কল্প (সংস্কৃত: कल्प) হলো হিন্দু এবং বৌদ্ধ সৃষ্টিতত্ত্বের দীর্ঘ সময়কাল বা অয়ন।[১] সাধারণত কল্প হলো বিশ্ব বা মহাবিশ্বের সৃষ্টি ও পুনঃসৃষ্টির মধ্যবর্তী সময়।[১]

হিন্দুধর্মে সম্পাদনা

হিন্দু পুরাণ অনুসারে, এক কল্প হ'ল পৃথিবীর ৪.৩২ বিলিয়ন বছরের সমান, যাকে "ব্রহ্মার এক দিন" বা "এক হাজার মহাযুগ" বলা হয়।[২] প্রতিটি কল্প ১৪ টি মন্বন্তরে বিভক্ত এবং প্রতিটি কল্প ৭১টি যুগ চক্র বা ৩০৬,৭২০,০০০ বছর স্থায়ী হয়।

বৌদ্ধধর্মে সম্পাদনা

প্রাচীন বৌদ্ধধর্ম অনুসারে, কল্প' শব্দটি পালি ভাষার কপ্প শব্দ থেকে এসেছে এবং প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ অঙ্গুত্তর নিকায় এর উল্লেখ রয়েছে। খ্রিস্টপূর্ব শেষ সহস্রাব্দের মাঝামাঝি দিকের বৌদ্ধ পাণ্ডুলিপি অনুসারে, কল্প বলতে বোঝায়, "যিনি সময়ের বাইরে চলে গেছেন"।.[৩] গৌতম বুদ্ধর মতে, পূর্বের কল্পগুলিতে অগণিত বুদ্ধের সংখ্যা ছিল।[৪] তিনি তাঁর শিক্ষাগুলি বর্তমান কল্পের সাথে সীমাবদ্ধ রেখেছেন এবং এ সময়কালের তিনি কোন গাণিতিক সংজ্ঞা দেননি।[৫]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Chapter 36: The Buddhas in the three periods of time"Buddhism in a Nutshell Archives। Hong Kong: Buddhistdoor International। ২০১৯-০৭-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-১২-২১ 
  2. Johnson, W.J. (২০০৯)। A Dictionary of Hinduism। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 165আইএসবিএন 978-0-19-861025-0 
  3. Sn 373
  4. Gogerly, Rev. Daniel John; Silva, Rev. David de; Scott, Rev. John (১৮৭০)। "Budhism: A Lecture delivered before the Colombo Young Men's Christian Association"Journal of the Ceylon Branch of the Royal Asiatic SocietyColombo। 1867–70, Part I: ৯১–৯২ (f.n. 4)। 
  5. Gogerly, Silva এবং Scott 1870