আলাপ:কনরাড ৎসুজে

সাম্প্রতিক মন্তব্য: Zaheen কর্তৃক ১৬ বছর পূর্বে "আলোচনা" অনুচ্ছেদে

আজব বানান

সম্পাদনা

নিবন্ধের শিরোনামের বানান দেখে আমার নিজেকে অশিক্ষিত মনে হচ্ছে। আমার বিদ্যায় কুলাইতেছে না বানানটা কি? আমার বাবা বাংলা ভাষায় অল্প বিস্তর লেখালেখি করেছেন এককালে, দেখি আমার বাবার বিদ্যায় কুলায় কিনা!!

আজব বানান

সম্পাদনা

নিবন্ধের শিরোনামের বানান দেখে আমার নিজেকে অশিক্ষিত মনে হচ্ছে। আমার বিদ্যায় কুলাইতেছে না বানানটা কি? আমার বাবা বাংলা ভাষায় অল্প বিস্তর লেখালেখি করেছেন এককালে, দেখি আমার বাবার বিদ্যায় কুলায় কিনা!!--বেলায়েত (আলাপ | অবদান) ১৪:৩৪, ৩০ অক্টোবর ২০০৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন

উইকিপেডিয়া:বাংলা ভাষায় জার্মান শব্দের প্রতিবর্ণীকরণ নিবন্ধে এটা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। বিদেশী ভাষার অনেক শব্দ আছে যেগুলো বাংলা ভাষায় প্রচলিত নয়। ফলে সেগুলি প্রথম প্রথম দেখলে আজব লাগতেই পারে। জার্মান z তেমনই একটি বর্ণ।
আরও অনেক (ব্যঞ্জন+ব্যঞ্জন)-এর জন্য কিন্তু ঠিকই যুক্তব্যঞ্জন আছে যেগুলি অতিপরিচিত এবং যেগুলি আমরা বিদেশী শব্দের, বিশেষ করে ইংরেজি শব্দের বানানে হরহামেশা ব্যবহার করি। যেমন ধরুন (স্‌+ক্‌) বর্ণযুগল। এটাকে আমরা স্ক এই যুক্তব্যঞ্জনটা দিয়ে ইংরেজি ভাষার sk, sc কিংবা sch বর্ণসমষ্টিগুলিকে নির্দেশ করি, যেমন স্কুল, স্কি, স্কাউট, স্ক্রু ইত্যাদি। কিন্তু এই স্ক কিন্তু আমাদের পূর্বপুরুষেরা উচ্চারণ করতে পারত না। কেননা "স্ক" দিয়ে শুরু হয় এরকম বাংলা শব্দ নেই বললেই চলে। কিন্তু এখন এগুলি উচ্চারণ করতে গিয়ে নিজেকে আর অশিক্ষিত মনে হয় না। বাংলায় ইংরেজি শব্দের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। অভ্যাসের ফলে শিক্ষিত বাঙালি ইশ্‌কুল, ইস্কি, ইস্কাউট, ইস্কুরুপ, এগুলি বলা ছেড়ে স্কুল, স্কি, স্কাউট, স্ক্রু এভাবেই উচ্চারণ করা শিখে গেছে। ইতালির এক ফুটবলারের নাম ছিল স্কিলাচি। ৫০-৬০ বছর আগে হলে বাঙালি হয়ত এটা দেখে পড়ত ইস্কিলাচি। এখন আর তা পড়বে না। এখন শিক্ষিত সচেতন বাঙালি শব্দের শুরুতে স্ক কী করে উচ্চারণ করতে হয়, তা শিখে গেছে।
এখন আলোচ্য জার্মান নাম Zuse-এর প্রসঙ্গে আসি। জার্মান ভাষায় z বর্ণটার উচ্চারণই হল (ত্‌+স্‌)। এটা ঐ ভাষার একটা ধ্বনিতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য। আদর্শ জার্মান ভাষাভাষীরা এটাকে কখনো স বা জ উচ্চারণ করবে না। করবে ৎস (ts)। বাংলার একটা শব্দ দেইঃ উৎস। উৎস শব্দের শেষ "ৎস"-টা (ত্‌+স্‌+অ) দিয়ে গঠিত। বাংলায় (ত্‌+স্‌)-এর জন্য আলাদা কোন যুক্তব্যঞ্জন নেই; বাংলা অক্ষরে এটাকে প্রকাশ করার উপায় ৎস্‌ (কিংবা হসন্ত বেশি দিয়ে দেখাতে চাইলে, ত্‌স্‌) । ত্‌স্‌ ধ্বনিটা উচ্চারণ করে দেখুন (উৎসের উ-টা বাদ দিয়ে চেষ্টা করুন)। বাংলা লিপি খুবই উন্নত মানের লিপি, এটা দিয়ে অনেক অজানা-অচেনা-বিরল ধ্বনি লেখা সম্ভব। কোন শিক্ষিত বাঙালি যদি সচেতনভাবে স্ক (স্‌ক্‌) উচ্চারণ করতে পারেন, তবে তিনি ৎস (ত্‌স্‌)-ও উচ্চারণ করতে পারবেন। প্রথমে খানিকটা অসুবিধা লাগবে। আমাদের অনেকে যেমন এখনও স্কুল-কে ইশকুল, ইত্যাদি বলেন, এরকম অনেক অনেক বাঙালি (লেখাপড়ার মানের উপর নির্ভর করে) হয়ত ৎস উচ্চারণ করতে গিয়ে অন্য কিছু উচ্চারণ করবেন ইৎসুজে, সুজে, ইত্যাদি। কিন্তু শিক্ষিত সচেতন বাঙালিমাত্রেই যেমন শুদ্ধভাবে স্কুল উচ্চারণ করা শিখে গেছেন, ঠিক তেমনি তিনি ৎস-ও উচ্চারণ করতে পারবেন, কারণ দুটোই একই জিনিস -- শব্দের শুরুতে (ব্যঞ্জন + ব্যঞ্জন)। একটাতে স্‌+ক্‌, অন্যটাতে ত্‌+স্‌। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১৬:৫৩, ৩০ অক্টোবর ২০০৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন
আমাদের কেন ইংরেজি যুক্তব্যঞ্জন শব্দের শুরুতে দেখে আর আজব লাগে না, আর কেন জার্মানগুলি দেখলে আজব লাগে, তার মূল কারণ হল আমরা ছিলাম ব্রিটিশ কলোনি। ইংরেজরা দুশ বছর ধরে আমাদের "নেটিভদের" ইংরেজিতে দীক্ষা দিয়েছে, তাই আমরা এখন দাঁতভাঙা ইংরেজি শব্দও বেশ সহজে উচ্চারণ করি। অন্তত দেখলে আর আজব লাগে না। তিন ব্যঞ্জনের যুক্তবর্ণ str দিয়ে শুরু ইংরেজি শব্দ strange স্ট্রেঞ্জ এখন শিক্ষিত বাঙালি অবলীলায় বলতে পারে। আমরা যদি ইংরেজদের জায়গায় জার্মান কলোনি হতাম, তবে শব্দের শুরুতে দুই ব্যঞ্জনের ৎস (ts) দেখে আর ঘাবড়াতাম না। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১৬:৫৯, ৩০ অক্টোবর ২০০৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন
নতুন শব্দ/বানান চালু করার দায়িত্ব উইকিপিডিয়ার না। original research পরিহার করুন। আমরা কাদের কলোনি হতে পারতাম, তা আমাদের বিবেচ্য না। নতুন বানানরীতি প্রবর্তনের দায়িত্বও বাংলা উইকিপিডিয়ার না। স্ক - আবিষ্কার উইকিপিডিয়া করেনি, প্রচলিত ব্যবহারে এসে গেছে। যখন আপনি অন্যত্র ৎস বানান চালু করাতে পারবেন, দয়া করে তখন উইকিপিডিয়াতে তা চালু করতে পারবেন। কিন্তু তার আগে কেবল আপনার মতে এটা হওয়া উচিৎ বলে জবরদস্তি করে চালু করাটা অনুচিৎ। এটা ছাড়াও অনেক বানানের ক্ষেত্রেই আপনি নিজের মতামত চাপিয়ে দিচ্ছেন, প্রচলিত বানানরীতির তোয়াক্কা না করেই।
যেদিন প্রচলিত সাহিত্য, মিডিয়া ও অন্যত্র শব্দের শুরুতে ৎস চালু হয়ে যাবে, সেই দিন সবার আগে আমি নিজেই এই বানান উইকিপিডিয়াতে যুক্ত করতে রাজি। কিন্তু তার আগে কারো ব্যক্তিগত মতামত ও "এটাই শুদ্ধ হওয়া উচিৎ" -এরকম মানসিকতার জবরদস্তি প্রয়োগ মানতে রাজি নই। উইকিপিডিয়া No-original-research মূলনীতির উপরে গড়ে তোলা ... কারো ব্যক্তিগত পছন্দে অপ্রচলিত বানানরীতি শুরু করাটা এই মূলনীতির পুরোই বিরোধী। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ১৮:৩০, ৩০ অক্টোবর ২০০৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন
আর শিক্ষিত বাঙালি কোন শব্দ উচ্চারণ করতে পারবে, বা কোন বানান দেখে তাদের ভড়কে যাওয়া উচিৎ না, আপনার ব্যক্তিগত মতামত আপনি অন্যদের উপরে চাপাতে পারেন না। প্রচলিত বানানরীতি সংস্কারের দায়িত্ব বাংলা একাডেমীর -- আপনার বা আমার না। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ১৮:৩৩, ৩০ অক্টোবর ২০০৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন


