সিরিল অলকট
সিরিল ফ্রান্সিস ওয়াল্টার অলকট (জন্ম: ৭ অক্টোবর, ১৮৯৬ - মৃত্যু: ১৯ নভেম্বর, ১৯৭৩) তাসমানের লোয়ার মুতেরে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩০ থেকে ১৯৩২ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১][২][৩]
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | সিরিল ফ্রান্সিস ওয়াল্টার অলকট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | লোয়ার মুতেরে, মোতুকার কাছাকাছি, তাসমান, নিউজিল্যান্ড | ৭ অক্টোবর ১৮৯৬|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৯ নভেম্বর ১৯৭৩ অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড | (বয়স ৭৭)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৫) | ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৩০ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৪ মার্চ ১৯৩২ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩ মার্চ ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ড, হকস বে ও ওতাগো দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন সিরিল অলকট।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সম্পাদনা১৯২০-২১ মৌসুম থেকে ১৯৪৫-৪৬ মৌসুম পর্যন্ত সিরিল অলকটের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। চমৎকার বামহাতি অল-রাউন্ডার হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছিলেন তিনি।
টেস্ট ক্রিকেটে খুব কমই সফলতা লাভে সক্ষম হয়েছিলেন। তবে, প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে বেশকিছু উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। ১৯২১ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত তার প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের ব্যাপ্তি ছিল। ১৯২৫-২৬ মৌসুমে সিডনিতে নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে ২৪৪ রান তুলেন। ডব্লিউ. আর. প্যাট্রিকের ১৪৩ ও তিনি ১১৬ রান তুলেন।
১৯২৭ সালে এজবাস্টনে ওয়ারউইকশায়ার দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে ৩০১ রানের জুটি গড়েন। সি. এস. ডেম্পস্টারের ১৮০ রানের পাশাপাশি নিজে করেছিলেন ১৩১ রান। এরপর, চিসউইকে সিভিল সার্ভিস দলের বিপক্ষে অষ্টম উইকেটে নিরবিচ্ছিন্নভাবে ১৯০ রান করেন। তার অপরাজিত ১০২ রানের পাশাপাশি জে. ই. মিলস অপরাজিত ১০৪ রান তুলেন।
ধীরগতিসম্পন্ন মিডিয়াম-পেস বোলার হিসেবে কিছু সুন্দর খেলা উপহার দিয়েছেন। ১৯২৭ সালে ওয়েস্ট-সাপার-মেয়ারে ৫ ওভার ৩ মেইডেন ৩ রান ৫ উইকেট পান। সমারসেটের ১৬২ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় অগ্রসর হলে ৬৭ রানে অল-আউট হয় ও ৯৪ রানে পরাভূত হয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনাসমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ছয়টিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন সিরিল অলকট। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩০ তারিখে অকল্যান্ডে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৪ মার্চ, ১৯৩২ তারিখে ওয়েলিংটনে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯২৭ ও ১৯৩১ সালে ইংল্যান্ড গমন করেন। নিজ দেশে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছিলেন। এছাড়াও, ১৯২৫-২৬ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া গমন করেছিলেন তিনি।
১৯ নভেম্বর, ১৯৭৩ তারিখে ৭৭ বছর বয়সে অকল্যান্ড এলাকায় সিরিল অলকটের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ List of New Zealand Test Cricketers
- ↑ "New Zealand Test Batting Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০২০।
- ↑ "New Zealand Test Bowling Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০২০।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে সিরিল অলকট (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে সিরিল অলকট (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)