এড্রিস অ্যালেন

সমাজকর্মী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব

এড্রিস এলেইন অ্যালেন (ওরফে ট্রটম্যান; ১৯ এপ্রিল ১৯০৯ – ১৬ মে, ১৯৯৫) ছিলেন একজন জ্যামাইকান সমাজকর্মী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং নারী অধিকারের উকিল। শৈশব থেকেই, তিনি সমাজসেবা শুরু করেছিলেন এবং বিয়ের আগে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে কেরানী হিসাবে কাজ করেছিলেন। তিনি জ্যামাইকা অল আইল্যান্ড টেলিফোন সার্ভিসের প্রথম টেলিফোন অপারেটর ছিলেন। সম্রাট ষষ্ঠ জর্জ তাঁর স্বামী আফ্রিকান বংশোদ্ভূত জ্যামাইকান স্যার হ্যারল্ড অ্যালেনেকে নাইটহুড সম্মাননায় ভূষিত করেছিল। হ্যারল্ডের স্ত্রী হিসাবে তিনি তাৎক্ষণিক তারকা বলে গিয়েছিলেন। তিনি প্রায়শই স্বামীর সাথে ভ্রমণে যেতেন এবং তাঁর সচিবের দায়িত্বও পালন করেছিলেন। জ্যামাইকা ফেডারেশন অব উইমেনের (জেএফডাব্লু) প্রতিষ্ঠাতা সদস্যসহ তিনি ১৯৫৯ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত এবং ১৯৭১ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত এর সভাপতি এবং ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৯৫ সালে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

এড্রিস অ্যালেন
১৯৭৭ সালে লেডি অ্যালেন
জন্ম
এড্রিস এলেইন ট্রটম্যান

(১৯০৯-০৪-১৯)১৯ এপ্রিল ১৯০৯
লিনস্টেড, সেন্ট ক্যাথেরিন প্যারিশ, ব্রিটিশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ
মৃত্যু১৬ মে ১৯৯৫(1995-05-16) (বয়স ৮৬)
জাতীয়তাজ্যামাইকান
অন্যান্য নামএড্রি, লেডি অ্যালেন; লেডি এলেন
পেশাকেরানী, খুচরা পরিচালক, টেলিফোন অপারেটর, সমাজকর্মী
কর্মজীবন১৯২৯–১৯৯৫
দাম্পত্য সঙ্গীহ্যারল্ড এগবার্ট অ্যালেন

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

এড্রিস এলেইন ট্রটম্যান[টীকা ১] ১৯৯৯ সালের ১৯ এপ্রিলে জ্যামাইকার ব্রিটিশ রাজ কলোনীতে সেন্ট ক্যাথেরিন প্যারিশের লিনস্টেডে অ্যালিস ও রবার্ট হেনরি ট্রটম্যান দম্পতির ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[২][৩][৪] তিনি বড় হয়ে লিনস্টেডে পড়াশোনা করেছিলেন। তারপরে তিনি কিংস্টনে চলে গিয়েছিলেন, সেখানে গিয়ে শুকনো সামগ্রীর দোকান শেরলক অ্যান্ড স্মিথের কেরানি হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন।[৫]

কার্যক্রম সম্পাদনা

১৯৪২ সালে তাঁর স্বামী যখন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অফিসার হিসাবে সম্মানিত হন, তখন তাঁকে সেন্ট অ্যান্ড্রু প্যারিশের জাস্টিস অফ দ্য পিস নির্বাচিত করা হয়েছিল।[৩][৬] ১৯৪৪ সালের দিকে তিনি গভর্নর জন হ্যাগিন্সের স্ত্রী লেডি মলি হ্যাগিন্সের সাথে জ্যামাইকা ফেডারেশন অব উইমেনে (জেএফডাব্লিউ) প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন।[৭][৮][৯]

মৃত্যু ও উত্তরসূরি সম্পাদনা

লেডি অ্যালেন জ্যামাইকার কিংস্টনের নাটল মেমোরিয়াল হাসপাতালে ১৯৯৫ সালের ১৬ই মে মৃত্যুবরণ করেছিলেন।[১০] স্যার হ্যারল্ড এবং লেডি অ্যালেনের দলিলগুলো তিনি লুইজিয়ানার নিউ অরলিন্সের অ্যামিস্টাড গবেষণা কেন্দ্রকে দান করেছিলেন। [১১] তাদের দলিলাদির মাইক্রোফিল্ম অনুলিপিগুলি একই সাথে জ্যামাইকা ইনস্টিটিউট, জ্যামাইকান ন্যাশনাল আর্কাইভস এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্ববিদ্যালয়কে দান করা হয়েছিল।[১২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

উদ্ধৃতি সম্পাদনা

  1. Civil Registrar 1909, পৃ. 7288।
  2. Civil Registrar 1909
  3. Hemming 1977
  4. Ustanny 1995
  5. The Gleaner 1959
  6. The London Gazette 1942
  7. Stabroek News 2010
  8. The Gleaner 1979a
  9. The Gleaner 2004
  10. The Gleaner 1995
  11. Border 1978
  12. The Gleaner 1979b

সূত্র সম্পাদনা

 

টীকা সম্পাদনা

  1. জন্মের সময় তাঁর নাম এড্রিস এলেইন ট্রটম্যান হিসাবে নথিভুক্ত করা হয়েছিল[১]