দেখুন, এ ব্যাপারে আমি আগেই অন্য অনেক নিবন্ধে মতামত দিয়েছি। বাংলা ভাষার সাহিত্যে, বিশেষ করে বাংলা বিশ্বকোষে জার্মান z-এর প্রতিবর্ণীকরণ হিসেবে ৎস ইতিমধ্যেই প্রচলিত হয়ে গেছে। সেই ১৯৭০-এর দশকে প্রকাশিত বাংলা বিশ্বকোষেই এটা প্রয়োগ করা হয়েছিল। মনে রাখুন, সেই বিশ্বকোষের সম্পাদনায় ছিলেন ডক্টর এনামুল হক, কাজী মোতাহের হোসেন, আবদুল্লাহ আল মুতী, ইবরাহীম খাঁ, প্রমুখের মতো বাঘা বাঘা ব্যক্তিরা। বাংলা বিশ্বকোষে জার্মান z দিয়ে শুরু হওয়া শব্দগুলিকে ৎস দিয়ে শুরু করা তো হয়েইছে, সেগুলিকে বর্ণানুক্রমিক সূচিতে ত-এর ঠিক পরে রেখে ৎ-এর অধীনে আলাদা করে রাখা হয়েছে। বাংলা বিশ্বকোষের ২য় খণ্ডে ৭৫০ ও ৭৫১নং পৃষ্ঠায় এরকম অনেকগুলি জার্মান ভুক্তি দেখা যায়, যেমন -

  • ৎস্‌ভাইশ্‌, আর্নল্ড Zweig, Arnold
  • ৎস্‌ভাইশ, শ্‌টেফান Zweig, Stefan
  • ৎসলফেরাইন Zollverein

ইত্যাদি ইত্যাদি আরও প্রায় ৭-৮টি Z দিয়ে শুরু হওয়া জার্মান নামবিশিষ্ট ব্যক্তি বা স্থানের উপর ভুক্তি, যেগুলির সবগুলি ৎস দিয়ে শুরু হয়েছে। সুতরাং আমি অরিজিনাল রিসার্চ করছি, এটা একদম বাজে কথা। আমি যা-ই লিখি, খুব ভেবেচিন্তে লেখার চেষ্টা করি।

আমি খানিকটা বিরক্ত হয়েই বলতে বাধ্য হচ্ছি, এ সম্পর্কে আরো কিছু জার্মান নামের নিবন্ধে (pinpoint করতে পারছি না) আমি একই রকম যুক্তি দিয়েছিলাম, বাংলা সাহিত্যে (বিশেষ করে বিশ্বকোষে) এগুলির ব্যবহারের উদাহরণও দিয়েছিলাম, তারপর যাতে কনফিউশান না হয়, সেজন্য জার্মান প্রতিবর্ণীকরণের একটা পাতাও সামীরউদ্দৌলার সাথে পরামর্শ করে তৈরি করলাম। কিন্তু আপনারা বারবার সেই একই ভাঙা রেকর্ড (অরিজিনাল রিসার্চ, বাংলা একাডেমী আগে বানাক, ইত্যাদি) বাজিয়ে যাচ্ছেন। আমার কাছে এটা অত্যন্ত পরিষ্কার যে আপনারা জার্মান জানেন না, এবং জার্মান শব্দ বাংলায় পূর্বে কোথায় কীভাবে প্রতিবর্ণীকরণ করা হয়েছে, সে সম্পর্কেও আপনাদের ধারণা ও জ্ঞান খুব বেশি নয়। এমনকি জার্মান শব্দের প্রতিবর্ণীকরণ সম্পর্কে আমাদের কী নীতিমালা গ্রহণ করা উচিত, সে সম্পর্কেও আপনাদের যথেষ্ট জ্ঞান আছে কি না, আমার সন্দেহ আছে। আমি বারবার একই যুক্তি দিতে দিতে খানিকটা বিরক্ত বোধ করছি। আপনারা যদি আমার আগের কথাগুলি ভুলে গিয়ে থাকেন, তবে আমার বলার কিছু নেই। কিন্তু আগের দেয় যুক্তিগুলি পরে এবং এ সম্পর্কে আমার একটি নীতিমালা পৃষ্ঠা তৈরি করার সৎ-উদ্যোগের কথা জেনেও যদি আপনারা এভাবে আমাকে বিরক্ত করেন, তাহলে তো সমস্যা। আমি ভদ্রতার খাতিরে ধরে নিচ্ছি আপনারা আগের আলোচনাগুলি হয়ত ভুলে গেছেন। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ২০:১২, ৩০ অক্টোবর ২০০৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন

জার্মান ভাষায় আমার কোনো মাথাব্যাথা নেই, আছে বাংলা ভাষা নিয়ে। বাংলা ভাষায় শব্দে ৎস ব্যবহার আদৌ করা হয় না। ব্যতিক্রম কখনো উদাহরণ হতে পারে না। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ২১:৫৩, ৩০ অক্টোবর ২০০৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন
আপনি কি ব্যাপারটা এখনও বুঝতে পারেন নি? বাংলা ভাষাতে ৎস অবশ্যই ব্যবহার হয়। বৎস, উৎস, কুৎসা, ইত্যাদিতে ব্যবহার হয়। আপনি আবারও ঢালাওভাবে বলে দিলেন যে ব্যবহার হয় না। বাংলা ভাষায় লেখা জার্মান শব্দের শুরুতেও ৎস ব্যবহার হয়। আমি সেই উদাহরণও দিয়েছি। আপনি আমাকে বললেন, আমি নাকি ব্যক্তিগত অভিমত চাপিয়ে দিচ্ছি, অরিজিনাল রিসার্চ করেছি। আমি হাতে কলমে দেখিয়ে দিলাম, আপনার দাবী ভুল। বাংলা ভাষায় বিশেষ কিছু জার্মান শব্দের (যেগুলি z দিয়ে শুরু হয়) প্রতিবর্ণীকরণের সময় ৎস ব্যবহৃত হয়েছে। কোন্‌ বাংলা বিশ্বকোষে, কোন খণ্ডে, কোথায় কী ভাবে, কোন্‌ পৃষ্ঠায় ব্যবহার করা হয়েছে, সেটার উদাহরণও আমি দিয়েছি। সেই সমস্ত বিশ্বকোষ শিক্ষিত, জ্ঞানীগুণী বাঙালিরাই যে লিখেছেন, ও সম্পাদনা করেছেন, সেকথাও উল্লেখ করেছি। এগুলির বিপরীতে আপনি তো কোন যুক্তি বা উদাহরণই এখনো দেখাতে পারলেন না। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৫:৪১, ৩১ অক্টোবর ২০০৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন


একটা মেটা-মন্তব্য যোগ করি। উইকিপিডিয়া একটা অসাধারণ জিনিস, তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু উইকিপিডিয়ার অনেকগুলি দোষও আছে, এবং এদের মধ্যে অন্যতম প্রধান দোষ হল উইকিপিডিয়া anti-meritocratic, অর্থাৎ যিনি আসলেই কোন কিছু জানেন, অনেক পড়াশোনা করা ব্যক্তি, তাঁকে যারা কিছুই জানে না, তারা খুব সহজেই, অনেকটা না বুঝেই, উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করে বিরক্ত করতে পারেন। ল্যারি স্যাঙ্গার তো এমনই বিরক্ত হয়েছিলেন, যে সিটিজেনডিয়াম-ই খুলে ফেললেন। আমি যদি এখন রাহুল দ্রাবিড়কে গিয়ে বলি তার স্টান্স ঠিক করতে, সে আমাকে পাত্তাও দেবে না। কিন্তু আমাকে যখন উইকিপিডিয়াতে আমার জানা জিনিস নিয়ে প্রশ্ন করা হয়, তখন আমাকে তা ব্যাখ্যা করতেই হবে। তা-ও অত্যন্ত সহজ ভাষায়। আমি জিনিসটা উপভোগই করি, তবে মাঝে মাঝে বিরক্তিরও উদ্রেক হয়। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ২০:৩১, ৩০ অক্টোবর ২০০৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন

তা বাংলাতেও সিটিজেনডিয়াম খুলে ফেলুন, সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কন্সেন্সাসের বদলে জোর করে চাপিয়ে দিতে পারবেন "আমিই সব জানি, আম জনতা গাধা বলে তাদের কথা শোনার দরকার নেই" - এরকম মনোভাব। উইকিপিডিয়া জনমানুষের অবদানেই গড়ে উঠেছে, কিছু বিশেষজ্ঞের elitist অবদানে না। বাংলা উইকিপিডিয়ারও বিস্তার ঘটেছে অ-বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমেই, তা ২০০৬ সালের ৫০০ খালি ভুক্তি হতে ১৬০০০ ভুক্তিতে উন্নীত হওয়া দেখে স্পষ্ট বোঝা যায়। অনুগ্রহ করে নিজেই সব জানেন, অন্যরা গর্দভতূল্য, এ ধরণের মানসিকতা ত্যাগ করুন। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ২১:৫৩, ৩০ অক্টোবর ২০০৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন
আমি নিজেই সব জানি, এ ধরনের মানসিকতা নেই বলেই তো এত কথা বলছি, এত ব্যাখ্যা করছি। বাংলা উইকিপিডিয়ার বিস্তার কার মাধ্যমে কতটুকু, কীভাবে ঘটেছে, তা সবই রেকর্ডে আছে। আর অ-বিশেষজ্ঞদের মতামত বিশেষজ্ঞের চেয়ে প্রাধান্য পাবে, এমন কোন কথা উইকিপিডিয়ার নীতিতে নেই। বরং সমস্ত উইকিপিডিয়ার নীতি হল যে বিষয় নিয়ে লেখা হচ্ছে, সে বিষয়ের উপর বিশেষজ্ঞদের লেখা সোর্স থেকে তথ্য ও উদাহরণ দিয়ে যুক্তি দেখালে, সেই যুক্তিই এখানে প্রাধান্য পাবে। এখন আপনিই বলুন, এই আলোচনায় বিস্তৃত যুক্তি ও যুক্তির স্বপক্ষে উদাহরণ কে দিয়েছে? আমি না আপনি? --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৫:৪১, ৩১ অক্টোবর ২০০৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন

আর রাগিব, আপনার একটা ব্যাপার আছে, সেটা হচ্ছে আপনি আপনার মতামতগুলি খুব জোর দিয়ে এবং অনেকটা absolutist ভঙ্গিতে বলে ফেলেন, ফলে মনে হয়, আপনি অনেক জেনেশুনে বলছেন। অনেক ক্ষেত্রে আপনি ঠিক মন্তব্যটাই জেনেশুনেই করেন। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনার মন্তব্যগুলি বেখাপ্পা শোনায়। যে জানে, তার কাছে এটা অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী টাইপের মন্তব্যের মত শোনায়। কয়েকদিন আগে বললেন দক্ষিণ আফ্রিকার সবাইকে ম্যান্ডেলা বলতে শুনেছেন, সবাইকে ল্যাটেক বলতে শুনেছেন, এখানেও অনেকগুলি কথা ঢালাওভাবে বললেন। আপনার good intention-এর প্রতি আমার আস্থা পুরোদমে আছে। কিন্তু যে জিনিসগুলি আপনি জানেন না, সে ব্যাপারগুলি এত জোর দিয়ে বলার ভিত্তি আমি খুঁজে পাই না। আপাতত এটা আপনার কথা বলার স্টাইল হিসেবে ধরে নিচ্ছি। কিন্তু মাঝে মাঝে এটাও যে বিরক্তির উদ্রেক করে, সেটাও ঠিক। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ২০:৫৪, ৩০ অক্টোবর ২০০৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন

আমার মন্তব্য আপনার মনে আনন্দ উদ্রেক করতে ব্যর্থ হয়েছে, সেই জন্য আমি যারপরনাই দুঃখিত। আপনার মন্তব্যের কারণে ইতিমধ্যে প্রচুর নতুন ইউজার চলে যেতে বাধ্য হয়েছে, তা আপনার বিভিন্ন বিষয়ে রীতিমত জবরদস্তি আচরণের জন্যেই। বাংলা উইকিপিডিয়া আপনার বা আমার একার সম্পত্তি না, এটার পরিবর্ধনের জন্য বহু মানুষের ছোট ছোট অবদান দরকার। আপনি নিজে একাই উইকিপিডিয়া বানাবেন, আর অন্যদের কথা সব সময় উড়িয়ে দিবেন, তাহলে উইকি-ভিত্তিক মিডিয়ামে কাজ না করে নিজের ওয়েবসাইটে কাজ করাই আপনার উচিৎ। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ২১:৫৩, ৩০ অক্টোবর ২০০৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন
আপনার কথাগুলিরও কোনই ভিত্তি নেই। জবাব দেওয়ার কোন প্রয়োজন মনে করছি না।--অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৫:৪১, ৩১ অক্টোবর ২০০৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন
নাক গলানোর জন্য দুঃখিত, তবে একটা ঘটনা বলি, কিছুদিন আগে একজন ব্যবহারকারী (খুব সম্ভবত বাংলা ভাল জানেন না)কে বলা হয়েছে, বাংলা না জানলে এখানে কাজ করার দরকার নেই। বাংলা উইকিতে কাজ করার তার বিপুল আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে এভাবে নিরুতসাহিত করার কোন অর্থ নেই। ব্যক্তিগত হতাশা কিংবা ক্ষোভ সৃষ্টি হতেই পারে, তবে উইকিপিডিয়াকে নিজের সম্পত্তি ভাবার কোন কারণ নেই। সেই ব্যক্তি যদি বাংলা নাও জানেন, হাজার উপায়ে তিনি এরপরও উইকিতে অবদান রাখতে পারেন, এমনকি উইকির মাধ্যমেই তার বাংলা শেখার শুরু হতে পারে। উত্তর দেবার প্রয়োজন মনে করছি না, বললে চলবে না। যে কেউ ইচ্ছামত আচরণ করে এবং কোন নিবন্ধকে নিজের সম্পত্তি মনে করে উইকিতে কাজ করতে পারে না। আর একথাই সত্যি যে, সাধারণ ব্যবহারকারীরাই উইকিপিডিয়ার আসল অংশ হিসেবে কাজ করে, অসাধারণরা মোটা মোটা বই লিখে বেশি দামে বিক্রি করতে পারেন। একথা অনস্বীকার্য যে, একজন বিশেষ (তথাকথিত গুণী ব্যক্তি নয়) ব্যক্তিত্ব, তার উতকর্ষতায় বাংলা ভাষাভাষীদের উইকি সংস্কৃতি গড়ে তুলতে অসাধারণ অবদান রেখেছেন। তার প্রতি সম্মান করে কথা বললে আশাকরি কারো ক্ষতি হবে না, প্রায় দু'বছর তার সঙ্গে কাজ করেছি, তাকে খুব খারাপ রুচির মানুষ মনে হয় নি, বরং আমার দেখা শ্নেষ্ঠ মানুষদের একজন। ধন্যবাদ।--তারিফ এজাজ ১৯:১৩, ৩১ অক্টোবর ২০০৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন

আপনি যেহেতু আমার approach এর ব্যাপারে মন খুলে মন্তব্য করেছেন, কাজেই আমিও করছি - আপনার পক্ষে collaborative কাজ করা সম্ভব না। অন্যদের সাথে collaborative কোনো কাজ করতে হলে যে রকম attitude দরকার, তা আপনার নেই। ঔদ্ধত্য নিয়ে চললে নিজে একাই বিশ্বকোষ লিখবেন অন্যদের মতামতের বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা না করে, সেরকম হলে আপনার উচিৎ নিজের ওয়েবসাইটে কাজ করা। বাংলা উইকিপিডিয়া গড়তে হলে হাজারো মানুষের অবদান লাগবে, ব্যক্তি হিসাবে আপনি যতই বিচক্ষণ, যতই "জ্ঞানী", "বিশেষজ্ঞ" হন না কেনো, জনমানুষের বিশ্বকোষ গঠন করা সম্ভব না। দয়া করে অন্যদের সাথে সহযোগিতার মনোভাব গড়ে তুলুন। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ২১:৫৩, ৩০ অক্টোবর ২০০৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন

এগুলি একেবারেই বাজে কথা। উত্তর দেয়ার রুচি বোধ করছি না। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৫:৪১, ৩১ অক্টোবর ২০০৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন
হ্যাঁ, আমারই রুচির এরকম দূর্দশা, যে আপনার উপরে উল্লিখিত মন্তব্যেরও জবাব দিয়েছি! Elitist মনোভাব যেকোনো collaborative প্রজেক্টের জন্য সর্বনাশ ডেকে আনে। এই ব্যাপারে কোনোই সন্দেহ নেই। ইংরেজি উইকিপিডিয়া যেমন লাখ লাখ non-elite মানুষের হাতে তৈরী হয়েছে, বাংলা উইকিপিডিয়াও হবে। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ০৫:৪৬, ৩১ অক্টোবর ২০০৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন
Elitism নিয়ে আপনি খুব চিন্তিত, সেটা বোঝা যাচ্ছে। উইকিপিডিয়া কী গতিতে এগোবে, কয় হাজার বা কয় লক্ষ মানুষ কতটুকু অবদান রাখবে, তা সময়ই বলে দেবে। আপনার-আমার এখানে তেমন কোন হাত নেই। আর বিশ্বকোষ লেখার কতগুলি নীতি আছে, সেগুলি মেনে চললে elite/non-elite সব মানুষের পক্ষেই উইকিপিডিয়াতে অবদান রাখা সম্ভব। Elitism-এর নামে গায়ের জোরে এক মত যেমন চাপিয়ে দেয়া ঠিক না, Collaboration-এর ধুয়া তুলে তার বিপরীত মত চাপিয়ে দেয়াটাও ঠিক না। উইকিপিডিয়া social experiment নয়, এটা elite আর non-eliteদের যুদ্ধক্ষেত্র নয়। এটা একটা বিশ্বকোষ রচনা প্রকল্প। বিশ্বকোষ বলতে কী বোঝায়, তার একটা ধারণা আমাদের কম বেশি সবার আছে। আপনারা বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের মত "আমরাই জনগণের আসল বন্ধু" টাইপের সস্তা শ্লোগান মার্কা কথাবার্তা বলে বাহবা কুড়াতে পারেন। কিন্তু বাঙালি এত বোকা না যে জ্ঞানীর মান দিতে জানে না। উইকিপিডিয়া একটা বিশ্বকোষ, এবং এসমস্ত বিশ্বকোষীয় নিবন্ধ ভালমত লেখা অত্যন্ত সুক্ষ্ম ও রীতিমত গবেষণার ব্যাপার। জীবনের অন্যান্য কাজে ব্যস্ত সাধারণ মানুষ সেগুলি খুব সহজে ধরতে পারবে না, এ কথা বলাটা অপমানসূচক নয়, বরং বাস্তবতার প্রতিফলন। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৬:১২, ৩১ অক্টোবর ২০০৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন
বাস্তবতার এটাও প্রতিফলন যে, অপ্রচলিত বানান ব্যক্তিবিশেষের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে চাপিয়ে দেয়াটা কখনো কাজে লাগে না। যায়যায়দিনের বাংলা বানান এর উদাহরণ। "আমরাই জনগণের আসল বন্ধু" এটা "সস্তা স্লোগান" ভাবতে পারেন, কিন্তু জনগণকে আহাম্মক মনে করাটা আপনার ব্যক্তিগত ঔদ্ধত্য। ইংরেজি উইকিপিডিয়ার লাখ লাখ নিবন্ধ এরকম "জ্ঞানী"রা বসে কমিটি করে লিখেনি। ব্রিটানিকা বা বাংলাপিডিয়ার মতো "বিশেষজ্ঞ"দের তত্ত্বাবধানেও লেখার দরকার হয়নি। Collaboration ছাড়া ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট হয়, ৫০০ খালি পাতা দিয়ে উইকিপিডিয়া ভরে দেয়া হয়, কিন্তু sustainable user base তৈরী করা যায় না। সাধারণ মানুষদেরকে "চুপ থাকেন" বলে নিজের "জ্ঞান" দেখিয়ে উড়িয়ে দেয়া একেবারেই উইকি-বিরোধী (যা বেশ কয়েকজন ইউজারের ক্ষেত্রে দেখলাম করা হয়েছে বেশ সফলভাবে) এবং collaboration এর উলটা। বাঙালি অবশ্যই এতো বোকা না যে কোনো বিশেষজ্ঞ এসে বাঙালির ভাষাকে নিজের মতো বানাতে চাইলে তাও গিলবে। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ০৬:৩২, ৩১ অক্টোবর ২০০৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন
এগুলির উত্তর দেয়ার কোন প্রয়োজন মনে করছি না। উত্তপ্ত হয়ে গেলে ঢালাওভাবে কথা বলতে আপনি পারদর্শী, আমার তা-ই আপাতত মনে হচ্ছে। এ অবস্থায় পড়া লোকের সাথে যুক্তি দিয়ে কথা বলে কোন লাভ নেই। আপনার মাথা ঠাণ্ডা হলে আবার কথা হবে। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৬:৪২, ৩১ অক্টোবর ২০০৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন
আমার মাথা সহজে উত্তপ্ত হয় না, ইংরেজি উইকিপিডিয়াতে গত তিন বছরে থাকার ফলে চামড়া অনেক মোটা হয়ে গেছে। আপনার সাথে এই বিষয়ে কথা বলা সম্পূর্ণ বৃথা, তা আমিও বুঝতে পারি। এরকম attitude এর ফলে বেশ কিছু উৎসাহী contributor চলে গেছে, তা দেখেছি গত বছর খানেক ধরে। একক বিশেষ-জ্ঞান দিয়ে শুরুর কয়েক বছরে যে ৫০০টি খালি পাতা তৈরী হয়েছিলো, এখনো কয়েক হাজার খালি পাতা পড়ে আছে, তা দিয়ে কেমন বিশ্বকোষ তৈরী হচ্ছে, সেটা বোঝাই যায়। মাথা "উত্তপ্ত" বলে বলছি না, ভদ্রতার খাতিরে এই কথাগুলো আগে বলা হয় নাই। কিন্তু কথাগুলো নির্মম সত্য ... উইকিপিডিয়ার জন্য একজন anti-collaborative বিশেষজ্ঞের চাইতে ১০ জন উৎসাহী আম-জনতা অনেক বেশী ভালো। ইংরেজি উইকিপিডিয়া তার চমৎকার উদাহরণ। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ০৭:০৩, ৩১ অক্টোবর ২০০৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন
ইংরেজি উইকিপিডিয়া আর বাংলা উইকিপিডিয়ার পরিস্থিতিতে সে আকাশ-পাতাল ফারাক, সেটা বোঝার মত বুদ্ধিও নিশ্চয়ই আপনার আছে। ইংরেজি ভাষা একটা আন্তর্জাতিক ভাষা। দুনিয়ার প্রায় একশ কোটি মানুষ দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ইংরেজিতে বলতে, লিখতে পারে, তাই বিশ্বের যেকোন প্রান্ত থেকেই ইংরেজি ভাষায় যে কেউ অবদান রাখতে পারেন, এবং এই পরিস্থিতি ইংরেজি উইকিপিডিয়ার অবদানের সংখ্যাধিক্যের অন্যতম প্রধান কারণ। বাংলাদেশের ও পশ্চিমবঙ্গের ইংরেজি জানা বাঙালি বা ভারতীয় লোকেরা ইংরেজি ভাষার উইকিপিডিয়াতে এ অঞ্চলের অনেক নিবন্ধ লিখে সমৃদ্ধ করেছেন, কিন্তু এর উল্টোটা কিন্তু ঘটছে না। ইংরেজি উইকিপিডিয়া "আম-জনতা" কেবল ইংরেজ বা আমেরিকান মাতৃভাষী নয়, বরং বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশের ইংরেজি ভাষী শিক্ষিত মানুষেরাই ইংরেজি ভাষায় লিখে ইংরেজি উইকিপিডিয়ার অবদান রাখেন ও একে সমৃদ্ধ করেন। এতে লাভ কার হচ্ছে? ইংরেজি ভাষারই। অন্যদিকে বাস্তবতা এই যে, বাংলা ভাষা ইংরেজির মত আন্তর্জাতিক ভাষা নয়। বাঙালিরা বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে নন, ফলে বিশ্বের আনাচে কানাচের বিভিন্ন জিনিস নিয়ে ডিটেল্‌স সহ নিবন্ধ যেমন ইংরেজি উইকিপিডিয়ায় গরম গরম আসতে থাকে, বাংলা ভাষার পক্ষে এটা সম্ভবই নয়। বেশির ভাগ বাংলাভাষী মানুষ একটা ছোট ভৌগলিক অঞ্চলে সীমাবদ্ধ এবং বিশ্ব সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি সেরকমই। আপনি জোর করে বাংলার মানুষকে বিশ্বের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে দিতে পারবেন না ও সেখান থেকে তার জিনিসপত্র রিপোর্ট করতে বলতে পারবেন না। এটা বাংলা ভাষার একটা systemic bias, যেটা ইংরেজি ভাষার নেই। ইংরেজি উইকিপিডিয়া সত্যিকার অর্থেই একটা আন্তর্জাতিক বিশ্বকোষ, বিশ্বের বহু দেশের, বহু ভাষার মানুষ এতে তাদের মতামত দিয়েছে, সব ইংরেজি ভাষায়। বাংলা উইকিপিডিয়ারও সেরকম আন্তর্জাতিক মানের বিশ্বকোষ হবার চেষ্টা করা উচিত। বাংলা উইকিপিডিয়া শুধুমাত্র বাংলাদেশের বিশ্বকোষ নয়, পশ্চিমবঙ্গের বিশ্বকোষ নয়, বাঙালির নিজস্ব বিশ্বকোষ নয়, ইংরেজি উইকিপিডিয়ার মত এটাও বাংলা ভাষায় লিখিত একটা আন্তর্জাতিক বিশ্বকোষ হতে হবে। আপনি কি আমার দৃষ্টিভঙ্গিটা বুঝতে পারছেন? আর এই জ্ঞানের দেয়া-নেয়ার মধ্যে আমাদের বাংলাদেশী/পশ্চিমবঙ্গীয়/বাঙালি কূপমণ্ডুকতা পরিহার করতে হবে এবং নতুন নতুন জিনিসের প্রতি উদারতা দেখাতে হবে। তাহলেই বাংলা উইকিপিডিয়া বর্তমান বাস্তবতার উপরে উঠে একটা সত্যিকার অর্থের আন্তর্জাতিক মানের বাংলা ভাষায় লেখা বিশ্বকোষ হতে পারবে। সেটা কেবল বাংলার আমজনতার বিশ্বকোষ হবে না, সেটা হবে সারা বিশ্বের আম-জনতার জন্য লেখা বাংলা ভাষার সেরা বিশ্বকোষ। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৮:০৩, ৩১ অক্টোবর ২০০৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন
আমি নিবন্ধের শিরোনাম অনতিবিলম্বে বাংলা প্রচলিত বানান রীতিতে লেখার অনুরোধ করছি।--বেলায়েত (আলাপ | অবদান) ০৩:৫৯, ৩১ অক্টোবর ২০০৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন
বাংলা ভাষায় জার্মান ভাষার শব্দের প্রতিবর্ণীকৃত রূপ কেমন হবে, তা নিয়ে কোন নীতিমালা কোন বাংলা প্রতিষ্ঠান এখনও প্রকাশ করেন নি। বাংলা ভাষায় জার্মান নামগুলিও মিডিয়াতে তেমন প্রচলিত হয়, একেক লেখক ও সংস্থা একেক ধরনের বানান ব্যবহার করেন। এই অবস্থায় উইকিপিডিয়াতে জার্মান শব্দগুলি কী ধরনের বানানে লেখা হবে, এবং সেগুলিতে যাতে সমতা থাকে, তা ঠিক করার জন্য উইকিপেডিয়া:বাংলা ভাষায় জার্মান শব্দের প্রতিবর্ণীকরণ নামের নীতিমালা পৃষ্ঠা খোলা হয়েছে। বাংলা উইকিপিডিয়াতে সব ধরনের জার্মান নাম এই নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিবর্ণীকরণ করা হবে। কনরাড ৎসুজে নিবন্ধের শিরোনামের জার্মান বানানটা পরিবর্তনের আগে আপনি দয়া করে উইকিপেডিয়া:বাংলা ভাষায় জার্মান শব্দের প্রতিবর্ণীকরণ পাতায় আপনার মতামত রাখুন এবং আপনি কোন জার্মান বর্ণের জন্য কোন ক্ষেত্রে কী রকম বানান দেখতে চান, সে সম্পর্কে যুক্তি সহকারে মতামত রাখুন।
Z দিয়ে শুরু হয়, এরকম জার্মান শব্দ বাংলায় ব্যবহারের পরিমাণ খুবই কম। কিন্তু বাংলা রচনায়, বিশেষ করে বিশ্বকোষে আগেও Z-এর জন্য ৎস ব্যবহার করা হয়েছে। যার অনেকগুলি উদাহরণ আমি ইতিমধ্যেই দিয়েছি। আপনি পারলে সেগুলি আরেকবার পড়ে দেখতে পারেন। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৫:৪১, ৩১ অক্টোবর ২০০৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন
হ্যা হ্যা আপনি ছাড়া আমরা সবাই গন্ডমূর্খ তা তো আমি আগেই স্বীকার করেছি, এও স্বীকার করছি যে Z-এর জন্য ৎস ব্যবহার হয়েছে। কিন্তু বাংলা ভাষায় লিখিত কোন শব্দ (তা যে ভাষারই হোক) কখনো ৎস দিতে শুরু হয়েছে তা আমার জানা নাই। অর্ণব ভাই আধুনিক বাংলা ভাষাবিদ হিসেবে স্বিকৃতি পাওয়ার কোন ব্যপার আছে নাকি?

