আব্দুস সাত্তার খাঁন

শহীদ ওহাবপুর ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা, প্রয়াত চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযােদ্ধা

আব্দুস সাত্তার খাঁন (আনু. ১৯৪৮ - ৬ জুন ১৯৭৫) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে।

আব্দুস সাত্তার খাঁন
জন্মআনু. ১৯৪৮
আহলাদীপুর, বৃহত্তর ফরিদপুর
মৃত্যু৬ জুন, ১৯৭৫
গোয়ালন্দ মোড়, রাজবাড়ী
জাতীয়তাবাংলাদেশি
নাগরিকত্ব পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
 বাংলাদেশ
পরিচিতির কারণবীর প্রতীক, মুক্তিগণবাহিনীর প্রাক্তন ক্যাপ্টেন (পিআইএ)
আত্মীয়

জন্ম ও শিক্ষাজীবন সম্পাদনা

কাজী আব্দুস সাত্তার খাঁন রাজবাড়ী জেলার তৎকালীন মামুনপুর (বর্তমান বসন্তপুরশহীদওহাবপুর ইউনিয়নের সমন্বিত ইউনিয়ন) ইউনিয়নের আহলাদীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আব্দুর রহমান খান এবং মাতার নাম ছিলো মোসাম্মৎ আজিমুন্নেসা। চার ভাই ও চার বোনের মধ্যে আব্দুস সাত্তার খান সেজ। তার ছোট ভাই বীর প্রতিক আব্দুল ওহাব খাঁনও ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা।

দেশ স্বাধীনের পরবর্তীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার খাঁন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। থাকতেন জহুরুল হক হলে। তখন থেকেই তিনি ফরিদপুর জেলার মুক্তিগণবাহিনীর (সেক্টর-২) প্রাক্তন ক্যাপ্টেন পিআইএ পদে অভিষিক্ত হন এবং মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি ৭ নং শহীদ ওহাবপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রতিষ্ঠা করেন এবং এই বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় ইউনিয়নের প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

মুক্তিবাহিনীতে যোগদান সম্পাদনা

যুদ্ধ চলাকালে তিনি তৎকালীন বৃহৎ ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ অর্থাৎ ২নং সেক্টরের মুক্তিগণবাহিনীর একজন প্রাক্তন ক্যাপ্টেন পিআইএ পদে অভিষিক্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন এবং পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

যেভাবে মারা গেলেন সম্পাদনা

স্বাধীনতা যুদ্ধের পরেও দুস্কৃতিকারিরা তাঁর পিছু ছাড়েনি। ১৯৭৫ সালের পরবর্তী সময়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার খাঁন একদিন প্রচন্ড ঝড় বৃস্টির মধ্যে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ মোড় সংলগ্ন টেক্সটাইল মিলের সন্নিকটে আরব হোটেলের মধ্যে আশ্রয় নেন। এসময় এখানেই আব্দুস সাত্তার খান আততায়ীর (জাসদ বাহিনী) হাতে গুলি বর্ষনে নিহত হন। স্বাধীন বাংলার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুস সাত্তার খাঁন।

পুরস্কার ও সম্মাননা সম্পাদনা

স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে।

আরও দেখুন সম্পাদনা