অট্টহাস শক্তিপীঠ

পশ্চিমবঙ্গে শক্তিপীঠ

অট্টহাস শক্তিপীঠ পশ্চিমবঙ্গ এর বর্ধমান জেলার নিরোল গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ ডিহি গ্রামে অবস্থিত।এর উত্তরে ঈশাণী নদী ও কিছুটা দূরে শ্মশান ।এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পীঠ।মন্দিরের কাছেই কিছু পিকনিক স্পট ।জঙ্গলঘেরা নিরিবিলি পরিবেশ এখানে।এখানে গাছে গাছে বিভিন্ন রঙের প্রজাপতি, ফড়িং, পাখি দেখা যায়। এখানে রাতের বেলা প‍্যাঁচার ডাক ও প্রহরে প্রহরে শেয়ালের ডাক শোনা যায়। যা এখানকার পরিবেশে আলাদা এক মাত্রা যোগ করে। [১]

অট্টহাস মন্দির
অট্টহাস মন্দির
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম
জেলাপূর্ব বর্ধমান
ঈশ্বরসতী
অবস্থান
অবস্থানদক্ষিণডিহি, কেতুগ্রাম ২ সিডি ব্লক
রাজ্যপশ্চিমবঙ্গ
দেশভারত
অট্টহাস শক্তিপীঠ পশ্চিমবঙ্গ-এ অবস্থিত
অট্টহাস শক্তিপীঠ
পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান
অট্টহাস শক্তিপীঠ ভারত-এ অবস্থিত
অট্টহাস শক্তিপীঠ
পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান
স্থানাঙ্ক২৩°৪১′৩৭″ উত্তর ৮৮°০১′২০″ পূর্ব / ২৩.৬৯৩৫০৮° উত্তর ৮৮.০২২৩০৩° পূর্ব / 23.693508; 88.022303

পৌরাণিক কাহিনী সম্পাদনা

পৌরাণিক সম্পাদনা

 
সতীকে নিয়ে শিব

সত্য যুগে দক্ষ যজ্ঞে সতী শিবনিন্দা সহ্য করতে না পেরে দেহত‍্যাগ করেন। এর পর মহাদেব বীরভদ্রকে পাঠান দক্ষকে বধ করতে।সতীর দেহ নিয়ে তিনি শুরু করেন তাণ্ডবনৃত্য ।ফলে বিষ্ণু সুদর্শন চক্র দিয়ে সতীর দেহ বিভিন্ন ভাগে খণ্ডিত করেন। এই অংশ গুলো যেখানে পরেছে সেখানে শক্তিপীঠ স্থাপিত হয়েছে ।এগুলোকে সতীপীঠ বলে । এগুলি তীর্থে পরিণত হয়েছে। এখানে দেবীর অধঃ ওষ্ঠ (অধর / নিচের ঠোঁট) পতিত হয়।

পরবর্তী সম্পাদনা

এরপর অনেক বছর কেটে যায়।এই স্থান জঙ্গল হয়ে ওঠে।তখন এ স্থানের নাম ছিল খুলারামপুর বা তুলারামপুর।পরবর্তীতে এই গ্রামের নাম দক্ষিণ ডিহি হয়।এই গ্রামে কিছু কৃষক বাস করত।তারা মাঠে চাষবাদ করত। ঈশানি নদীর ধারে অবস্থিত এ স্থান ছিল ঘন জঙ্গলে ঢাকা। দিনের বেলাতেও ওখানে কেউ যেত না। একদিন কৃষকরা চাষ করতে গিয়ে এক সাধুবাবাকে জঙ্গলে ধ‍্যানমগ্ন দেখতে পায়।তাড়া কৌতূহলী হয়ে দলবদ্ধভাবে তার কাছে যায় ও তাকে প্রণাম করেন।সাধুবাবা এখানে যজ্ঞ করেন।যজ্ঞ শেষে তিনি যজ্ঞস্থানে একটি ত্রিশূল পুঁতে দিয়ে অদৃশ্য হয়ে যান।চলে যাবার আগে বলেন, এটি একটি সতীপীঠ।

দেবী ও ভৈরব সম্পাদনা

এখানে দেবী ফুল্লরা ও ভৈরব বিশ্বেশ ।এখানে দেবীর দন্তুরা চামুণ্ডা মূর্তি ।এখানে দেবীকে অধরেশ্বরী নামে পূজা করা হয়।এখানে আছে এক প্রাচীন শিলামূর্তি।[২] মন্দিরের অষ্টধাতুর মূর্তিটি চুরি হয়ে গেছে।[৩]

পূজা ও উৎসব সম্পাদনা

সারা বছর এখানে ভক্তরা আসে।তবে নভেম্বর থেকে মার্চ মাস এ পাঁচ মাস এখানে বহু ভক্তের সমাগম হয়।বহু ভক্তের ইচ্ছাপূরণ হয়েছে এখানে পূজা দিয়ে ।দোলের সময় এখানে বিশাল মেলা বসে। এখানে থাকার জন্য অতিথি নিবাস আছে।মন্দির থেকে ভক্তদের থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "সতীপীঠ অট্টহাস"songbadmanthan.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-২২ 
  2. "Some amazing facts about famous Attahas Temple"Sangbad Pratidin Home (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-১০-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-২২ 
  3. "আনন্দবাজার পত্রিকা - বর্ধমান"archives.anandabazar.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-২২ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

টেমপ্লেট:শক্তিপীঠ