টম ক্যাম্পবেল
টমাস ক্যাম্পবেল (ইংরেজি: Tom Campbell; জন্ম: ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৮৮২ - মৃত্যু: ৫ অক্টোবর, ১৯২৪) মিডলোথিয়ানের এডিনবরায় জন্মগ্রহণকারী ও স্কটল্যান্ডীয় বংশোদ্ভূত প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১] দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯১০ থেকে ১৯১২ সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ট্রান্সভাল দলের পক্ষে খেলেছেন টম ক্যাম্পবেল। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী উপস্থাপন করে গেছেন টম ক্যাম্পবেল।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | টমাস ক্যাম্পবেল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | এডিনবরা, স্কটল্যান্ড | ৯ ফেব্রুয়ারি ১৮৮২|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৫ অক্টোবর ১৯২৪ নাটাল, দক্ষিণ আফ্রিকা | (বয়স ৪২)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | – | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৬৫) | ১ জানুয়ারি ১৯১০ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১০ জুন ১৯১২ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৭ জুন ২০১৯ |
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট সম্পাদনা
১৯০৬-০৭ মৌসুম থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত টম ক্যাম্পবেলের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯০৬-০৭ মৌসুমে কারি কাপ প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো ট্রান্সভালের সদস্যরূপে অংশ নেন। চার মৌসুম পরই অস্ট্রেলিয়া গমনের উদ্দেশ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সদস্য করা হয় টম ক্যাম্পবেলকে। পার্সি শেরওয়েলের নেতৃত্বে ঐ সফরে অবশ্য কোন টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পাননি তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্পাদনা
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ লাভ করেছিলেন টম ক্যাম্পবেল। ১ জানুয়ারি, ১৯১০ তারিখে জোহেন্সবার্গে সফরকারী ইংরেজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১০ জুন, ১৯১২ তারিখে লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট খেলেন তিনি।
১৯০৯-১০ মৌসুমে সফরকারী ইংরেজ দলের বিপক্ষে ডারবান টেস্টে ৪৮ রানের উল্লেখযোগ্য ইনিংস উপহার দেন। এটিই তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা দল রাবার জয় করে। ঐ সিরিজের চার টেস্টেই তার অংশগ্রহণ ছিল।
১৯১২ সালে ইংল্যান্ড গমন করেন। তবে, এ সফরে তিনি স্বাভাবিক ক্রীড়াশৈলী উপস্থাপন করতে পারেননি। লর্ডসে ত্রি-দেশীয় প্রতিযোগিতায় একটিমাত্র খেলায় ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার সুপরিচিত ক্রিকেটার ছিলেন। ব্যাটসম্যান হিসেবে তেমন সুবিধে করতে পারেননি। তবে, উইকেট-রক্ষক হিসেবে যথেষ্ট কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে গেছেন।
ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা
১৬ ডিসেম্বর, ১৯১৬ তারিখে জোহেন্সবার্গ থেকে আসা কেপ মেইল ট্রেন থেকে পড়ে যান। অতঃপর মালবাহী ট্রেনে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। মস্তিষ্কে ও মাথায় গুরুতর আঘাত পান। ক্রুজারডর্প হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। এক পর্যায়ে ধারণা করা হয়েছিল যে, তিনি হয়তো আর স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবেন না।
৫ অক্টোবর, ১৯২৪ তারিখে ৪২ বছর বয়সে নাটালের মিনডেল রেলওয়ে সাইডিংয়ে রেল দূর্ঘটনায় টম ক্যাম্পবেলের দেহাবসান ঘটে।[২]
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ "Tom Campbell"। CricketArchive।
- ↑ "Obituaries in 1924"। Wisden।
আরও দেখুন সম্পাদনা
বহিঃসংযোগ সম্পাদনা
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে টম ক্যাম্পবেল (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে টম ক্যাম্পবেল (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)