২০১২ বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ

বাংলাদেশ পেশাদার ফুটবল লিগের দ্বিতীয় স্তরের প্রথম মৌসুম

২০১২ বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ (বিসিএল), বাংলাদেশ পেশাদার ফুটবল লিগের দ্বিতীয় স্তরের প্রথম মৌসুম যা মার্চ, ২০১২ তে শুরু হয়। উদ্বোধনী লিগে ৭টি দল [১] ডাবল-লিগ পদ্ধতিতে একে-অপরের সঙ্গে খেলে। কক্সসিটি স্পোর্টিং ক্লাব প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়[২]

প্রিমিয়ার ব্যাংক চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ
মৌসুম২০১২
চ্যাম্পিয়নকক্সসিটি এফসি

অংশগ্রহণকারী দলসমূহ ও ভেন্যু সম্পাদনা

বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের প্রথম মৌসুমে অংশগ্রহণের জন্য ১৫ দল আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন(বাফুফে)-এ আবেদনপত্র জমাকৃত দলগুলো ছিল-ওয়ারী ক্লাব, বাংলাদেশ বয়েজ ক্লাব, সিটি ক্লাব, উত্তর বারিধারা, ঢাকা ওয়ান্ডারার্স, নারায়ণগঞ্জ শুকতারা যুব সংসদ, মহাখালী একাদশ, সিলেট ফুটবল ক্লাব, কক্সসিটি ফুটবল ক্লাব, বাড্ডা জাগরণী সংসদ, অগ্রনী ব্যাংক লিমিটেড ও সিলেট বিয়ানীবাজার ক্লাব। বিয়ানীবাজার সিলেট ও নারায়ণগঞ্জ শুকতারা ক্লাব ২০১০ সালে ‘‘বি’’ লিগের মূল আসর খেলে নেমে গিয়েছিল। তেমনি ‘‘বি’’ লিগ থেকে বিদায় নেয়া চট্টগ্রাম আবাহনী ও চট্টগ্রাম মোহামেডান। বাফুফে আবেদনকারী ক্লাব গুলির সাক্ষাৎকার নেয় ২৫ ও ২৬ জুলাই,২০১১ তারিখে। অতঃপর নিম্নোল্লিখিত সাত দলকে লিগে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়ঃ[৩][৪]

 
 
ঢাকা
 
কক্সবাজার
২০১২ বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের দলগুলোর অবস্থান
ক্লাব শহর
আগ্রনী ব্যাংক স্পোর্টিং ক্লাব ঢাকা
বিয়ানীবাজার স্পোর্টিং ক্লাব সিলেট
চট্টগ্রাম আবাহনী চট্টগ্রাম
কক্সসিটি স্পোর্টিং ক্লাব কক্সবাজার
উত্তর বারিধারা স্পোর্টিং ক্লাব ঢাকা
ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব ঢাকা
ওয়ারী ক্লাব ঢাকা

বিসিএল-এর ভেন্যু বাফুফে কর্তৃক নির্ধারিত হয়[৫]। এই মৌসুমের দুই রাউন্ডের খেলা অনুষ্ঠিত হয় দুটি ভেন্যুতে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচ হয় । লিগের প্রথম রাউন্ড ঢাকার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ও দ্বিতীয় রাউন্ড কক্সবাজার জেলার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম-এ অনুষ্ঠিত হয়[৪]

চূড়ান্ত পয়েন্ট তালিকা সম্পাদনা

১২ ম্যাচে ৫ জয়, ৫ হার এবং ২ ড্র করে ২০ পয়েন্ট নিয়ে কক্স সিটি স্পোর্টিং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হয়[২]। লিগের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ আগামী বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ পাওয়া আর সবচেয়ে কম পয়েন্ট পাওয়া দলটি প্রথম বিভাগ লিগে নেমে যাওয়ার নিয়ম[৪][৫] থাকলেও শুধু চ্যাম্পিয়ন দলকে বিপিএল-এ উন্নীত করা হয়। কক্স সিটি ফুটবল ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হলে পরের মৌসুমে অর্থ সংকটের কারণে দল গঠন করে না পারায় বিপিএল খেলতে না চাইলে বাফুফে দলটিকে সব ধরনের প্রতিযোগিতা থেকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে [৬]। এই মৌসুমে পয়েন্ট তালিকার সর্বশেষে চট্টগ্রাম আবাহনী থাকলেও লিগ থেকে অবনমিত করা করা হয়নি।

নং দল খেলেছে জয় ড্র হার গপ গবি গপা পয়েন্ট
কক্সসিটি স্পোর্টিং ক্লাব ১২ ১৪ ১১ +৩ ২০
উত্তর বারিধারা স্পোর্টিং ক্লাব ১২ ১৫ +৬ ১৭
ওয়ারী ক্লাব ১২ ১৯ ১০ +৩ ১৭
বিয়ানীবাজার স্পোর্টিং ক্লাব ১২ ১০ +২ ১৬
আগ্রনী ব্যাংক স্পোর্টিং ক্লাব ১২ ১১ ১৫ -৪ ১৬
ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব ১২ ১০ ১৩ -৩ ১৯
চট্টগ্রাম আবাহনী ১২ ১৫ -৭

সূত্রঃ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন

স্পন্সরশিপ সম্পাদনা

বাফুফে এই মৌসুমের স্পন্সরদের থেকে ৩২ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করে। প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড এই মৌসুমের টাইটেল স্পন্সর করেছিল। 'টাইটেল স্পন্সর' হিসেবে ব্যাংকটি ২০ লক্ষ টাকা বাফুফে-কে প্রদান করে। এছাড়াও ডেসটিনি গ্রুপ এই মৌসুমের 'কো-স্পন্সর' ছিল। কো-স্পন্সর হিসেবে ডেসটিনি গ্রুও বাফুফে-কে ১২ লক্ষ টাকা প্রদান করে[৪]

আর্থিক পুরস্কার সম্পাদনা

এই মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন দলকে তিন লাখ টাকা এবং রানার্সআপকে দুই লাখ টাকার অর্থ পুরস্কার দেয়া হয়। এছাড়া স্পন্সর প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া অর্থের অর্ধেক ভাগ করে দেয়া হয় এই মৌসুমে অংশগ্রহণকারী সকল দলকে[৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "সোমবার থেকে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ"bangla.bdnews24.com। ২০১৯-০৫-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-৩০ 
  2. "কক্স সিটির স্বপ্নযাত্রা"www.prothom-alo.com। ২০১৯-০৫-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-৩১ 
  3. "বি লিগের দ্বিতীয় স্তর চালু হচ্ছে"দৈনিক সংগ্রাম। ২০১৬-০৩-০৫। Archived from the original on ২০১৬-০৩-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-৩০ 
  4. "সোমবার থেকে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ"bangla.bdnews24.com। ২০১৯-০৫-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-৩১ 
  5. "Premier Bank BCL 2012-13 Bylaws"archive.bff.com.bd। ২০১৯-০৬-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-৩১ 
  6. "একটি স্বপ্নের মৃত্যু"www.prothom-alo.com। ২০১৯-০৫-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-৩১