdnews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  9. Express, The Financial। "Jailing of former civil surgeon: Laxmipur ADC, UNO seek unconditional apology to High Court"The Financial Express (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০১-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  10. "Three HC judges kept out of court"New Age | The Most Popular Outspoken English Daily in Bangladesh (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  11. "Three HC judges at bay over corruption allegations"The Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৮-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  12. "SC asks 3 HC judges to refrain from duty"Dhaka Tribune। ২০১৯-০৮-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  13. "High Court gets 11 new judges"bangladeshpost.net (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২