মুহাম্মদ ইবনে হাসান শাইবানী

হানাফী পন্ডিত এবং ইমাম

ইমাম মুহাম্মদ বিন হাসান শায়বানীর পুরো নাম আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে হাসান ইবনে ফারকাদ শায়বানী। ইমাম আবু হানিফার শিষ্য ও উপদেষ্টা ছিলেন। ইমাম আবু ইউসুফের পরে তিনিই ছিলেন একজন যোগ্য শিষ্য। শিক্ষকের কাজ ও মতামতগুলো লিপিবদ্ধ ও সম্পাদনার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। হানাফি ফকীহদের মধ্যে তিনি ছিলেন প্রথম পর্যায়ের ইমাম। তিনি ইমাম মুহাম্মদ হিসাবে পরিচিত।তিনি অসাধারণ কৃতিত্বের অধিকারি ছিলেন।

ইসলামি রীতিতে কারো ছবি প্রকাশ করার চেয়ে ক্যালিগ্রাফির মাধ্যমে তার প্রকাশ করাটাই শ্রেয়। এই প্রবন্ধটি যাকে নিয়ে সম্পাদিত তার নাম ঠিক মাঝখানে উল্লেখ করা আছে এবং তিনি যে ইমাম আবু হানিফার প্রিয় ছিলেন সেই কথাও উল্ল্যেখ করা আছে এই ক্যালিগ্রাফিতে

বংশতালিকা সম্পাদনা

মুহাম্মদ ইবনে হাসান ইবনে আবদুল্লাহ ত্বাউস ইবনে হরমুজ মালিক ইবনে শাইবান।

শাইবানীর সাথে সম্বন্ধ সম্পাদনা

শাইবান সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। কেউ কেউ বলেন, এটি জাতির সাথে সম্পর্কিত এবং কিছু গবেষকের নিকট তার বাবার সাথে সম্বন্ধ করে শায়বান রাখা হয়েছে কারণ তাঁর পিতা বনী শাইবানের দাস ছিলেন।

জন্ম সম্পাদনা

প্রকৃতপক্ষে তাঁর গ্রাম হলো হারাসতা যা দামেস্কের নিকট অবস্থিত। তাঁর জন্ম ওয়াসেত, ইরাকে এবং অধিকাংশ জীবন কুফায় অতিবাহিত করেছেন।

জন্ম সন সম্পাদনা

তাঁর জন্মসাল ১৩২ হিজরী বা ১৩৫ হিজরী মুতাবেক ৭৪৯/৭৫০ খ্রীস্টাব্দ।

শিক্ষক সম্পাদনা

তিনি ইমাম আবু হানিফা নোমান ইবনে সাবিতের শিষ্য ছিলেন। মৃত্যুর পরে তিনি ইমাম আবু ইউসুফের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। ইমাম মালেকের দরসেও অংশ নেন। অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছে মাসআর ইবনে কুদাম, সুফিয়ান সাওরী, ওমর বিন ফিদা এবং মালিক বিন মুঘল ।

রচনাবলী সম্পাদনা

তাঁর অনেক রচনা আইনশাস্ত্র ও আইনশাস্ত্রের ভিত্তির উপর রচিত।

  • আল-মাবসূত
  • যিয়াদাত
  • জামে সগীর
  • জামে কাবীর
  • কিতাবুল আসার
  • আস-সিয়ারুল কাবীর
  • আস-সিয়ারুস সগী
  • মুয়াত্ত ইমাম মুহাম্মদ
  • আমালি
  • আল-মাখারিজ ফিল হাইল
  • আল-আসল
  • আল-হুজ্জা আলা আহলিল মাদীনা
  • কিতাবুল কাসাব (অনুবাদ)

মৃত্যু সম্পাদনা

১৮৯ হিজরী মুতাবেক ৮০৫ খ্রীস্টাব্দে ৫৮ বছর বয়সে রায় নুবিয়া নামক স্থানে ইনতিকাল করেন। [১]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. کتاب الآثار صفحہ 19مکتبہ اعلی حضرت لاہور (উর্দু ভাষায়)