আপনি যেমন গালাগালি দিচ্ছেন তা করার জন্য আজকে সকালে একটি IRC চ্যানেল খুলেছি। যা অন্যান্য উইকিপিডিয়ায়ও করা হয়েছে। আমি মনে করি আপনার সাথে এই অরুচিশীল আলোচনা ঐখানেই করা উচিত। তাতে সবার মান বাঁচবে। ধন্যবাদ। আলোচনা কখন করবেন তার সময় ঠিকানা সবাইকে মেইল করে দিতে পারেন। যার সময় থাকবে সে অংশ নিবেন। ব্যাস। আর বানানের ব্যপারটা আপনি উল্টো করছে বলে আমার ধারণা বাংলা ভাষার ৎস কে জার্মান Z না বানিয়ে আপনি জার্মান ভাষার Z কে ৎস করছেন। শব্দটা জার্মান হলেও বানান তো বাংলা, নাকি!! গুস্তাখি মাফ কি জিয়ে (আল্লাহই জানে এটা নিয়া না কি কয়)। এখন থেকে evabe likhbo tate ontoto bangla vashay notun banan to poyda hobe na.--বেলায়েত (আলাপ | অবদান) ০৬:৪৫, ৩১ অক্টোবর ২০০৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন

বেলায়েত, অন টপিক উত্তর দেই। আপনি বলছেন "বাংলা ভাষায় লিখিত কোন শব্দ কখনো ৎস দিতে শুরু হয়েছে তা আমার জানা নাই।" আপনার এই কথার উত্তর হচ্ছে, হ্যাঁ হয়েছে। বাংলা বিশ্বকোষ বাংলা ভাষায় লিখিত একটি বিশ্বকোষ এবং সেখানে এই বানান অনেকবার ব্যবহার করা হয়েছে। উপরের আলোচনায় দেখুন আমি উদাহরণ দিয়েছি। আর এই নিবন্ধটা একজন জার্মান লোকের উপর, তার নামটা জার্মান - Konrad Zuse। আমরা তাই এখানে জার্মান একজন লোকের নাম বাংলা প্রতিবর্ণীকরণ করছি। অর্থাৎ তাঁর নাম জার্মান ভাষায় জার্মান হরফে লেখা, সেটাকে আমরা এখানে বাংলা হরফে লিখছি। প্রতিবর্ণীকরণ কী, সে বিষয়ে আমাদের সবার স্বচ্ছ ধারণা থাকা প্রয়োজন। এক ভাষার বর্ণ/বর্ণগুচ্ছে লেখা কোন শব্দ অন্য একটি ভাষার বর্ণ/বর্ণগুচ্ছের শব্দে রূপান্তরিত করার প্রক্রিয়াকে বলে প্রতিবর্ণীকরণ। এই ক্ষেত্রে আমাদের source language বিদেশী একটি ভাষা (জার্মান) আর target language আমাদের বাংলা ভাষা। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে জার্মান ভাষার শব্দটির উচ্চারণ ও বানান যথাসম্ভব অবিকৃত রেখে প্রতিবর্ণীকরণ করে বাংলা লিপিতে লেখা। এক্ষেত্রে যে দুইটি ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে আমাদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে, তা হল (১) জার্মান ভাষায় শব্দটার উচ্চারণ কী রকম, এবং (২) বাংলা লিপিতে সেই উচ্চারণটি লেখার জন্য বর্ণ/বর্ণসমষ্টি কী আছে এবং কী নীতি অনুসারে input-এ জার্মান কিছু বর্ণ/বর্ণসমষ্টির জন্য আমরা output-এ বাংলা কী কী বর্ণ/বর্ণসমষ্টি রাখব। জার্মান ধ্বনিতত্ত্ব থেকে আমরা জানি যে জার্মান ভাষায় Z বর্ণটির উচ্চারণ আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালায় [ts] অর্থাৎ বাংলা ত্‌+স্‌। এখন আমাদেরকে দেখতে হবে এই ত্‌+স্‌-এর যুক্ত রূপ বাংলায় কী রকম। বাংলাতে ত্‌+স্‌ দুইভাবে লেখা যায়, একটা হচ্ছে ভেঙে দেখিয়ে, যেমন ত্‌স্‌। কিন্তু এটা প্রচলিত নয়, এবং এটাতে হসন্তের আধিক্য বেশি; যদি কোন শব্দের উচ্চারণ নিতান্তই চোখে আঙুল দিয়ে কাউকে দেখিয়ে দিতে হয়, কেবল সেসব ক্ষেত্রেই ত্‌স্‌ এভাবে লেখা হয়। (ত্‌+স্‌)-কে আরেকভাবে লেখা যায় - ৎস্‌। এই রূপটা লিখিত বাংলায় বেশি প্রচলিত। যেমন - উৎস, বৎস, চিকিৎসা, কুৎসা, ইত্যাদি। তাই জার্মান Z বর্ণটি যদি ইনপুট হয়, তবে আউটপুটে আমরা বাংলায় লিখতে পারি ৎস্‌। বাংলা একটি উন্নত মানের লিপি এবং এভাবে একটি সুচিন্তিত নীতি মেনে জার্মান Z বর্ণটির বাংলা প্রতিবর্ণীকরণ সম্ভব। এই নীতি অনুসারে জার্মান ভাষার কোন শব্দের যেকোন জায়গায় Z দেখলেই আমরা তাকে "ৎস" দিয়ে সহজেই প্রতিস্থাপিত করতে পারি। এই Z জার্মান ভাষার শব্দের শুরুতে, মাঝে, শেষে, যেকোন জায়গাতেই বসতে পারে এবং আমরাও ঠিক সেইসব জায়গাতে ৎস দিয়ে বাংলায় প্রতিস্থাপন করতে পারি। আলোচ্য Zuse শব্দটাতে Z জার্মান শব্দের শুরুতে বসেছে। তাই উপরের নীতি অনুসারে আমরা ৎসু দিয়ে শব্দটা শুরু করেছি।

এটাতো গেল প্রতিবর্ণীকরণের কী নিয়ম ব্যবহার করা হয়েছে, তার আলোচনা। এবার অচেনা লাগার প্রসঙ্গটায় আসা যাক। বাংলা ভাষায় জার্মান ভাষার জিনিসপত্র অনুবাদ অনেক কম হয়েছে। জার্মান ভাষায় Z দিয়ে শুরু হওয়া শব্দের পরিমাণ এমনিতেই কম। তাই স্বাভাবিকভাবেই বাংলা ভাষায় এ ধরনের Z দিয়ে শুরু হওয়া নামের অনুবাদ অত্যন্ত কম হয়েছে। বাংলা অঞ্চলের মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ও সংস্কৃতিতে জার্মান শব্দ বলার তেমন কোন প্রয়োজন পড়ে না। আর Z বর্ণ দিয়ে শুরু হওয়া জার্মান নামের ব্যবহার তো আরও কম। বিশেষ কিছু গ্রন্থ (মূলত রেফারেন্স, কিংবা ভ্রমণকাহিনী) ছাড়া এসব নাম বাংলা সাহিত্যের বা বাংলা রচনায় কোথাও দেখতে পাওয়া দুষ্কর। আর তেমনই একটি বিশেষ গ্রন্থ হল বাংলা বিশ্বকোষ। আর তারা Z-এর প্রতিবর্ণীকরণ ৎস-ই করেছেন। শব্দের শুরুতেও। যেগুলির অনেকগুলি উদাহরণ আমি উপরে দিয়েছি।

এখন উইকিপিডিয়ার নীতি হল আপনি আপনার মতামত প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে আপনাকে যুক্তি দিয়ে কথা বলতে হবে এবং যাচাইযোগ্য রেফারেন্স দিতে হবে। আমি উপরে তা-ই করেছি। বাংলা ভাষায় জার্মান Z শব্দের প্রতিবর্ণীকরণ কেন ৎস করা উচিত, কীভাবে করা উচিত, সে সম্পর্কে আমি জার্মান ভাষার ধ্বনিতত্ত্ব ও বাংলা লিপির বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে বিস্তৃত যুক্তিভিত্তিক আলোচনা করেছি, এবং একই সাথে এই ৎস বাংলা ভাষার প্রয়োগের বাস্তব উদাহরণের যাচাইযোগ্য রেফারেন্স দিয়েছি। শুধু তাই নয়, উইকিপিডিয়া যেহেতু একটি উন্মুক্ত প্রক্রিয়া এবং এখানে সবাই মতামত রাখতে পারেন ও আলোচনার ভিত্তিতে একমত হতে পারেন, সে জন্য আমি বাংলা ভাষার জার্মান ভাষার প্রতিবর্ণীকরণের একটা পাতাও খুলেছি - উইকিপেডিয়া:বাংলা ভাষায় জার্মান শব্দের প্রতিবর্ণীকরণ। এই প্রতিবর্ণীকরণ পাতার উদ্দেশ্য হল ব্যবহারকারীরা উইকিপিডিয়ার সর্বত্র জার্মান শব্দের প্রতিবর্ণীকরণ করার সময় পাতাটি রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করবেন। ফলে উইকিপিডিয়ার ভেতরে জার্মান শব্দের বাংলা বানানের ভুল বোঝাবুঝি কম হবে এবং বানানের ক্ষেত্রে একটা সমতা আসবে, যা যেকোন বিশ্বকোষের জন্যই একটা অপরিহার্য ব্যাপার। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৭:৩৫, ৩১ অক্টোবর ২০০৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন

সকালে যখন কম্পিউটার ছেড়েছি তখন কেবল সূচনা হযেছিলো ,দুপুরে ভার্সিটির কম্পিউটার থেকে ঢুকেও দেখি আলোচনা চলছে, বিকালেও যখন ঢুকলাম দেখলাম নতুন মন্তব্য যোগ হয়েছে। সম্পূর্ণ আরোচনার শেষে আমি একটি মন্তব্য দিতে চাই ।Please do not take this as a offense , এবং আমার নিজের জার্মান সম্পর্কে ধারনা খুব কম (খুবই অল্প-সল্প পারি বলা যায়), এবং আমি এটাও স্বীকার করে নিলাম যে জার্মান z এর উচ্চারন ৎস এর মত হওয়া উচিত (সম্ভব হলে পরে কোন সময় এসম্পর্কে ঢাবির ভাষা ইন্সটিটিউটে খোঁজ নেবার চেষ্টা করব বাংলা বিশ্বকোষটাও খুঁজে দেখতে হবে। কোন লাইব্রেরিতে পাওয়া যায় কিনা।)

আমার বক্তব্য হলো এই--এটি শুদ্ধ বানান হলেও এক্ষেত্রে প্রধান অসুবিধা হলো-হসন্ত যুক্ত অক্ষর শব্দের শুরুতে দিয়ে উচ্চারন করে আমরা অভ্যস্ত নই। তাই এটির সঠিক উচ্চারন আমাদের পক্ষে করা সম্ভব নয়। আর ভাষাবিদরা একটি অভিধান প্রথম সম্পাদনা করার সময় তত্ত্বগত দিকটাই দেখেন ব্যবহারিক দিক দেখেন না। এজন্য সবক্ষেত্রে তাদের সব Theory ব্যবহারিক উচ্চারনের ক্ষেত্রে ততটা কার্যকরী ভূমিকা পালন করেনা। তারা হয়তো Zollverein নিবন্ধটি ৎসলফেরাইন হিসাবে লেখাকে তত্ত্বগতভাবে ঠিক ধরেছেন কিন্তু (with all due respect) তাদের কেউ ৎ দিয়ে শুরু কোন শব্দ উচ্চারনকরতে পারবেন না (এটি তাদেরকে হেয় করার জন্য বলা হয়নি , বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য )। পরবর্তীতে তাদের তত্ত্বগত উচ্চারন শুধু অভিধানেই সীমাবদ্ধ থাকে (যেমন আইনস্টাইন যখন আপেক্ষিকতা সূত্র প্রকাশ করার পর যখন চারিদিকে হৈ-চৈ পরে গিয়েছিলো, তখন একজন ব্যক্তি তাকে বলেন- আপনার আপেক্ষিকতা সূত্রটিকে আমি সঠিক বলে মনে করিনা। মৃদু হেসে আইনস্টাইন জবাব দেন-আমিও করিনা।)। কনরাড ৎসুজে কে বাংলায় উচ্চারন করা তখনই সম্ভব হবে যদি এটিকে কনরাডৎসুজে হিসাবে লেখা যায়। কারন ৎ দিয়ে শব্দ শুরু করলে শুরুর হসন্ত উচ্চারন করা যায় না। এসব জটিল শব্দের ক্ষেত্রে যারা ভাষাশিক্ষা দেন-তারা আঞ্চলিক উচ্চারনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করেন। তাই প্রথমত আমাদের খোঁজ নিতে হবে জার্মান Z এর বাংলায় প্রচলিত কোন উচ্চারন আছে কিনা? যদিথাকে তাহলে সেটা ব্যবহার করাই যুক্তি সম্মত হবে। দ্বিতীয়ত অনেক সময় ভাষাবীদরা বিদেশিভাষার শব্দকে সরাসরি বাংলায় উচ্চারন করা না গেলে ঐ শব্দের ইংরেজি উচ্চারকে বাংলায় ব্যবহার করে থাকেন। আমরা এই শব্দটির ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিটিও অনুসরন করতে পারি। আপনার একটু দয়া করে দেখবেন জার্মান Z দিয়ে শুরু শব্দগুলিকে ইংরেজিতে কিভাবে উচ্চারন করা হয়? পরিশেষে বলতে চাই আমাদের বাংলা উইকিতে এক একটি নিবন্ধ নিয়ে এধরনের আলোচনাই প্রমান করে যে এস্থানে আসলেই নিবেদিত প্রাণ ব্যক্তি রা কাজ করে। অন্যান্য বেশিরভাগ উইকিতে আলোচনা পাতাটি খালি থাকে। আমাদের উইকির বেশিরভাগ নিব্নধর আলোচনা পাতাই পূর্ণ। সবাইকে ধন্যবাদ। --দায়ীন(আলাপ)/(অবদান) ১২:২৪, ৩১ অক্টোবর ২০০৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন

দায়ীন, বাংলায় জার্মান Z-এর কি বানান প্রচলিত, তার হদিস জানতে হলে আমাদেরকে দেখতে হবে বাংলায় অনূদিত জার্মান সাহিত্যগুলির দিকে। এগুলি সংখ্যা বাংলায় বেশ কম। এবং এগুলিতে একেকটিতে একেকরকম জার্মান বানান ব্যবহৃত, এ কারণে আমার মতে সেই বানানই অনুসরণ করা উচিত, যেটা কোন রেফারেন্স বইতে পাওয়া যাবে। Z-এর প্রতিবর্ণীকরণ ৎস -- এটা আমি বাংলা বিশ্বকোষে দেখেছি, শিশু একাডেমীর প্রকাশিত শিশু বিশ্বকোষেও দেখেছি। বাংলার রেফারেন্স বইগুলির ভিতরে এই দুইটিতেই অনেকগুলি জার্মান নামের প্রতিবর্ণীকরণ পাওয়া যায়, এবং দুইটিতেই Z-এর জন্য ৎস ব্যবহার করা হয়েছে, এমনকি শব্দের শুরুতেও।

এবার আমার অবস্থান সথাসম্ভব পরিস্কার করে আবারও বলি।

  • জার্মান ভাষায় যে Z-টা ত্‌স্‌ উচ্চারিত হয়। (এখানে ত্‌-টা বাংলা ত্‌-এর মত; স্‌-টা ইংরেজি s-এর মত)
  • বাংলা লিপিতে ত্‌ এবং স্‌ দুইটি বর্ণই আছে।
  • বাংলা লিপিতে তাই ত্‌ ও স্‌-কে Z-এর প্রতিবর্ণীকরণের ভিত্তি বর্ণ হিসেবে ব্যবহার করতে কোন বাধা নেই।
  • বাংলায় ত্‌ ও স্‌ একত্রে যেরূপে বেশি লিখিত হয়, সেই রূপটি হচ্ছে ৎস্‌।
  • সুতরাং, বাংলা লিপিতে জার্মান Z-কে ৎস দিয়ে প্রতিবর্ণকরণ করতেও কোন বাধা নেই।
  • জার্মান ভাষার কিছু কিছু নামে Z শব্দের শুরুতে বসে, এবং সেক্ষেত্রেও জার্মান লোকেরা সেটাকে ৎস-ই উচ্চারণ করে। একজন বাঙালির কাছে এটা অদ্ভূত লাগতে পারে, কিন্তু একজন জার্মান তাঁর দৈনন্দিন কাজে এভাবে Z (ৎস্‌) দিয়ে শুরু হওয়া অনেক শব্দই উচ্চারণ করে থাকেন।
  • বিদেশী শব্দ ছাড়া বাংলাতে শব্দের শুরুতে ৎস-এর প্রচলন নেই। কিন্তু শব্দের মাঝে ও শেষে ৎস আছে।
  • ইংরেজি ভাষার আগমনের পূর্বে বাংলাতে কোন শব্দের শুরুতে এরকম অনেক যুক্তব্যঞ্জনই প্রচলিত ছিল না। যেমন - str স্ট্র যুক্তব্যঞ্জনটা শব্দের শুরুতে প্রচলিত ছিল না। কিন্তু এখন হয়েছে। ইংরেজি বিশেষ শব্দ, যেগুলি স্ট্র দিয়ে শুরু হয়, সেগুলি আমরা লেখার সময় স্ট্র লিখেই শুরু করি। যেমন - স্ট্রিং, স্ট্রেঞ্জ, ইত্যাদি। এই শব্দগুলি আগে বাঙালি অনেকেই উচ্চারণ করতে পারত না। কিন্তু শিক্ষার মান বৃদ্ধির সাথে সাথে উচ্চারণের ক্ষেত্রে সচেতনতা আসায় এইগুলি এখন অনেক বাঙালি শুদ্ধভাবে উচ্চারণ করতে পারে।
  • জার্মান ৎস্‌-ও ঠিক একইভাবে সচেতনভাবে উচ্চারণ করা সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশে যারা জার্মানিতে যাওয়ার জন্য, বা জার্মান ভাষা শুদ্ধভাবে পড়ার জন্য জার্মান শিখছেন, তাদেরকেও ঠিক এভাবেই শব্দটি উচ্চারণ করতে বলা হয়। এটা জার্মান ভাষার উচ্চারণের একেবারে প্রাথমিক একটি পাঠ। এবং শিক্ষার্থীরা ধ্বনিটি আয়ত্ত করতে সক্ষমও হন। অর্থাৎ বৈজ্ঞানিকভাবেই শব্দের শুরুতে ৎস উচ্চারণ করা সম্ভব।
  • আমি মনে করি, কোন বিদেশী শব্দের প্রতিবর্ণীকরণ ঐ বিদেশী ব্যক্তি যেভাবে উচ্চারণ করেন, তার যথাসম্ভব কাছাকাছি উচ্চারণ বজায় রেখে আমাদের প্রতিবর্ণীকরণ সম্পাদন করা উচিত। আমরা জার্মান শব্দের ইংরেজি বিকৃত উচ্চারণের প্রতিবর্ণীকরণ এখানে করছি না, বরং জার্মান শব্দের জার্মান উচ্চারণের প্রতিবর্ণীকরণ করছি।
  • অনেক বাঙালি আছেন, যারা আদর্শ চলিত বাংলা শুদ্ধভাবে বলতে পারেন না। তাদের কথায় আঞ্চলিক টান এসে পড়ে। তাই বলে সেজন্য আদর্শ চলিত ভাষার কিছু কিছু বর্ণ সিলেটি ভাষার মত করে, কিছু বর্ণ নোয়াখালির ভাষার মত করে, কিছু কিছু রাজশাহীর ভাষার মত করে কেউ উচ্চারণ করে না। "চামড়া" শব্দটাকে বাঙালিভেদে সামড়া, চামরা, ছামরা, হামরা, ইত্যাদি আরও বহু আঞ্চলিক উচ্চারণ হতে পারে, এবং এরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ আঞ্চলিক ভাষার দৃষ্টিকোণ থেকে ঠিক। কিন্তু আমরা যখন একটা বিশ্বকোষ বা এ জাতীয় রেফারেন্স বই লিখি, তখন আমরা একটা আদর্শ বানানে জিনিসটা স্থির করে নেই। এক নিবন্ধে ছামরা, আরেক নিবন্ধে সামড়া, ইত্যাদি লিখি না। আমরা লিখি চামড়া। এখন যিনি সিলেটি, নোয়াখালি, বা চাটগাঁইয়া, তিনি বেঁকে বসে বলতে পারেন যে তার উচ্চারণই ঠিক, তার বাপ-দাদা চৌদ্দগুষ্টি এবং তিনি সারাজীবন চ-কে স-ই বলে এসেছেন, ইত্যাদি। কিন্তু এভাবে সব মানুষের উচ্চারণ কে স্থান দিতে গেলে কোন রেফারেন্স লেখা যাবে না। তাই বাংলায় যদি কেউ আদর্শ চলিত ভাষায় লিখতে বা কথা বলতে চান, তাদের সবাইকেই আদর্শের সাথে মানিয়ে নিতে হয়। বাংলা ভাষায় প্রতিবর্ণীকরণের সময়ও একটা আদর্শ থাকা লাগবে, এবং সেই আদর্শের সাথে সবাইকে মানিয়ে নিতে হবে। বাংলার অনেক মাটির মানুষ আছে যারা আদর্শ চলিত উচ্চারণে ঠিকমত বাংলা বর্ণগুলিই উচ্চারণ করতে পারে না। খ বলতে পারে না, বলে ক-হ, ঘ বলতে পারে না, বলে গ-হ। কিন্তু এদেরকে শিক্ষিত ও সচেতন করে তুললে এরাও খ, ঘ বলতে পারে এবং সেটা ঘটেও।
  • তাই Z দিয়ে শুরু হওয়া জার্মান শব্দের বাংলায় প্রতিবর্ণীকরণের ফলে যদি শব্দের শুরুতে ৎস বসে, সেটার উচ্চারণ কী হবে, সেটা নিয়ে কেউ কেউ দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়তে পারেন, কিন্তু এটা শুধুমাত্রই অচেনা জিনিস হওয়ার কারণে (অনেকটা একজন আঞ্চলিক বাঙালি শুদ্ধ চলিত বাংলা পড়তে গিয়ে যে সমস্যায় পড়েন - স বলবেন, না ছ বলবেন? প বলবেন, না ফ বলবেন?)। অথচ আমরা যদি কতগুলি সুস্পষ্ট নীতি মেনে জার্মান প্রতিবর্ণীকরণ করতে চাই, তবে শব্দের শুরুতেও ৎস লিখলেই সবচেয়ে ভাল হয়। এটাতে জার্মান শব্দটির ধ্বনিতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যকে যেমন যথাসম্ভব সফলভাবে উপস্থাপন করা যায় (পুরোপুরি সফলভাবে কখনোই সম্ভব না), ঠিক একইভাবে বাংলা লিপিরও যথাসম্ভব efficient ব্যবহার করা হয়। এটা কোন হঠাৎ আবিস্কৃত বানান নয়, আমাদের পূর্বসূরীরাও এই জার্মান শব্দগুলির সামনে পড়েছিলেন, এবং তারাও শব্দের শুরুতে ৎস ব্যবহার করেই সমস্যার সমাধান করেছেন। আরেকটা বড় ব্যাপার হল আমাদের প্রতিবর্ণীকরণের নীতি যাতে স্বচ্ছ হয়, কোন বর্ণের জন্য কী নীতি মেনে প্রতিবর্ণীকরণ করা হচ্ছে, সে জন্য একটা আলাদা পাতা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর ফলে জার্মান বানানের নৈরাজ্য কমবে। জার্মান ভাষা যিনি জানেন না, তিনি হয়ত জার্মান Z-কে লিখতেন বর্গীয় জ, কেউ আবার হয়ত z দেখে আরেকটু পাকামি করে লিখতেন অন্তঃস্থ য, আবার কেউ কেউ হয়ত আবছা জার্মান জানেন, তিনি হয়ত লিখতেন স, কেউ হয়ত ইংরেজি s জাতীয় উচ্চারণ ছ লিখে অভ্যস্ত, তিনি হয়ত লিখতেন ছ, আর যিনি সত্যিই জার্মান জানেন, তিনি হয়ত লিখতেন ৎস। এভাবে বানানের একটা নৈরাজ্য সৃষ্টির সম্ভাবনা আছে, যেখানে একই জার্মান বর্ণ Z-এর জন্য ব্যক্তিভেদে জ, য, স, ছ, ৎস এই সবগুলি বানান ব্যবহৃত হতে পারে। বলাই বাহুল্য, একটা বিশ্বকোষ, যেটা একটা রেফারেন্স বই হিসেবে সবাই পড়বে, যেটাকে সবাই জ্ঞানের একটা authoritative source হিসেবে গণ্য, সেখানে বানানের এরকম নৈরাজ্য চলতে দেয়া উচিত নয়, এবং পারলে আগে থেকেই তা প্রতিরোধ করা উচিত। আর আমাদের নীতি যদি পরিস্কার হয়, প্রতিটা প্রতিবর্ণীকৃত বানানের পেছনের কারণগুলি যদি সুস্পষ্টভাবে বলা থাকে, তবে এ নিয়ে কারো মনে দ্বন্দ্ব হলে তিনি অতি সহজে সেই প্রকল্প পাতায় গিয়ে ব্যাপারটা সম্পর্কে পড়ে নিতে পারেন। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১৬:৫৪, ৩১ অক্টোবর ২০০৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন

ভাই আপনারা সবাই যে প্রতিবর্ণীকরন বা বানান নিয়ে মারামারি করতেছেন আমার কাছে "প্রতিবর্ণীকরন" টা কি এটাই পরিস্কার না। আমার জ্ঞান একটু কম তো

তাই বলি দয়া করে "প্রতিবর্ণীকরন" কি এবং কেন ব্যবহার করা হয় একটু বুঝিয়ে বলেন। আমি পরিভাষা করার কথা শুনেছি এবং করিও। মাইক্রোসফট ভিসতা এবং

অফিসের পরিভাষা করতে গিয়ে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি এগুলো কত বাজে জিনিস। উল্লেখ্য কম্পিউটার কাউন্সিল কর্তৃক গঠিত মাইক্রোসফট ভিসতা এবং অফিসের

পরিভাষা কমিটিতে আমি ও আমার কিছু সহকর্মী ছিলাম। ভাষাতাত্ত্বিকদের সাথে আমাদের সাধারণ মানুষদের এরকমই মারামারি করতে হয়েছে। তারা আসলে মনে

করেন একটু কঠিন শব্দ তৈরী করতে পারলেই একটা ক্রেডিট। এখন আপনাদের ক্ষেত্রেও এসব হচ্ছে বলে মনে হয়। আমি গত অনেকদিন ধরে পরিভাষা, domain

name localization নিয়া অনেকের সাথে কথা বলেছি। কিন্তু সবার একটাই মতামত, সবাই সহজ বাংলা চায়, কঠিন বা আজগুবি বাংলার বিপক্ষে সবাই। আমার

মনে হয় আমাদের এই বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত।— ফিরোজ (আলাপঅবদান) এই স্বাক্ষরহীন মন্তব্যটি যোগ করেছেন।

তাতো বটেই, এবং আমি সব সময় এই কথাটাই বলে আসছি। উইকিপিডিয়া থেকে জ্ঞান আহরণের জন্য যদি ভাষাবিদ হওয়া লাগে, বা জার্মান উচ্চারন "শুদ্ধ" করে গলার ভিতর থেকে আনাটা বাধ্যতামুলক হতে হয়, তাহলে লোকজন রাস্তা মাপবে, তা অবধারিত। ৎস দিয়ে শুরু হওয়া শব্দ উচ্চারণ কেমনে করতে হবে, তার জন্য উচ্চারণ গাইড দেয়া লাগবে। "ভাষাবিদ" বা "জার্মান ভাষাবোদ্ধা" ছাড়া আর কারো পক্ষে অপ্রচলিত এরকম বানান উচ্চারণ করাটা অসম্ভব। মানুষকে উচ্চারন শেখানো আমাদের কাজ না। গলার ভিতর থেকে কীভাবে উচ্চারণ বের করে বিশুদ্ধ জার্মান বানাতে হবে, তাও কারো মাথা ব্যথা না। কনরাড সুজে হোক, বা তসুজে হোক, তার ব্যাপারে জানাটাই এখানে মুখ্য, তার ব্যাপারে জানতে হলে জার্মান ভাষা শিক্ষার কোর্স করানোর কারো দরকার নাই। ইংরেজরা কি আর ঠাকুর (Thakur) লেখার চেষ্টা করে? বাংলাতে আমরা জার্মানি লিখি কেনো, ডয়েশল্যান্ড (গলার ভেতর থেকে আসলোনা বলে দুঃখিত)। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ০৪:১৪, ১ নভেম্বর ২০০৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন

আলোচনা

সম্পাদনা

উপরের অনুচ্ছেদটি এতটাই বড় হয়ে গেছে যে নতুন অনুচ্ছেদ তৈরি করলাম। আপাতত এই তর্ক থামাতে আমি প্রস্তাব করছি কনরাড ৎসুজে এর কাছাকাছি যতগুলো নাম রয়েছে সেগুলো তৈরি করে এদিকে REDIRECT করা হোক। যেমন: কনরাড তসুজে অথবা কনরাড যসুজে হতে পারে অথবা কাছাকাছি আর কোন শিরোনাম থাকলে তা তৈরি করে REDIRECT করে অন্ততঃ এই বিতর্ক থামানো হোক। রাগিব ভাইয়ের মন্তব্যে যুক্তি রয়েছে (অর্ণব ভাইয়ের ব্যখ্যা অযৌক্তিক তা কিন্তু বলি নাই)। অর্ণব ভাইয়ের ব্যাখ্যাও দেখলাম, তবে এবিষয়ে বিশেষজ্ঞ আরো কয়েকজনের সাথে কথা বলে ব্যপারটার final করলে ভালো হবে। --দায়ীন(আলাপ)/(অবদান) ১৪:৫৯, ১ নভেম্বর ২০০৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন

জার্মান Z এর উচ্চারন pressure+S এর মত উচ্চারন হয় (ঢাবি ভাষা শিক্ষা ইন্সটিউট হতে জেনেছি)। তাই উচ্চারনের জন্য হবে সুজে (স এর আগে pressure), বাংলায় ঐ pressure দিয়ে উচ্চারন করতে গেলে অনেকটা ত এর নিচে হসন্ত এর মত শুনাতে পারে। কাজেই লেখ্য রূপ হিসাবে ত্‌সুজে অথবা ৎসুজে ছাড়া উপায় দেখছি না।--দায়ীন(আলাপ)/(অবদান) ১০:৫৬, ১২ নভেম্বর ২০০৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন
"pressure+s" প্রচলিত ভাষাবৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কি না জানি না, তবে আমরা বাংলা "ত" উচ্চারণের সময় যেখানে, অর্থাৎ উপরের দন্তমূলের কাছে নিয়ে স্পর্শ করাই, জার্মান z উচ্চারণের সময় জিহ্বাটা সেই জায়গায় নিয়ে ইংরেজি s-এর মত করে দ্রুত উচ্চারণ করতে হয়। অর্থাৎ ত্‌+স্‌ যেখানে ত্‌-টা বেশ দ্রুত; এটাকেই তাঁরা হয়ত pressure বলছেন। আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালাতে [ts] দেয়া আছে। আর ইংরেজি ও জার্মান উইকশনারিতে জার্মান z ব্যবহারকারী বহু শব্দের অডিও আছে। আগ্রহীরা খুঁজে শুনে নিতে পারেন আসলেই জিনিসটা কীভাবে উচ্চারণ করা হয়। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১৮:৪৪, ১২ নভেম্বর ২০০৭ (ইউটিসি)উত্তর দিন
"কনরাড ৎসুজে" পাতায় ফেরত যান।