মিশরীয় রন্ধনশৈলী

মিশরীয় রন্ধনশৈলী হচ্ছে মিশরে প্রচলিত বিভিন্ন রান্নার সমাহার। অঞ্চলভেদে মিশরীয় রন্ধনশৈলীতে মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার কিছু প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। মিশরীয় রন্ধনশিল্পে প্রচুর পরিমাণে ডাল, শাকসবজি এবং ফল ব্যবহৃত হয়। মিশরের নীল উপত্যকা এবং বদ্বীপে প্রচুর পরিমাণে এসব শস্য উৎপন্ন হয়।

মিশরীয় রান্নায় মশলা

বৈশিষ্ট্য সম্পাদনা

 
দুক্কা

নিরামিষাশী খাবারের জন্য মিশরীয় রন্ধনশৈলী পরিচিত কারণ এখানে ডাল এবং শাকসবজি প্রধান খাবারের আধিক্য বেশি। আলেক্সান্দ্রিয়া এবং মিশরের উপকূল অঞ্চলের খাবারের মাছ এবং অন্যান্য সামুদ্রিক খাবারের ব্যবহার বেশি। ইতিহাসজুড়ে মিশরে মাংস খুবই ব্যয়বহুল তাই বিভিন্ন প্রকার নিরামিষভোজী খাবার স্থান দখল করে নিয়েছে। মিশরের লোহিত সাগরের সমুদ্রবন্দর ইউরোপে মশলার প্রবেশপথ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। বছরজুড়ে বিভিন্ন মশলা এই পথ ধরে মিশরে পদাঙ্ক রেখে যাওয়ায় মিশরে মশলার ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। জিরা বহুল ব্যবহৃত মশলা। অন্যান্য মশলার মধ্যে আছে দারচিনি,  মরিচ, হলুদ, তেজপাতা, আদা, মৌরি ইত্যাদি।

মিশরীয় রান্নায় সাধারণ মাংসের মধ্যে আছে খরগোশ, কবুতর, মুরগি এবং হাঁস। এগুলো সিদ্ধ করে ঝোল দ্বারা বিভিন্ন প্রকার স্ট্যু এবং স্যুপ প্রস্তুত করা হয়। ঝলসানো বা গ্রিলের জন্য ভেড়া এবং গরুর মাংস ব্যবহৃত হয়। কোফতা, কাবাব, গ্রিল কাটলেট ইত্যাদিকে মাশউইয়াত বলে অভিহিত করা হয়। কলিজার স্যান্ডউইচ আলেক্সান্দ্রিয়ায় বিশেষত্ব যা শহরাঞ্চলে ফাস্টফুড হিসেবে জনপ্রিয়। গরু এবং ভেড়ার মগজও মিশরে জনপ্রিয়।[১][২]

রুটি সম্পাদনা

 
এইশ বালাদি

সাধারণ উপায়ে প্রস্তুত রুটি মিশরীয় রন্ধনশৈলীর শিরদাঁড়ায় পরিণত হয়েছে। সব ধরনের খাবারের সংগে রুটি খাওয়ার চল রয়েছে। শ্রমজীবী শ্রেণী কিংবা গ্রামীণ মিশরীয় অঞ্চলের খাবারে রুটি এবং শিমের বিচির পরিমাণ কিছুটা বেশিই থাকে।[৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. John Metcalfe (২০১২-০১-১৯)। "Why Do Cow Brains Keep Getting Seized at the Cairo Airport?"। CityLab। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০১-০৮ 
  2. "Meat | Egyptian Cuisine and Recipes"Egyptian-cuisine-recipes.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০১-০৮ 
  3. Alderman, Harold; Braun, Joachim Von (১৯৮৪)। The Effects of the Egyptian Food Ration and Subsidy System on Income Distribution and Consumption (ইংরেজি ভাষায়)। Intl Food Policy Res Inst। আইএসবিএন 9780896290464