পাওলিনিয়ো

ব্রাজিলীয় ফুটবলার
(Paulinho (footballer) থেকে পুনর্নির্দেশিত)

হোসে পাওলো বেজেরা মার্সিয়েল জুনিয়র, যিনি পাওলিনিয়ো নামে পরিচিত, (জন্ম: ২৫ জুলাই, ১৯৮৮) একজন পেশাদার ব্রাজিলীয় ফুটবলার যিনি চীনের দল গুয়াংজু এভারগ্রান্দে এবং ব্রাজিল জাতীয় দল এর হয়ে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার এবং ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেন।

পাওলিনিয়ো
২০১৮ সালে ব্রাজিলের হয়ে পাওলিনিয়ো
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম হোসে পাওলো বেজেরা মার্সিয়েল জুনিয়র
জন্ম (1988-07-25) ২৫ জুলাই ১৯৮৮ (বয়স ৩৫)
জন্ম স্থান সাও পাওলো, ব্রাজিল
উচ্চতা ১.৮১ মিটার (৫ ফুট ১১+ ইঞ্চি)
মাঠে অবস্থান মধ্যমাঠের খেলোয়াড়
ক্লাবের তথ্য
বর্তমান দল
গুয়াংজু এভারগ্রান্দে
জার্সি নম্বর
যুব পর্যায়
২০০৪-২০০৫ পাও দে আকুসার
জ্যেষ্ঠ পর্যায়*
বছর দল ম্যাচ (গোল)
২০০৬-২০০৭ এফসি ভিলনিয়াস ৩৮ (৫)
২০০৭-২০০৮ ইউকেএস উস ১৭ (০)
২০০৮-২০০৯ পাও দে আকুসার (০)
২০০৯-২০১০ ব্রাগানটিনো ২৮ (৬)
২০১০-২০১৩ করিন্তিয়াস ৮৬ (২০)
২০১৩-২০১৫ টটেনহ্যাম ৪৫ (৬)
২০১৫-২০১৭ গুয়াংজু এভারগ্রান্দে ৬৩ (১৭)
২০১৭– বার্সেলোনা ৩৪ (৯)
২০১৮– → গুয়াংজু এভারগ্রান্দে (ধারে) (০)
জাতীয় দল
২০১১– ব্রাজিল ৫৫ (১৩)
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক।
‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখ অনুযায়ী সঠিক।

পাওলিনিয়ো তার পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করে লিথুনিয়ার ক্লাব এফসি ভিলনিয়াস এর হয়ে ২০০৬ সালে। ২০০৭ সালে তিনি পোলিশ ক্লাব ইউকেএস উস এ যোগ দেন। ২০০৮ সালে তিনি ব্রাজিলের সাও পাওলোর পাও দে আকুসার ক্লাবে যোগ দেন যেখানে তিনি কৈশোরে প্রশিক্ষন নিয়েছেন। ২০০৯ সালে ব্রাজিলের ক্লাব ব্রাগানটিনো তে যোগ দেন পাওলিনিয়ো। ২০১০ সালে তিনি করিন্তিয়াস এ যোগ দেন যেখানে তিনি ২০১৩ সাল পর্যন্ত খেলেন। ২০১৩ সালে তিনি ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যাম এ যোগ দেন তৎকালীন ক্লাব রেকর্ড ১ কোটি ৭০ লক্ষ পাউন্ডে। ২০১৫ সালে তিনি চীনের ক্লাব গুয়াংঝু এভারগ্রান্দে তে যোগ দেন। ২০১৭ সালে বার্সেলোনা তাকে ৪ কোটি ইউরোর বিনিময়ে কিনে আনে। ২০১৮ সালে তিনি এক বছরের জন্য ধারে চীনা ক্লাব গুয়াংজু এভারগ্রান্দেতে ফিরে যান।

১৪ সেপ্টেম্বর ২০১১ পাওলিনিয়োর ব্রাজিল জাতীয় দল এ অভিষেক হয় আর্জেন্টিনা জাতীয় দল এর বিপক্ষে। তিনি ২০১৩ সালের ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন। তিনি টুর্নামেন্টের ব্রোঞ্জ বল অর্জন করেন। ২০১৭ সালে উরুগুয়ে জাতীয় দল এর বিপক্ষে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচে তিনি ব্রাজিলের হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিক করেন।

পরিসংখ্যান সম্পাদনা

ক্লাব সম্পাদনা

১৩ মে ২০১৮ পর্যন্ত হালনাগাদকৃত।
ক্লাব মৌসুম লিগ কাপ মহাদেশীয় অন্যান্য মোট
উপস্থিতি গোল উপস্থিতি গোল উপস্থিতি গোল উপস্থিতি গোল উপস্থিতি গোল
এফসি ভিলনিয়াস ২০০৬ ১৭ ১৭
২০০৭ ২১ ২১
মোট ৩৮ ৩৮
ইউকেএস উস ২০০৭-০৮ ১৭ ২২
মোট ১৭ ২২
পাও দে আকুসার ২০০৮ ১৯ ১৯
২০০৯ ২০ ২০
মোট ৩৯ ৩৯
ব্রাগানটিনো ২০০৯ ২৮ ২৮
২০১০ ১৮ ১৮
মোট ২৮ ১৮ ৪৬ ১৪
করিন্তিয়াস ২০১০ ২৭ ২৮
২০১১ ৩৫ ২০ ৫৬ ১১
২০১২ ২৩ ১৪ ১৫ ৫২ ১৩
২০১৩ ১৬ ২৫
মোট ৮৬ ২০ ২৪ ৫১ ১৬১ ৩৪
টটেনহ্যাম ২০১৩-১৪ ৩০ ৩৭
২০১৪-১৫ ১৫ ৩০
মোট ৪৫ ১৩ ৬৭ ১০
[গুয়াংজু এভারগ্রান্দে ২০১৫ ১৩ ২২
২০১৬ ৩০ ৪৪ ১১
২০১৭ ২০ ২৯ ১২
মোট ৬৩ ১৭ ১৯ ৯৫ ২৮
বার্সেলোনা ২০১৭-১৮ ৩৪ ৪৯
মোট ৩৪ ৪৯
সর্বমোট ৩১০ ৬৩ ২৮ ৬৫ ১৩ ১১৩ ২৬ ৫১৬ ১০৮

আন্তর্জাতিক সম্পাদনা

৬ জুলাই ২০১৮ পর্যন্ত হালনাগাদকৃত।
দল সাল উপস্থিতি গোল
ব্রাজিল
২০১১
২০১২
২০১৩ ১৬
২০১৪
২০১৬
২০১৭
২০১৮
মোট ৫৫ ১৩

অর্জন সম্পাদনা

ক্লাব সম্পাদনা

করিন্তিয়াস

  • ক্যাম্পিওনাতো ব্রাসিলিয়েরো সেরি এ: ২০১১
  • ক্যাম্পিওনাতো পাওলিসতা: ২০১৩
  • কোপা লিবার্তাদোরেস: ২০১২
  • ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ: ২০১২

গুয়াংজু এভারগ্রান্দে

বার্সেলোনা

আন্তর্জাতিক সম্পাদনা

ব্রাজিল

ব্যক্তিগত সম্পাদনা

  • সেরি এ বর্ষসেরা দল: ২০১১, ২০১২
  • সিলভার বল: ২০১১, ২০১২
  • কনফেডারেশন্স কাপ ব্রোঞ্জ বল: ২০১৩
  • চীনা সুপার লিগ বর্ষসেরা দল: ২০১৬

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা