আর্নি জোন্স
আর্নি জোন্স (ইংরেজি: Ernie Jones; জন্ম: ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৮৬৯ - মৃত্যু: ২৩ নভেম্বর, ১৯৪৩) দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার অবার্ন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবলার ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৯৪ থেকে ১৯০২ সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | আর্নি জোন্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৮৬৯ অবার্ন, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৩ নভেম্বর, ১৯৪৩ ম্যাগলি, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | জোনাহ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ফাস্ট বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৬৬) | ১৪ ডিসেম্বর ১৮৯৪ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১১ অক্টোবর ১৯০২ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৮ নভেম্বর ২০১৮ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে সাউথ অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন ‘জোনাহ’ ডাকনামে পরিচিত আর্নি জোন্স।
খেলোয়াড়ী জীবন সম্পাদনা
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ১৯ টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। ১৪ ডিসেম্বর, ১৮৯৪ তারিখে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে আর্নি জোন্সের।
১৮৯৬ সালে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় অভিযোগের মুখোমুখি হয়। আম্পায়ার জিম ফিলিপস অবৈধ ভঙ্গীমার বিষয়ে ক্রিকেটের আইনের প্রয়োগ ঘটান। ১৮৯৭-৯৮ মৌসুমে সফররত ইংরেজ দলের বিপক্ষে খেলাকালীন দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার সদস্য ছিলেন তিনি। এ খেলায় প্রথম নো-বল করেন আর্নি জোন্স। এরপর সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে আবারও নো-বল করেন। ফলে, টেস্ট খেলায় প্রথম বোলার হিসেবে বল নিক্ষেপের দায়ে অভিযুক্ত হন আর্নি জোন্স।[১]
খেলার ধরন সম্পাদনা
আর্নি জোন্স তার সময়কালে অন্যতম সেরা ও দ্রুতগতিসম্পন্ন বোলার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। শুরুতে বিক্ষিপ্তভাবে বোলিং করতেন। পরবর্তীতে বলের উপর নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য বজায় রেখে সুন্দরভাবে প্রভাব বিস্তারে সক্ষমতা দেখিয়েছেন।
কাস্টমস কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করতেন। একসময় তিনি দাবী করে বসেন যে, ডব্লিউ. জি. গ্রেসের দাড়ির ভিতর দিয়ে বোলিং করে বোল্ড করেছেন ও স্ট্যানলি জ্যাকসনের পাজর ভেঙ্গে দিয়েছিলেন। এরফলে তিনি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেন।[২] তবে, তার বোলিংয়ের ধরন বিতর্কিত ছিল।
ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা
ক্রিকেটের পাশাপাশি অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবলেও সমান দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। পোর্ট অ্যাডিলেড, নর্থ অ্যাডিলেড ও সাউথ অ্যাডিলেড ফুটবল ক্লাবে খেলেছেন তিনি।[৩]
২৩ নভেম্বর, ১৯৪৩ তারিখে ৭৪ বছর বয়সে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার ম্যাগলি এলাকায় আর্নি জোন্সের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ "Hair today"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "The best fast bowler"। Wisden Cricketers' Almanack। ১৯৪৪।
- ↑ Krueger, p. 4.
আরও দেখুন সম্পাদনা
গ্রন্থপঞ্জি সম্পাদনা
- Krueger, G. (2011) South Adelaide Football Club 1897 - 1907, Self-Published: Adelaide.
বহিঃসংযোগ সম্পাদনা
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে আর্নি জোন্স (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে আর্নি জোন্স (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)