এম. এলা হুইপল

মার্কিন চিকিৎসক

এম. এলা হুইপল (২০শে জানুয়ারী, ১৮৫১ - ২৩শে মার্চ, ১৯২৪) একজন আমেরিকান চিকিৎসক ছিলেন।

এম. এলা হুইপল
জন্ম(১৮৫১-০১-২০)২০ জানুয়ারি ১৮৫১
বাটাভিয়া, ইলিনয়
মৃত্যুমার্চ ২৩, ১৯২৪(1924-03-23) (বয়স ৭৩)
লস এঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া
জাতীয়তামার্কিন
মাতৃশিক্ষায়তনউইলমেট বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাচিকিৎসক
দাম্পত্য সঙ্গীজন এম মার্শ (বি. ১৮২৬)

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

এলা হুইপল মার্শ ১৮৫১ সালের ২০শে জানুয়ারী বাটাভিয়ার ইলিনয়েতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পিতামাতা উভয়ই ইংরেজ বংশোদ্ভূত ছিলেন, তাঁর পিতা ছিলেন উইলিয়াম হুইপলের একজন বংশধর, যিনি স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরকারীদের একজন ছিলেন। তাঁর বাবা নিউইয়র্কের চৌতাউকা কাউন্টিতে জন্মগ্রহণ করেন এবং বড় হয়ে ওঠেন। তাঁর মা নিউ জার্সিতে জন্মগ্রহণ করেন এবং নিউইয়র্কের অরেঞ্জ কাউন্টিতে বড় হয়ে ওঠেন। তাঁরা দুজনেই ইলিনয়ে চলে যান এবং সেখানে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। ১৮৫২ সালে তাঁরা সমভূমি পেরিয়ে ওরেগনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন, পথে তাঁদের ছয় মাস লেগেছিল।[১]

তাঁর মা বহু বছর ধরে শিক্ষকতা করেছিলেন এবং দৈনন্দিন সংবাদপত্রের জন্য লিখতেন। ডাঃ হুইপলের শৈশব কেটেছে একটি খামারে। তিনি অধ্যয়নশীল, পরিশ্রমী এবং অধ্যবসায়ী ছিলেন এবং স্কুলে সর্বদাই সর্বোচ্চ অবস্থানে কাজ করেছেন। এলার স্কুলের দিনগুলি কেটেছিল ওয়াশিংটনের ভ্যাঙ্কুভারে। সেখানে তাঁর বাবা-মা নিজেদের সন্তানদের শিক্ষিত করার জন্য গিয়েছিলেন।[১][২]

তিনি ১৮৭০ সালে ভ্যাঙ্কুভার সেমিনারী থেকে স্নাতক হন। দুই বছর পর তিনি উইলমেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএস ডিগ্রি লাভ করেন এবং সেই প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক কোর্সও সম্পন্ন করেন।[১][২]

কর্মজীবন সম্পাদনা

তাঁর বিএস শেষ হবার পরের নয় বছর তিনি ওরেগন এবং ওয়াশিংটনে স্কুলে শিক্ষকতার জন্য অতিবাহিত করেছিলেন, সেখানে তিনি একজন সফল শিক্ষকের খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তিনি দুই বছর বেকার সিটি একাডেমির তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন এবং পরে অ্যাস্টোরিয়া পাবলিক স্কুলের অধ্যক্ষ ছিলেন।[১][২]

চিকিৎসা পেশার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে, তিনি অধ্যাপনা ছেড়ে দেন এবং তিন বছরের অধ্যয়নের পর ১৮৮৩ সালে উইলমেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল বিভাগ থেকে অনার্স সহ স্নাতক হন। তিনি মিশিগানের ব্যাটল ক্রিকের স্বাস্থ্যালয়ে বিশেষ অধ্যয়ন এবং হাসপাতালে অনুশীলনের সুবিধা পেয়েছিলেন। ১৮৮৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার পাসাডেনাতে চলে যাওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি ভ্যাঙ্কুভারে একজন সক্রিয় চিকিৎসক ছিলেন[১][২]

তিনি যেখানেই বসবাস করেছেন সেখানেই তাঁকে ধর্মীয়, সংযমী, পরোপকারী এবং স্বার্থহীন শিক্ষাকর্মী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সমান ভোটাধিকারের স্বীকৃতির আইন চালু হবার আগে ডঃ হুইপল দশ বছর ধরে মহিলাদের ভোটাধিকারের ক্ষেত্রে একজন কট্টর কর্মী ছিলেন এবং ওয়াশিংটনে ভোটাধিকার আন্দোলনের দ্বারা অর্জিত সম্মান এবং সুবিধাগুলির মধ্যে বেশিরভাগেরই অংশীদার ছিলেন। তিনি ১৮৮৪ এবং ১৮৮৬ সালে ক্লার্ক কাউন্টি রিপাবলিকান সম্মেলনে দুবার এবং একই বছরে টেরিটোরিয়াল রিপাবলিকান সম্মেলনে দুবার প্রতিনিধি ছিলেন। প্রথম সম্মেলনে তিনি বিশ্লেষণ কর্মিদলের সদস্য ছিলেন এবং দ্বিতীয় সম্মেলনে দলের কর্মপন্থা কমিটির সভাপতি ছিলেন। ১৮৮৪ সালে, ক্লার্ক কাউন্টি সম্মেলনে, তিনি পাবলিক স্কুলগুলির অধীক্ষকের (সুপারিনটেনডেন্ট) জন্য মনোনীত হন এবং একটি বৃহৎ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় নির্বাচিত হন, যদিও মনোনয়নে তিনজন ছিলেন। তিনি নিজের অফিসের দায়িত্ব এমনভাবে পালন করেছিলেন যাতে বন্ধুদের পাশাপাশি রাজনৈতিক বিরোধীদেরও সম্মান এবং আস্থা অর্জন করেছিলেন।[১][২]

মেথডিস্ট এপিস্কোপাল চার্চে তিনি বিভিন্ন সময়ে, যে পদগুলি একজন সাধারণ মানুষ পেতে পারে, তেমন প্রতিটি আধিকারিক পদ দখল করেছেন। এখানে তিনি ছিলেন একজন আন্তরিক সদস্য। ১৮৭৪ এবং ১৮৭৮ সালের নির্বাচনী সম্মেলনে তিনি তিনবার প্রতিনিধি ছিলেন[১][২]

পাবলিক স্কুলের অধীক্ষক হিসাবে তাঁর মেয়াদকালে ক্লার্ক কাউন্টি নরমাল ইনস্টিটিউট সংগঠিত হয়েছিল।[১][২]

তিনি টেম্পারেন্স আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন, বহু বছর ধরে একজন ভাল টেম্পলার ছিলেন এবং সেই ক্রমে প্রায় সমস্ত উচ্চ এবং দায়িত্বশীল পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।[১][২]

তিনি ওরেগন এবং ওয়াশিংটনে ওম্যান'স ক্রিশ্চিয়ান টেম্পারেন্স ইউনিয়নের সংগঠনের শুরু থেকে এবং পরে আবার ক্যালিফোর্নিয়ায় সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তাঁকে পরবর্তী দুটি রাজ্যে দায়িত্বশীল পদ সামলানোর জন্য ডাকা হয়েছিল।[১][২]

তিনি একজন পুঙ্খানুপুঙ্খ নিষেধাজ্ঞাবাদী ছিলেন এবং ক্যালিফোর্নিয়ায় তাঁর কাজের জন্য তাঁকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। ১৮৯০ সালে তিনি পাবলিক স্কুলের অধীক্ষকের জন্য লস এঞ্জেলেস কাউন্টি নিষেধাজ্ঞার টিকিটে মনোনীত ছিলেন।[১][২]

সাংবাদিকদের কাছে বহু বছর ধরে তিনি ভোটাধিকার আন্দোলনকারী, শিক্ষা কর্মী এবং সংযমী হিসেবে অবদান রেখেছিলেন।[১][২]

ডাঃ হুইপল বাথ ক্যাবিনেটের উদ্ভাবক ছিলেন।[১][২]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

তিনি জন এম মার্শকে (১৮২৬ - ১৯০৯) বিয়ে করেছিলেন। তাঁরা পাসাডেনাতে বেশ কয়েক বছর বসবাস করেছেন। ১৯০২ সালে তাঁরা লস এঞ্জেলেসে চলে আসেন।[৩]

তিনি ১৯২৪ সালের ২৩শে মার্চ মারা যান এবং লস অ্যাঞ্জেলেসের সানিসাইড ও লং বিচ সমাধিস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়।[৪]

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Willard, Frances Elizabeth, 1839-1898; Livermore, Mary Ashton Rice, 1820-1905 (১৮৯৩)। A woman of the century; fourteen hundred-seventy biographical sketches accompanied by portraits of leading American women in all walks of life। Buffalo, N.Y., Moulton। পৃষ্ঠা 765–766। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৭   এই নিবন্ধ এই উৎস থেকে পাঠ্য অন্তর্ভুক্ত করে, যা পাবলিক ডোমেইনে রয়েছে
  2.   এই নিবন্ধ এই উৎস থেকে পাঠ্য অন্তর্ভুক্ত করে, যা পাবলিক ডোমেইনে রয়েছে
  3. "Sunday, November 21, 1909"। ১৯০৯। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১৭ 
  4. "Thursday, March 27, 1924"। ১৯২৪। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১৭