এল. আতির কৃষ্ণা

সঙ্গীত শিল্পী

আথিরা কৃষ্ণ, একজন ভারতীয় বেহালা বাদক। একক সংগীতানুষ্ঠানে তিনি টানা ৩২ ঘণ্টা কর্ণাটকী সঙ্গীত সংগীতের সুরে বেহালা বাজিয়ে গিনেস বিশ্ব রেকর্ড করার গৌরব অর্জন করেছেন। তিনি ভারতের কনিষ্ঠতম সাংস্কৃতিক রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে একজন।

আথিরা কৃষ্ণা
উপনামবেহালা আথিরা / আথিরা / এল. আথিরা কৃষ্ণা / এল. আথিরা
উদ্ভবতিরুবনন্তপুরম, কেরল, ভারত
ধরনকর্ণাটিক সংগীত, ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত, কর্ণাটিক বেহালা, বিশ্ব, জ্যাজ, ফিউশন
পেশাবেহালাবাদক, গায়ক, সুরকার
বাদ্যযন্ত্রবেহালা, ভায়োলা
ওয়েবসাইটathira.in

প্রাথমিক বছরগুলি

সম্পাদনা

কেরালার একটি সংগীত প্রিয় পরিবারে তাঁর জন্ম [] এবং তাঁর এক পূর্বপুরুষের নাম ছিল বিদ্বান শ্রী গোপাল পিল্লাই। তিনি ছিলেন একজন সুরকার এবং কর্ণাটক সঙ্গীতের তাঞ্জোর ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। []

কৃষ্ণা ছিলেন কে সি কৃষ্ণ পিল্লাই এবং এস লীলা কুরুপের কন্যা। তিনি তাঁর দাদু সংগীতা বিদ্বানের অধীনে তাঁর নিবিড় প্রশিক্ষণ শুরু করেছিলেন। শৈশবকালেই তিনি সংগীতের প্রতিভা দেখিয়েছিলেন। তিনি তাঁর বাবাকে গাইতে শুনে সঙ্গীত বাক্যাংশগুলি পুনরায় বলতে পারতেন।[]

কৃষ্ণা আট বছর বয়সে কন্ঠসংগীত ছেড়ে বেহালা হাতে নেন এবং শীঘ্রই প্রশংসা পেতে শুরু করেন। তিনি ৯ বছর বয়স থেকে কর্ণাটকী বেহালার একক বাদক হিসাবে বাজানো শুরু করেছিলেন। তিনি "ভারতীয় বেহালার রাজকুমারী" হিসাবে প্রশংসিত, এবং ভারতের প্রাক্তন প্রথম মহিলা (প্রেসিডেন্টের স্ত্রী) ঊষা নারায়ণান কর্তৃক "ভারতের সংগীত রত্ন" [] হিসাবে আখ্যায়িত হন, তিনি আন্তর্জাতিক সংগীত উৎসবে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

কৃষ্ণা ভারতের রাষ্ট্রপতির সরকারী বাসভবন রাষ্ট্রপতি ভবনে অনুষ্ঠানের জন্য দু'বার আমন্ত্রিত হয়েছিল। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ২০০১ সালে, ভারতীয় ধ্রুপদী সংগীতের প্রতিনিধিত্বকারী হিসাবে, তিনি নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শিশু সম্মিলনের জন্য "দক্ষিণ ভারতীয় ধ্রুপদী সংগীতে বেহালা" শীর্ষক একটি প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেছিলেন। ২০০২ সালে, তিনি কাজাকিস্তানে বছরব্যাপী সহস্রাব্দ উদযাপনের জন্য ২০ টিরও বেশি দেশের সংগীত ঘরানাগুলিকে সমন্বিত করে একটি অনন্য থিম্যাটিক 'ওয়ার্ল্ড মিউজিক নাইট' উপস্থাপন করেছিলেন।

২০০৩ সালে, কৃষ্ণা বিশ্বব্যাপী শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য নিবেদিত তাঁর ৩২ ঘণ্টা দীর্ঘ, বিরতিহীন, দক্ষিণ ভারতীয় ধ্রুপদী বেহালা কনসার্টের জন্য গিনেস বিশ্ব রেকর্ড করেছিলেন।[] 'নাধব্রহ্ম' শিরোনামের এই অনুষ্ঠানটি তাঁর খ্যাতিমান দাদুর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলিও ছিল। একই কৃতিত্বের জন্য তিনি লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে একটি জায়গাও করে নিয়েছিলেন। "ক্লাসিকাল ইন্ডিয়ান মিউজিক ইন ভায়োলিন" শীর্ষক রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ সংগীত উৎসবে বক্তৃতা বিভাগে সবচেয়ে কম বয়সী বক্তার মধ্যে তিনি ছিলেন। ২০০৫ সালে, জার্মানির মেনডেনের মেয়র তাঁকে আন্তর্জাতিক সংগীত উৎসব জাজ মিট ক্লাসিকসে বাজানোর জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিলেন। তিনি জার্মানির কায়সারওয়ার্থে ১০০০ বছরের পুরানো গির্জার অনুষ্ঠানে প্রথম ভারতীয় ধ্রুপদী শিল্পী হিসেবে বেহালা বাদন উপস্থাপন করেছিলেন।

২০০৫ সালে, কৃষ্ণা ভারতের রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালামের ৭৪ তম জন্মদিন উদযাপনের জন্য উদ্বোধনী সংগীতানুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "ARTIST PROFILES: L. ATHIRA KRISHNA"worldmusiccentral dot org। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০২০ 
  2. "L Athira Krishna"। ৩০ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০২০ 
  3. "L Athira Krishna"। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০২০ 
  4. ""Queen of Indian Violin""violinathira dot com। ৩০ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০২০ 
  5. "L Athira Krishna"chennaiyilthiruvaiyaru dot com। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০২০ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা