সাইমন ব্রাউন

ইংরেজ ক্রিকেটার
(Simon Brown (cricketer) থেকে পুনর্নির্দেশিত)

সাইমন জন এমারসন ব্রাউন (ইংরেজি: Simon Brown; জন্ম: ২৯ জুন, ১৯৬৯) কাউন্টি ডারহামের ক্লিডন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

সাইমন ব্রাউন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামসাইমন জন এমারসন ব্রাউন
জন্ম২৯ জুন, ১৯৬৯
ক্লিডন, কাউন্টি ডারহাম, ইংল্যান্ড
ডাকনামচাবি
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনবামহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ৫৮১)
২৫ জুলাই ১৯৯৬ বনাম পাকিস্তান
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯১ - ২০০২ডারহাম
১৯৮৭ - ১৯৯১নর্দাম্পটনশায়ার
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১৫৯
রানের সংখ্যা ১১ ১৭৯৬
ব্যাটিং গড় ১১.০০ ১২.০৫
১০০/৫০ -/- -/২
সর্বোচ্চ রান ১০* ৬৯
বল করেছে ১৯৮ ২৮৭৩৫
উইকেট ৫৫০
বোলিং গড় ৬৯.০০ ২৮.৭২
ইনিংসে ৫ উইকেট - ৩৬
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ১/৬০ ৭/৫১
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/- ৪২/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডারহাম ও নর্দাম্পটনশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন ‘চাবি’ ডাকনামে পরিচিত সাইমন ব্রাউন

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট সম্পাদনা

১৯৮৭ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত সাইমন ব্রাউনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। লিকলিকে ও লম্বাটে গড়নের চাবি ব্রাউন ১৯৮৭ সালে নর্দাম্পটনশায়ারের পক্ষে তার খেলোয়াড়ী জীবনের সূচনা ঘটান। তবে, কার্টলি অ্যামব্রোস, উইনস্টন ডেভিস, গ্রেগ থমাসডেভিড ক্যাপেলের ন্যায় বোলারদের সাথে প্রথম একাদশে নিয়মিতভাবে খেলতে তাকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল।

১৯৯১ সালে তিনি নিজ কাউন্টি ডারহামের দিকে ধাবিত হন। পরের বছরই দলটি প্রথম-শ্রেণীর মর্যাদাপ্রাপ্ত হয়। ইংল্যান্ডের নতুন কাউন্টি দলের পক্ষে ধারাবাহিকভাবে উইকেট লাভ করতে থাকেন। কিন্তু এর জন্যে তাকে বেশ মাশুল গুণতে হয়। শুরুরদিকে কাউন্টি দলটিতে বোলিং আক্রমণ পরিচালনায় নবীন কিংবা বয়স্ক বোলারদেরকে খেলানো হয়। গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত বোলিংয়ের কারণে মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে তার খেলায় ছন্দপতন ঘটে। ৩০-এর কোটা অতিক্রম হলে প্রায়শঃই আঘাতের কবলে পড়তে থাকেন। তুলনামূলকভাবে বেশ আগেভাগেই তাকে ধীরে ধীরে বোলিং করা থেকে দূরে রাখা শুরু হয়।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্পাদনা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন সাইমন ব্রাউন। ২৫ জুলাই, ১৯৯৬ তারিখে লর্ডসে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। এছাড়াও, তাকে কোন ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হয়নি।

১৯৯০-এর দশকে ইংল্যান্ড দলে অংশগ্রহণকারী মার্ক ইলট, অ্যালান মুলালি, মাইক স্মিথপল টেলরের ন্যায় অগণিত বামহাতি বোলারদের অন্যতম ছিলেন তিনি। তন্মধ্যে, মাইক স্মিথের ন্যায় তিনিও এক টেস্টের বিস্ময়কারী ছিলেন। ১৯৯৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজস্ব একমাত্র টেস্টে অংশ নেন। ঐ টেস্টে তার দল পরাজয়বরণ করেছিল। নিজস্ব দশম বলে আমির সোহেলের উইকেট পান। এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে তিনি এ সফলতা পান। দৃশ্যতঃ তাকে বেশ প্রাণোচ্ছল দেখাচ্ছিল। সবমিলিয়ে তিনি দুই উইকেট লাভ করেছিলেন। এরপর আর তাকে ইংল্যান্ড দলে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

ইংল্যান্ডের সমর্থকেরাও তাকে আরেকটি সুযোগের প্রত্যাশা করছিলেন। এ প্রসঙ্গে সাইমন ব্রাউন মন্তব্য করেন যে, আমার আরও কয়েকটি খেলায় অংশগ্রহণের ইচ্ছে ছিল। তবে, গ্লুচেস্টারশায়ারের মাইক স্মিথের ন্যায় অন্যান্য বামহাতি বোলারদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। প্রকৃতই কি ঘটেছে আমি জানি না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে উপেক্ষিত হলেও কাউন্টি ক্রিকেটে তিনি ঠিকই তার উচ্চমার্গের বোলার হিসেবে নিজেকে উপস্থাপিত করতেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. [১] ESPNcricinfo, ESPN, সংগ্রহের তারিখ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২০

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা