আদাব সমরেশ বসু রচিত একটি বিখ্যাত ছোটগল্প।[১][২] ছোটগল্পটির পটভূমি ১৯৪৬ সালে কলকাতায় সংঘটিত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা।[৩] ছোটগল্পটির মাধ্যমে সমরেশ বসুর সাহিত্যজগৎে যাত্রা শুরু হয়। এটি ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে শারদীয়া 'পরিচয়' পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ৷

আদাব
লেখকসমরেশ বসু
দেশভারত
ভাষাবাংলা
ধরনছোটগল্প

কাহিনি সংক্ষেপ সম্পাদনা

১৯৪৬ সালের ঢাকা। চারদিকে দাঙ্গার আগুন জ্বলছে। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে দুজন মানুষের মাঝে দেখা হয়। দেখা হবার পর মানুষ নাম ধাম জিজ্ঞেস করলেও একজন ধর্ম কি তা জিজ্ঞেস করে। কেউই তা জবাব দিতে সাহস পায় না।

দুজন ব্যক্তি ছিলেন দুই পেশার লোক। একজন মাঝি আর আরেকজন সুতা মজুর। কথা বার্তা আগায়, কিন্তু ধর্মটা কি কেউ কাউকে বলে না।

অতঃপর, বিড়ি ধরানোর জন্য বহু কষ্টে দেয়াশলাই ধরানোর পর মাঝি 'সোবহান আল্লা' বলে উঠতেই প্রাণ শুকিয়ে যায় সুতা মজুরের। কেননা, সে যে হিন্দু। কিন্তু, পরে সে বুঝতে পারে মাঝিও তার মতই দাঙ্গায় জীবন হাতে করে বেরিয়েছে।

দাঙ্গার মাঝে দুজন ভিন্ন ধর্মাবলম্বী হলেও বন্ধুর মত একে অন্যের সাথে আলাপ করতে থাকে। কথা শেষ হলে একসময় দুজন-দুজনকে আদাব জানিয়ে চলে যায়।

সেদিন ছিল ঈদের আগের দিন। মাঝির কাছে একটি পুটুলি ছিল, যাতে সে তার পরিবারের জন্য ঈদের কাপড় চোপড় কিনেছিল। কিন্তু, তার হাতে পুটুলিট দেখে পুলিশ মনে করে, সে ঐসব ব্যক্তিদের মধ্যে একজন, যারা দাঙ্গা উপলক্ষে মানুষের বাড়িঘর লুট করছে। অতঃপর, তারা গুলি করে মাঝিকে খুন করে। মাঝির বুক ভেসে যায় রক্তে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা