বুখারা আমিরাত

বুখারা আমিরাত

ফার্সি: امارت بخارا
উজবেক: Buxoro amirligi
বুখারা আমিরাত; ফার্সি: امارت بخارا ; উজবেক: Buxoro amirligi
১৭৮৫–১৯২০
	পতাকা
	বুখারা আমিরাত (সবুজ), আনুমানিক ১৮৫০
অবস্থা	স্বাধীন রাষ্ট্র; (১৮৭৩-১৯১৭ পর্যন্ত রুশ নিরাপত্তায়)
রাজধানী	বুখারা
প্রচলিত ভাষা	ফার্সি (সরকারি) ; উজবেক ; চাগতাই
ধর্ম	ইসলাম, জরাথুস্ট্রবাদ ইহুদি
সরকার	সার্বভৌম রাজতন্ত্র
আমির
• ১৭৮৫–১৮৮০	মীর মাসুম শাহ মুরাদ
• ১৯১১–১৯২০	মুহাম্মদ আলিম খান
ইতিহাস
• Manghit control	১৭৪৭
• প্রতিষ্ঠা	১৭৮৫
• রাশিয়া কর্তৃক বিজিত	১৮৬৮
• রুশ প্রটেক্টরেট	১৮৭৩
• বিলুপ্ত	অক্টোবর ১৯২০
জনসংখ্যা
•	আনুমানিক ২,৪৭৮,০০০
• ১৯১১	আনুমানিক ৩,০০০,০০০-৩,৫০০,০০০
মুদ্রা	ফুলাস, টিলা, এবং টেনগা
পূর্বসূরী	উত্তরসূরী
	বুখারা খানাত
বুখারান পিপলস সোভিয়েত রিপাবলিক
বর্তমানে যার অংশ	উজবেকিস্তান; তাজিকিস্তান; তুর্কমেনিস্তান; কাজাখস্তান; আফগানিস্তান

বুখারা আমিরাত (ফার্সি: امارت بخارا; উজবেক: Buxoro amirligi) ছিল ১৭৮৫ সাল থেকে ১৯২০ সাল পর্যন্ত মধ্য এশিয়ার একটি রাষ্ট্র।^[৬]^[৭] আমু দরিয়া ও সির দরিয়া নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চল এই রাষ্ট্রের অন্তর্গত ছিল। আমিরাতের মূল অঞ্চল ছিল নিম্ন জারাফশান নদী, প্রাচীন শহর সমরকন্দ ও রাজধানী বুখারাসহ এর নগর কেন্দ্রসমূহ। এর পশ্চিমে ছিল খোয়ারিজমের খিভা খানাত এবং পূর্বে ফারগানার কোকান্দ খানাত। বর্তমানে এটি উজবেকিস্তানের অংশ।

ইতিহাস সম্পাদনা

বুখারার একজন সরকারি কর্মকর্তা, আনুমানিক ১৯১০

রেড আর্মির আক্রমণের সময় বুখারায় অগ্নিকাণ্ড, ১ সেপ্টেম্বর ১৯২০

বুখারা আমিরাত (উপরে), কাবুল (মধ্যে) এবং বালুচিস্তান (নিচে ডান)।

১৯০২-১৯০৩ সালে খিভা, বুখারা ও কোকান্দের রুশ রাজকীয় অঞ্চল

১৭৮৫ সালে মাঙ্গিত আমির শাহ মুরাদের ক্ষমতাগ্রহণের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বুখারা আমিরাত প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৬৮ সালে আমিরাত রুশদের সাথে যুদ্ধে পরাজিত হয়। রাশিয়া কর্তৃক গুরুত্বপূর্ণ সমরকন্দ শহরসহ আমিরাতের অধিকাংশ অঞ্চল একীভূত করে নেয়া হয়।^[৮] ১৮৭৩ সালে বাকি অংশ রুশ প্রটেক্টরেটে পরিণত হয়।^[৯]

রেড আর্মি ১৯২০ সালের মার্চে একটি ব্যর্থ আক্রমণ চালায়। তবে একই বছরের সেপ্টেম্বরের আক্রমণে তারা সফল হয়।^[১০] বলশেভিকরা বুখারা আমিরাত দখল করে বুখারান পিপল'স সোভিয়েত রিপাবলিক গঠন করে। বর্তমানে এই অঞ্চলের অধিকাংশ উজবেকিস্তানের অন্তর্গত। তবে কিছু অংশ তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, কাজাখস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যেও রয়েছে।

বুখারার আমির (১৭৮৫-১৯২০) সম্পাদনা

রাজকীয় নাম	ব্যক্তিগত নাম	শাসনকাল
আতালিক اتالیق	খুদায়ার বে خدایار بیگ	?
আতালিক اتالیق	মুহাম্মদ হাকিম محمد حکیم	?–১৭৪৭
আতালিক اتالیق	মুহাম্মদ রহিম محمد رحیم	১৭৪৭–১৭৫৩
আমির امیر	মুহাম্মদ রহিম محمد رحیم	১৭৫৩-১৭৫৬
খান خان	মুহাম্মদ রহিম محمد رحیم	১৭৫৬–১৭৫৮
আতালিক اتالیق	দানিয়াল বে دانیال بیگ	১৭৫৮–১৭৮৫
আমির মাসুম امیر معصوم	শাহ মুরাদ বিন দানিয়াল বে شاہ مراد بن دانیال بیگ	১৭৮৫–১৮৮০
আমির امیر	হায়দার তুরা বিন শাহ মুরাদ حیدر تورہ بن شاہ مراد	১৮০০–১৮২৬
আমির امیر	হুসাইন বিন হায়দার তুরা حسین بن حیدر تورہ	১৮২৬–১৮২৭
আমির امیر	উমর বিন হায়দার তুরা عمر بن حیدر تورہ	১৮২৭
আমির امیر	নাসরুল্লাহ বিন হায়দার তুরা نصراللہ بن حیدر تورہ	১৮২৭–১৮৬০
আমির امیر	মুজাফফরউদ্দিন বিন নাসরুল্লাহ مظفر الدین بن نصراللہ	১৮৬০–১৮৮৬
আমির امیر	আবদুল্লাহ বিন মুজাফফরুদ্দিন عبدل احد بن مظفر الدین	১৮৮৬–১৯১০
আমির امیر	মুহাম্মদ আলিম খান বিন আবদুল আহাদ محمد عالم خان بن عبدل احد	১৯১০–১৯২০
বুখারা আমিরাতের সমাপ্তি এবং বুখারান পিপল'স সোভিয়েত রিপাবলিক প্রতিষ্ঠা।

গোলাপি সারি দ্বারা বুখারার খানদের পক্ষ থেকে আতালিক ও উজির হিসেবে শাসক এবং সবুজ সারি দ্বারা জানীয়দের কাছ থেকে ক্ষমতা অধিকার করা শাসক বোঝানো হয়েছে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

↑ Roy, Olivier (২০০৭)। The New Central Asia: The Creation of Nations (ইংরেজি ভাষায়)। NYU Press। পৃষ্ঠা ৭০। আইএসবিএন 978-0-8147-7609-4।
↑ ""About the national delimitation in Central Asia""। ৪ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০২২।
↑ Grenoble, Lenore (২০০৩)। Language Policy of the Soviet Union। Kluwer Academic Publishers। পৃষ্ঠা 143। আইএসবিএন 1-4020-1298-5।
↑ Olufsen, Ole (1911). The emir of Bokhara and his country; journeys and studies in Bokhara. Gyldendal: Nordisk forlag. p. 282.
↑ ANS Magazine. "The Coinage of the Mangit Dynasty of Bukhara" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৫ জুলাই ২০২০ তারিখে by Peter Donovan. Retrieved: 16 July 2017.
↑ Gabriele Rasuly-Paleczek, Julia Katschnig (2005), European Society for Central Asian Studies. International Conference, p.31
↑ Golden, Peter B. (২০১১-০১-১৪)। Central Asia in World History (ইংরেজি ভাষায়)। Oxford University Press। আইএসবিএন 978-0-19-972203-7।
↑ Soucek (2000), পৃ. 198
↑ Russo-Bukharan War 1868, Armed Conflict Events Database, OnWar.com
↑ Soucek (2000), পৃ. 221–222

গ্রন্থপঞ্জি সম্পাদনা

Soucek, Svat (২০০০)। A History of Inner Asia। Cambridge University Press। আইএসবিএন 9780521657044।

সাহিত্য সম্পাদনা

Malikov, A. M. (২০১৪)। "The Russian conquest of the Bukharan Emirate: military and diplomatic aspects"। Central Asian Survey। 33 (2): 180। আইএসএসএন 0263-4937।

[1] Roy, Olivier (২০০৭)। The New Central Asia: The Creation of Nations (ইংরেজি ভাষায়)। NYU Press। পৃষ্ঠা ৭০। আইএসবিএন 978-0-8147-7609-4।

[2] ""About the national delimitation in Central Asia""। ৪ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০২২।

[3] Grenoble, Lenore (২০০৩)। Language Policy of the Soviet Union। Kluwer Academic Publishers। পৃষ্ঠা 143। আইএসবিএন 1-4020-1298-5।

[4] Olufsen, Ole (1911). The emir of Bokhara and his country; journeys and studies in Bokhara. Gyldendal: Nordisk forlag. p. 282.

[5] ANS Magazine. "The Coinage of the Mangit Dynasty of Bukhara" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৫ জুলাই ২০২০ তারিখে by Peter Donovan. Retrieved: 16 July 2017.

[6] Gabriele Rasuly-Paleczek, Julia Katschnig (2005), European Society for Central Asian Studies. International Conference, p.31

[7] Golden, Peter B. (২০১১-০১-১৪)। Central Asia in World History (ইংরেজি ভাষায়)। Oxford University Press। আইএসবিএন 978-0-19-972203-7।

[8] Soucek (2000), পৃ. 198

[9] Russo-Bukharan War 1868, Armed Conflict Events Database, OnWar.com

[10] Soucek (2000), পৃ. 221–222

[৬]

[৭]

[১]

[২]

[৩]

[৪]

[৫]

[৮]

[৯]

[১০]