গাব্রিয়েল বাতিস্তুতা
গাব্রিয়েল ওমার বাতিস্তুতা (স্পেনীয়: Gabriel Omar Batistuta, জন্ম ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯), একজন প্রাক্তন আর্জেন্টিনীয় পেশাদার ফুটবলার। ভক্তদের কাছে তিনি বাতিগোল বা এল আনহেল গাব্রিয়েল নামে সুপরিচিত। এই প্রখ্যাত আর্জেন্টিনীয় স্ট্রাইকার তার ক্যারিয়ারের অধিকাংশ সময়ই কাটিয়েছেন ইতালীয় ক্লাব ফিওরেন্তিনায়। সেখানে ৩১৮ খেলায় ১৮৪ গোল করে তিনি ইতালীয় সিরি এ-এর সর্বকালের এগারতম সর্বোচ্চ গোলদাতা।
 | ||||||||||||||||||||||||||||||||
| ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||
|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| পূর্ণ নাম | গাব্রিয়েল ওমার বাতিস্তুতা | |||||||||||||||||||||||||||||||
| জন্ম | ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ | |||||||||||||||||||||||||||||||
| জন্ম স্থান | রেকনকুইস্তা, আর্জেন্টিনা | |||||||||||||||||||||||||||||||
| উচ্চতা | ১.৮৫ মি (৬ ফু ১ ইঞ্চি) | |||||||||||||||||||||||||||||||
| মাঠে অবস্থান | স্ট্রাইকার | |||||||||||||||||||||||||||||||
| যুব পর্যায় | ||||||||||||||||||||||||||||||||
| ১৯৮৭–১৯৮৮ | নিওয়েলস ওল্ড বয়েজ | |||||||||||||||||||||||||||||||
| জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | ||||||||||||||||||||||||||||||||
| বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) | |||||||||||||||||||||||||||||
| ১৯৮৮–১৯৮৯ | নিওয়েল'স ওল্ড বয়েজ | ২৪[১] | (১[১]) | |||||||||||||||||||||||||||||
| ১৯৮৯–১৯৯০ | রিভার প্লেত | ২১[১] | (৪[১]) | |||||||||||||||||||||||||||||
| ১৯৯০–১৯৯১ | বোকা জুনিয়র্স | ৩০[১] | (১৩[১]) | |||||||||||||||||||||||||||||
| ১৯৯১–২০০০ | ফিওরেন্তিনা | ২৬৯ | (১৬৮) | |||||||||||||||||||||||||||||
| ২০০০–২০০৩ | রোমা | ৬৩ | (৩০) | |||||||||||||||||||||||||||||
| ২০০৩ | ইন্তারনাজিওনালে (ধার) | ১২ | (২) | |||||||||||||||||||||||||||||
| ২০০৩–২০০৫ | আল আরাবি | ২১ | (২৫) | |||||||||||||||||||||||||||||
| মোট | ৪৪০ | (২৪৯) | ||||||||||||||||||||||||||||||
| জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||
| ১৯৯১–২০০২ | আর্জেন্টিনা | ৭৮ | (৫৬) | |||||||||||||||||||||||||||||
অর্জন ও সম্মাননা
| ||||||||||||||||||||||||||||||||
| * কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে | ||||||||||||||||||||||||||||||||
আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে ৭৮ খেলায় ৫৬ গোল করে তিনি দলের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা। এছাড়া তিনি তিনটি বিশ্বকাপেও আর্জেন্টিনার হয়ে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি পরপর দুটি বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় হ্যাট্রিক করেছেন, যা একটি বিশ্ব রেকর্ড। ১৯৯৯ সালে, ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড় পুরস্কারে তিনি তৃতীয় স্থান অর্জন করেন।[২] ২০০৪ সালে তিনি ১২৫ জন জীবিত শ্রেষ্ঠ ফুটবলারের তালিকা ফিফা ১০০-তে স্থান পান।[৩] দূর্দান্ত ফিনিশিং, হেডিং এবং ফ্রি-কিক নেবার ক্ষমতার কারণে, তাকে তার সময়ের একজন অন্যতম পূর্ণ স্ট্রাইকার হিসেবে গন্য করা হয়। দিয়েগো মারাদোনা তার সম্পর্কে বলেছিলেন বাতিস্তুতা তার দেখা সেরা স্ট্রাইকার।[৪][৫]
১৯৯৩ সালে, যখন তার ক্লাব ফিওরেন্তিনার সিরি বি-তে অবনমন ঘটে তখন তিনি ক্লাবকে শীর্ষ বিভাগে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করেন। ১৯৯৬ সালে, ফিওরেন্তিনার সমর্থকগন বাতিস্তুতার একটি প্রতিমূর্তি তৈরি করেন। এটি তৈরি করা হয় ফিওরেন্তিনাতে তার কর্তৃত্বকে স্মরণ করে রাখার জন্য।[৬] ফিওরেন্তিনার হয়ে তিনি কখনও ইতালীয় লীগ জিতেননি, কিন্তু ২০০০ সালে রোমায় যোগ দেবার পর তিনি অবশেষে সিরি এ চ্যাম্পিয়নশিপ জিততে সক্ষম হন।[৭] ২০০৫ সালে অবসর গ্রহণের পূর্বে তিনি তার ক্যারিয়ারের শেষ পেশাদার মৌসুম পার করেন কাতারের ক্লাব আল আরাবিতে।[৮]
