আনা কোপ হার্টশোর্ন

আনা কোপ হার্টশোর্ন জাপানে জন্মগ্রহণকারী একজন আমেরিকান শিক্ষাবিদ এবং লেখক ছিলেন। তিনি বিশিষ্ট ফিলাডেলফিয়া কোয়েকার পরিবারের একজন সদস্য ছিলেন এবং তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু সুদা উমেকোর সাথে সুদা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রতিষ্ঠাতা এবং অনুষদ সদস্য ছিলেন।

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা সম্পাদনা

আনা কোপ হার্টশোর্নের জন্ম পেনসিলভানিয়ার জার্মানটাউনে। তিনি হেনরি হার্টশোর্ন এবং মেরি এলিজাবেথ ব্রাউন হার্টশোর্নের কন্যা।[১] দার্শনিক চার্লস হার্টশোর্ন এবং ভূগোলবিদ রিচার্ড হার্টশোর্ন ছিলেন তার সম্পর্কিত ভাই। তার বাবা জনস্বাস্থ্য এবং মহিলাদের উচ্চ শিক্ষার একজন প্রবক্তা এবং জাপানে একজন মেডিকেল মিশনারি ছিলেন। আনা ব্রাইন মাওর কলেজে পড়েন, সেখানেই তিনি এবং সুদা উমেকো বন্ধু হয়েছিলেন।[২][৩][৪]

কর্মজীবন সম্পাদনা

আনা হার্টশোর্ন ১৮৯০-এর দশকে টোকিওর ফ্রেন্ডস স্কুলে ইংরেজি সাহিত্য পড়াতেন। তিনি ১৯০০ সালে জোশি ইগাকু জুকু (উইমেন'স ইনস্টিটিউট অফ ইংলিশ স্টাডিজ) খোলার জন্য তহবিল সংগ্রহে সহায়তা করেছিলেন, যেটি সুদা বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রদূত ছিল।[৫] তিনি স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে ১৯০২ থেকে ১৯৪০ সাল পর্যন্ত সুদা স্কুলে পড়ান।[১][৬] ১৯২৩ সালের গ্রেট কান্টো ভূমিকম্পে স্কুলের ক্যাম্পাস ধ্বংস হয়ে গেলে, তিনি এটি পুনর্নির্মাণের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সফর করেন,[৭][৮] এবং ১৯৩০ সালে সুদা উমেকোর মৃত্যুর পর পুনর্নির্মাণের তত্ত্বাবধান করেন।[২] ১৯৩১ সালে তিনি দাতাদের ধন্যবাদ জানাতে, আরও তহবিল সংগ্রহ করতে এবং স্কুলের অগ্রগতি সম্পর্কে বিবরণ দিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আরেকবার সফর করেন।[৯] তিনি ১৯৩৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আরেকটি সফরে স্কুলের বিষয়ে রিপোর্ট করেছিলেন।[১০]

হার্টশোর্ন এর লেখা বইগুলো হলো: জাপান অ্যান্ড হার পিপল (১৯০২, ২ খণ্ড)[১১][১২] এবং এ রিডিং জার্নি থ্রু জাপান (১৯০৪)।[১৩] তিনি নিটোবে ইনাজোর লেখা বুশিদো: দ্য সোল অফ জাপান (১৯০০) -এর আমেরিকান প্রচ্ছদেরও নকশা করেছিলেন।[১৪][১৫]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Bays, Daniel; Widmer, Ellen (২০০৯)। China's Christian Colleges: Cross-Cultural Connections, 1900-1950 (ইংরেজি ভাষায়)। Stanford University Press। পৃষ্ঠা 281–282। আইএসবিএন 978-0-8047-5949-6 
  2. "Anna Cope Hartshorne"National Women's History Museum (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-০৮ 
  3. Rose, Barbara (১৯৯২-০১-০১)। Tsuda Umeko and Women's Education in Japan (ইংরেজি ভাষায়)। Yale University Press। পৃষ্ঠা 83। আইএসবিএন 978-0-300-05177-3 
  4. Shinohara, Chika (২০১৪-০৫-১৫)। "Gender and the Great War: Tsuda Umeko's Role in Institutionalizing Women's Education in Japan"The Decade of the Great War: Japan and the Wider World in the 1910s (ইংরেজি ভাষায়)। BRILL। পৃষ্ঠা 337। আইএসবিএন 978-90-04-27427-3 
  5. Pamonag, Febe D. (২০০৯)। "Turn-of-the-Century Cross-Cultural Collaborations for Japanese Women's Higher Education": 33–56। আইএসএসএন 2330-5037জেস্টোর 42772000 
  6. "Native Prima Donna to Aid Tsuda Fund"The Philadelphia Inquirer। ১৯২৪-০৩-০৯। পৃষ্ঠা 29। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-০৮ – Newspapers.com-এর মাধ্যমে। 
  7. Hyland, Jason P. (২০১৭-০১-০৪)। "Tsuda College – An Extraordinary Symbol of U.S.-Japan Friendship"American View (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-০৮ 
  8. Furuki, Yoshiko (২০১৫-০১-৩১)। The White Plum: A Biography of Ume Tsuda, Pioneer of Women's Higher Education in Japan (ইংরেজি ভাষায়)। University of Hawaii Press। পৃষ্ঠা 132–133। আইএসবিএন 978-0-8248-5340-2 
  9. "Thank Philadelphians"The Philadelphia Inquirer। ১৯৩১-০২-২৮। পৃষ্ঠা 2। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-০৯ – Newspapers.com-এর মাধ্যমে। 
  10. "People You Know"The Philadelphia Inquirer। ১৯৩৭-০২-০২। পৃষ্ঠা 16। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-০৯ – Newspapers.com-এর মাধ্যমে। 
  11. Hartshorne, Anna C. (১৯০২)। Japan and her people। H. T. Coates & co.। 
  12. Johnston, J. Stoddard (১৯০৩-০১-৩১)। "Japan and her People; A Most Interesting Work by a Woman"The Courier-Journal। পৃষ্ঠা 5। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-০৮ – Newspapers.com-এর মাধ্যমে। 
  13. Hartshorne, Anna C. (১৯০৪)। A Reading Journey Through Japan (ইংরেজি ভাষায়)। 
  14. Schmidt, Nathaniel (১৯০৪)। "Bushido, the Soul of Japan. Inazo Nitobé": 506–508। ডিওআই:10.1086/intejethi.14.4.2376262 
  15. "Collection: Hartshorne Family papers | Archives & Manuscripts"Tricollege Libraries, Archives and Manuscripts। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-০৮ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা