ওনাগার

স্তন্যপায়ী প্রাণীর প্রজাতি

ওনাগার (/ˈɒnədʒər/; Equus hemionus /ˈɛkwəs hɪˈmaɪənəs/) এশিয়া অঞ্চলের একটি বুনো গাধার প্রজাতি। এরা গোবর গাধা পরিবারের (Equidae) সদস্য। জার্মান প্রাণিবিদ পিটার সাইমন পালাস ১৭৭৫ সালে ওনাগার সম্পর্কে প্রথম বর্ণনা করেন এবং বিজ্ঞানসম্মত নামকরণ করেন। এই প্রাণীর ছয়টি উপপ্রজাতি রয়েছে, যাদের মধ্যে দুটি ইতিমধ্যেই বিলুপ্ত।[৩]

Onager
সময়গত পরিসীমা: ৪.৫–০কোটি Early PlioceneHolocene
A Persian onager (Equus hemionus onager) at Rostov-on-Don Zoo, Russia
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস সম্পাদনা করুন
মহাজগত: সংবাহী উদ্ভিদ (ট্র্যাকিওফাইট)
জগৎ/রাজ্য: অ্যানিম্যালিয়া (Animalia)
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণি: স্তন্যপায়ী (ম্যামেলিয়া)
বর্গ: Perissodactyla
পরিবার: Equidae
গণ: Equus
Subgenus: Asinus
Pallas, 1775
প্রজাতি: E. hemionus[১]
দ্বিপদী নাম
Equus hemionus[১]
Pallas, 1775
Subspecies
Onager range
প্রতিশব্দ

Equus onager (Boddaert, 1785)

একটি প্রাপ্তবয়স্ক এশীয় বুনো গাধা প্রায় ২০০-২৬০ কেজি (৪৪০-৫৭০ পাউন্ড) ওজনের হয়ে থাকে এবং মাথা থেকে শরীর পর্যন্ত এদের দৈর্ঘ্য প্রায় ২.১ মিটারের (৬.৯ ফুট) মতো হয়। তাদের গায়ের রঙ লালচে বাদামী বা হলদে বাদামী হয় এবং পিঠের ঠিক মাঝখান বরাবর একটি চওড়া কালো দাগ থাকে। বেশিরভাগ ঘোড়া এবং গাধার মতো, ওনাগারদের কখনই পোষ মানানো যায়নি। তারা খুবই দ্রুতগামী প্রাণী, ঘন্টায় ৬৪ কিমি (৪০ মাইল) থেকে ৭০ কিমি (৪৩ মাইল) বেগে দৌড়াতে পারে। ওনাগারের সাথে আফ্রিকান বুনো গাধার খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, কারণ উভয়ের পূর্বপুরুষ একই ছিল। একসময় কিয়াং-কেও ওনাগারের একটি উপপ্রজাতি বলে মনে করা হতো, কিন্তু বর্তমানে একে আলাদা একটি প্রজাতি হিসেবে গণ্য করা হয়।[৪]

একসময় ওনাগার দক্ষিণ-পশ্চিম ও মধ্য এশিয়া থেকে শুরু করে উত্তর এশিয়ার দেশগুলোতে (যেমন ইসরায়েল, সৌদি আরব, ইরাক, জর্ডন, সিরিয়া, আফগানিস্তান, রাশিয়া এবং সাইবেরিয়া) বিস্তৃত ছিল। এমনকি প্রাগৈতিহাসিক যুগে ইউরোপ জুড়েও এদের বিচরণ ছিল। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে, মধ্যপ্রাচ্য এবং পূর্ব এশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চল থেকে এই প্রজাতিটি হারিয়ে যায়। বর্তমানে, ইরান, পাকিস্তান, ভারত এবং মঙ্গোলিয়ার মরুভূমি এবং অন্যান্য শুষ্ক অঞ্চলে ওনাগারের দেখা মেলে। এছাড়া তৃণভূমি, প্রেইরি, স্টেপ এবং সাভানা অঞ্চলেও এদের বিচরণ রয়েছে।[১]

অন্যান্য বড় তৃণভূমির প্রাণীদের মতো ওনাগারও অবৈধ শিকার এবং আবাসস্থল ধ্বংসের কারণে বিপন্ন হয়ে পড়েছে। আগে এদেরকে বিপন্ন প্রজাতি হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল, কিন্তু ২০১৫ সালে IUCN রেড লিস্টে এদেরকে “প্রায়-বিপন্ন” হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। ওনাগারের পাঁচটি উপপ্রজাতির মধ্যে একটি বিলুপ্ত, দুটি বিপন্ন এবং দুটি প্রায়-বিপন্ন। চীনে এদের অবস্থা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না। আরব উপদ্বীপ, ইসরায়েল ও জর্ডনে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া সিরিয়ান বুনো গাধার স্থানে পার্সিয়ান ওনাগারদের পুনঃপ্রবর্তণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।[৫]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Grubb, P. (২০০৫)। "Order Perissodactyla"। Wilson, D. E.; Reeder, D. M। Mammal Species of the World (3rd সংস্করণ)। Johns Hopkins University Press। পৃষ্ঠা 632। আইএসবিএন 978-0-8018-8221-0ওসিএলসি 62265494 
  2. Kaczensky, P.; Lkhagvasuren, B.; Pereladova, O.; Hemami, M.; Bouskila, A. (২০২০)। "Equus hemionus"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা (ইংরেজি ভাষায়)। আইইউসিএন2020: e.T7951A166520460। ডিওআই:10.2305/IUCN.UK.2020-1.RLTS.T7951A166520460.en । সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০২১  অজানা প্যারামিটার |name-list-style= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  3. "Asiatic Wild Ass   Equus hemionus"IUCN। Gland, Switzerland: IUCN/SSC Equid Specialist Group। ২০ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  4. Bennett, E. Andrew; Champlot, Sophie; Peters, Joris; Arbuckle, Benjamin S.; Guimaraes, Silvia; Pruvost, Mélanie; Bar-David, Shirli; Davis, Simon J. M.; Gautier, Mathieu; Kaczensky, Petra; Kuehn, Ralph (২০১৭-০৪-১৯)। Janke, Axel, সম্পাদক। "Taming the late Quaternary phylogeography of the Eurasiatic wild ass through ancient and modern DNA"PLOS ONE (ইংরেজি ভাষায়)। 12 (4): e0174216। আইএসএসএন 1932-6203ডিওআই:10.1371/journal.pone.0174216 পিএমআইডি 28422966পিএমসি 5396879 বিবকোড:2017PLoSO..1274216B 
  5. "Asiatic Wild Ass   Equus hemionus"IUCN। Gland, Switzerland: IUCN/SSC Equid Specialist Group। ২০ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।