ক্লাব কর্মজীবন সম্পাদনা
ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা
কর্মজীবন পরিসংখ্যান সম্পাদনা
ক্লাব সম্পাদনা
| ক্লাব | মৌসুম | লীগ | কাপ[৯] | মহাদেশীয়[১০] | মোট | ||||
|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | ||
| নিওয়েল'স | ১৯৮৮-৮৯ | ২৪ | ৭ | — | ৫ | ৩ | ২৯ | ১১ | |
| রিভার প্লেত | ১৯৮৯-৯০ | ২১ | ৪ | — | — | ২১ | ৪ | ||
| বোকা জুনিয়র্স | ১৯৯০-৯১ | ৩০ | ১৩ | — | ১০ | ৬ | ৪০ | ১৯ | |
| ফিওরেন্তিনা | ১৯৯১–৯২ | ২৭ | ১৩ | ৩ | ১ | — | ৩০ | ১৪ | |
| ১৯৯২-৯৩ | ৩২ | ১৬ | ৩ | ৩ | — | ৩৫ | ১৯ | ||
| ১৯৯৩-৯৪ | ২৬ | ১৬ | ৪ | ৩ | ২ | ২ | ৩২ | ২১ | |
| ১৯৯৪-৯৫ | ৩২ | ২৬ | ৫ | ২ | — | ৩৭ | ২৮ | ||
| ১৯৯৫-৯৬ | ৩১ | ১৯ | ৮ | ৮ | — | ৩৯ | ২৭ | ||
| ১৯৯৬-৯৭ | ৩২ | ১৩ | ৩ | ২ | ৭ | ৪ | ৪২ | ১৯ | |
| ১৯৯৭-৯৮ | ৩১ | ২১ | ৫ | ৩ | — | ৩৭ | ২৪ | ||
| ১৯৯৮-৯৯ | ২৮ | ২১ | ৬ | ৪ | ৩ | ১ | ৩৭ | ২৬ | |
| ১৯৯৯-০০ | ৩০ | ২৩ | ৩ | ০ | ১১ | ৬ | ৪৪ | ২৯ | |
| রোমা | ২০০০-০১ | ২৮ | ২০ | ০ | ০ | ৩ | ১ | ৩১ | ২১ |
| ২০০১-০২ | ২৩ | ৬ | ১ | ০ | ৮ | ০ | ৩২ | ৬ | |
| ২০০২-০৩ | ১২ | ৪ | ২ | ১ | ৬ | ১ | ২০ | ৬ | |
| ইন্তারনাজিওনালে | ২০০২-০৩ | ১২ | ২ | — | — | ১২ | ২ | ||
| আল-আরাবি | ২০০৩-০৪ | ১৮ | ২৫ | ০ | ০ | — | ১৮ | ২৫ | |
| ২০০৪-০৫ | ৩ | ০ | ০ | ০ | — | ৩ | ০ | ||
| ফিওরেন্তিনায় সর্বমোট | ২৬৯ | ১৬৮ | ৪০ | ২৬ | ২৩ | ১৩ | ৩৩২ | ২০৭ | |
| কর্মজীবনে সর্বমোট | ৪৪০ | ২৪৯ | ৪৩ | ২৭ | ৪৭ | ২৪ | ৫১৬ | ৩০০ | |
সম্মাননা সম্পাদনা
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ন্যাশনাল-ফুটবল-টিমস.কমে গাব্রিয়েল বাতিস্তুতা (ইংরেজি)
- ↑ "Rivaldo on top of the world"। ফিফা। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৪।
- ↑ "Pele's list of the greatest"। BBC Sport। ৪ মার্চ ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১৩।
- ↑ Richards, Alex (২৫ এপ্রিল ২০১৩)। "Radamel Falcao: The Natural Heir to Gabriel Batistuta"। ব্লেচার রিপোর্ট। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৪।
- ↑ Fryer, Rupert (২৬ মার্চ ২০১৩)। "Why Messi will struggle to surpass Batistuta's Argentina record"। Goal.com। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৪।
- ↑ "Gabriel Batistuta - History - His Fans"। Gabrielbatistuta.net। ১০ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১৩।
- ↑ "Roma-scudetto, racconta il tuo 17 giugno 2001" (ইতালীয় ভাষায়)। Corriere dello Sport। ১৭ জুন ২০১২। ১২ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৪।
- ↑ "Argentine striker Gabriel Batistuta retires from soccer"। ইউএসএ টুডে Today। ১৪ মার্চ ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৪।
- ↑ এতে রয়েছে কোপ্পা ইতালিয়া, সুপারকোপ্পা ইতলিয়ানা এবং এমির অফ কাতার কাপের পরিসংখ্যান।
- ↑ এতে রয়েছে কোপা লিবের্তাদোরেস, অ্যাংলো-ইতালীয় কাপ, উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ, উয়েফা কাপ এবং উয়েফা কাপ উইনার্স কাপের পরিসংখ্যান।
বহিঃসংযোগ সম্পাদনা
- দাপ্তরিক ওয়েবসাইট
- আরএসএসএসএফ-এ আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান
- ন্যাশনাল-ফুটবল-টিমস.কমে গাব্রিয়েল বাতিস্তুতা (ইংরেজি)
- গাব্রিয়েল বাতিস্তুতা – চিত্র প্রোফাইল