টেড মিউলি

নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার
(Ted Meuli থেকে পুনর্নির্দেশিত)

এডগার মিল্টন মিউলি (ইংরেজি: Ted Meuli; জন্ম: ২০ ফেব্রুয়ারি, ১৯২৬ - মৃত্যু: ১৫ এপ্রিল, ২০০৭) তারানাকির হয়েরা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

টেড মিউলি
১৯৫৩ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে টেড মিউলি
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামএডগার মিল্টন মিউলি
জন্ম(১৯২৬-০২-২০)২০ ফেব্রুয়ারি ১৯২৬
হয়েরা, তারানাকি, নিউজিল্যান্ড
মৃত্যু১৫ এপ্রিল ২০০৭(2007-04-15) (বয়স ৮১)
অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি লেগ স্পিন
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ৫৯)
৬ মার্চ ১৯৫৩ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৪৫/৪৬অকল্যান্ড
১৯৫০/৫১ - ১৯৫৯/৬০সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টস
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৪২
রানের সংখ্যা ৩৮ ১৯১৪
ব্যাটিং গড় ১৯.০০ ২৬.২১
১০০/৫০ ০/০ ২/৬
সর্বোচ্চ রান ২৩ ১৫৪
বল করেছে - ৬৪৭
উইকেট - ১১
বোলিং গড় - ২৯.৯০
ইনিংসে ৫ উইকেট -
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং - ৬/৬৭
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/- ৯/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৮ জুন ২০২০

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ড ও সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন। এছাড়াও, ডানহাতে লেগ স্পিন বোলিং করতেন টেড মিউলি

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট সম্পাদনা

১৯৪৫-৪৬ মৌসুম থেকে ১৯৫৯-৬০ মৌসুম পর্যন্ত টেড মিউলি’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ও মাঝে-মধ্যে লেগ ব্রেক বোলিং করতেন টেড মিউলি। অকল্যান্ডের পক্ষে অল্প কয়েকটি খেলায় অংশগ্রহণের পর ১৯৪৭-৪৮ মৌসুমে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসে চলে যান।

টেড মিউলি ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন ও মাঝে-মধ্যে লেগ স্পিন বোলার হিসেবে আবির্ভূত হতেন। ১৯৪৫-৪৬ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার ও অকল্যান্ডের পক্ষে তিনটি খেলায় অংশ নেন। এরপর, ১৯৫০-৫১ মৌসুমে তিনি তার পরবর্তী প্রথম-শ্রেণীর খেলাগুলো সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের পক্ষে খেলেন। এ পর্যায়ে দলটি প্লাঙ্কেট শীল্ডে প্রথমবারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছিল। এ দলটির পক্ষেই ১৯৫৯-৬০ মৌসুম পর্যন্ত বাদ-বাকী খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেন। এছাড়াও, প্রথম-শ্রেণীবিহীন হক কাপ প্রতিযোগিতায় তারানাকি দলের পক্ষে ১৯৪৬-৪৭ মৌসুম থেকে ১৯৬৮-৬৯ মৌসুম পর্যন্ত খেলেছিলেন।

১৯৫২-৫৩ মৌসুমের প্লাঙ্কেট শীল্ড প্রতিযোগিতায় ৫২.৮৩ গড়ে ৩১৭ রান তুলেছিলেন তিনি। তন্মধ্যে, অকল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫৪ রান সংগ্রহ করেন। নিম্নমূখী রানের খেলায় দলের সংগ্রহ ৩১৯ হয়। খেলায় সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টস ইনিংস ব্যবধানে জয় তুলে নেয়।[১] এর এক সপ্তাহ পূর্বে ওতাগোর বিপক্ষে ৬/৬৭ পান।[২] এরপর, আরও একটি সেঞ্চুরি করেন তিনি। ১৯৫৬-৫৭ মৌসুমে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের বিপক্ষে নিম্নমূখী রানের খেলায় সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসকে ইনিংস ব্যবধানে জয় এনে দেন।[৩] প্লাঙ্কেট শীল্ডে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের প্রথম মৌসুমে এটিই প্রথম সেঞ্চুরি ছিল।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্পাদনা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন টেড মিউলি। ৬ মার্চ, ১৯৫৩ তারিখে ওয়েলিংটনে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

ওয়েলিংটনে সিরিজের প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলার জন্যে তাকে দলে নেয়া হয়। মাঝারিসারিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৫ ও ২৩ রান তুলেন। বোলিংয়ের সুযোগ পাননি তিনি। তবে, দক্ষিণ আফ্রিকা দলের ইনিংসটি ১৭৪ ওভারব্যাপী ছিল।[৪] দ্বিতীয় টেস্টে তিনিসহ আরও চারজন খেলোয়াড়কে দলের বাইরে রাখা হয়। ওয়েলিংটন টেস্টে অংশগ্রহণকারী এরিক ফিশারের সাথে তিনিও নিউজিল্যান্ডের পক্ষে এক টেস্টে অংশ নিয়ে আর খেলার সুযোগ পাননি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে প্রত্যাখ্যাত হবার পর তিনি ছয় সপ্তাহ প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণ করেননি। ১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে তার খেলার মান বেশ নিম্নমানের হতে থাকে। এক পর্যায়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটকে বিদেয় জানান তিনি।

১৫ এপ্রিল, ২০০৭ তারিখে ৮১ বছর বয়সে অকল্যান্ড এলাকায় টেড মিউলি’র দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা