হোয়াই দেয়ার আর নো নয়নতারা ফ্লাওয়ার্স ইন আগারগাঁও কলোনি: স্টোরিস
হোয়াই দেয়ার আর নো নয়নতারা ফ্লাওয়ার্স ইন আগারগাঁও কলোনি: স্টোরিস বাংলাদেশি ঔপন্যাসিক শহীদুল জহিরের ছোটগল্প সংকলন যেটি বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন[২] ভারতীয় অনুবাদক ভি. রামস্বামী।[৩][৪] হার্পার পেরিনিয়াল থেকে সংকলনটি[১] ২০২২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়। বইটি প্রকাশের পর বিভিন্নভাবে সমালোচিত হয়েছে। ভারতীয় কবি ও লেখক জেরি পিন্টো একে অবিস্মরণীয় বলে মন্তব্য করেছেন।
লেখক | শহীদুল জহির |
---|---|
মূল শিরোনাম | Why There Are No Noyontara Flowers In Agargaon Colony : Stories |
অনুবাদক | ভি. রামস্বামী |
দেশ | ভারত |
ভাষা | ইংরেজি |
ধরন | ছোটগল্প সংকলন |
প্রকাশিত | ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২[১] |
প্রকাশক | হার্পার পেরিনিয়াল |
মিডিয়া ধরন | ছাপা (পেপারব্যাক) |
পৃষ্ঠাসংখ্যা | ২৮০ |
আইএসবিএন | ৯৭৮৯৩৫৬২৯০৩২৭ |
ওসিএলসি | ১৩৫৮৪০৪৪৫৫ |
সংকলনের নামটি ১৯৯১ সালে রচিত "আগারগাঁও কলোনিতে নয়নতারা ফুল কেন নেই" গল্প থেকে নেয়া, যেটি ডুমুরখেকো মানুষ ও অন্যান্য গল্প (১৯৯৯) ছোটগল্প সংকলনে প্রকাশিত হয়েছিল। সংকলনে দশটি ছোটগল্প সংকলিত হয়েছে,যার মধ্যে ছয়টি ডুমুরখেকো মানুষ ও অন্যান্য গল্প (১৯৯৯) এবং চারটি ডলু নদীর হাওয়া ও অন্যান্য গল্প (২০০৪) সংকলন থেকে নেয়া হয়েছে।
গল্পসমূহ সম্পাদনা
ক্রম | ইংরেজি শিরোনাম | মূল শিরোনাম | রচনাকাল | পূর্বে প্রকাশিত |
---|---|---|---|---|
১ | "Where Is My Heart's Wanderer" | "কোথায় পাব তারে" | ১৯৯৯ | ডলু নদীর হাওয়া ও অন্যান্য গল্প (২০০৪) |
২ | "The History of Our Cottage Industry" | "আমাদের কুটির শিল্পের ইতিহাস" | ১৯৯৫ | ডুমুরখেকো মানুষ ও অন্যান্য গল্প (১৯৯৯) |
৩ | "The Fig-Eating Folk" | "ডুমুরখেকো মানুষ" | ১৯৯২ | |
৪ | "The Breeze of the Dolu River" | "ডলু নদীর হাওয়া" | ২০০৩ | ডলু নদীর হাওয়া ও অন্যান্য গল্প (২০০৪) |
৫ | "The Woodcutter and the Ravens" | "কাঠুরে ও দাঁড়কাক" | ১৯৯২ | ডুমুরখেকো মানুষ ও অন্যান্য গল্প (১৯৯৯) |
৬ | "The Thorn" | "কাঁটা" | ১৯৯৫ | |
৭ | "Why There Are No Noyontara Flowers In Agargaon Colony" | "আগারগাঁও কলোনিতে নয়নতারা ফুল কেন নেই" | ১৯৯১ | |
৮ | "The Chronicle of Mohammed Selim's Life" | "এই সময়" | ১৯৯৩ | |
৯ | "Our Bokul" | "আমাদের বকুল" | ২০০০ | ডলু নদীর হাওয়া ও অন্যান্য গল্প (২০০৪) |
১০ | "The Monkey in the Moholla, Abdul Halim's Ma and Us" | "মহল্লায় বান্দর, আব্দুল হালিমের মা এবং আমরা" | ২০০০ |
সমালোচনা সম্পাদনা
গল্প সংকলনের নাম সম্পর্কে দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের দেবপ্রিয়া সান্যাল বলেছেন, (নামটি) একটি স্তরযুক্ত কাঠামোর মধ্যে, অস্তিত্বের ধারণা, বাস্তবতা, সেইসাথে মানুষ এবং প্রকৃতির মধ্যে সম্পর্ক অন্বেষণ করে।[৩] মঞ্জুলা পদ্মনাভন বলেছেন, আনুবাদক ভি. রামস্বামী এমন একটি শ্রমসাধ্য কাজ করেছেন যে শব্দগুলি ইংরেজিতে হলেও, লেখার সুগন্ধি বাংলা থেকে যায়।[২]
সিদ্ধার্থ দেব এটিকে হন্টিং এবং অ্যাপোক্যালিপ্টিক… ভবিষ্যতের সাহিত্য বলে আখ্যা দিয়েছেন।[৫] দ্য ওয়্যার-এর রাখছান্দা জলিল এটিকে সংক্ষিপ্ত, নির্ভুল, কম্প্যাক্ট … বর্তমানকে অস্থির করে এবং ভবিষ্যতের উপর অন্ধকার ছায়া ফেলে বলে মন্তব্য করেছেন।[৫] আন্যদিকে মিন্ট সংবাদপত্রের লেখক সোমক ঘোষাল বলেছেন: (এটি) একটি বিরল উপহার … জহির পরাবাস্তববাদী বিভ্রান্তির ঢেউয়ের সাথে কঠোর আঘাতকারী সামাজিক বাস্তবতাকে সংশ্লেষ করে এমন একটি শৈলী তৈরি করে যা পাঠককে টেনেরহুকগুলিতে রাখে।[৫]
ফ্রন্টলাইন সাময়িকীতে বলা হয়েছে সংকলনের দশটি গল্প ভাষা ও গল্প বলার গণ্ডির বাইরে গিয়ে লোককাহিনী, মৌখিক গল্প বলার ঐতিহ্য, জাদুবাস্তবতাকে আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক বাস্তবতার গভীর উপলব্ধির সাথে মিশ্রিত করে।[৬]
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ ক খ উপাধ্যায়, গুঞ্জন (২৯ অক্টোবর ২০২২)। "Why there are no Noyontara flowers in Agargaon colony: Stories" (ইংরেজি ভাষায়)। tuggunmommy। ২৮ অক্টোবর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ ক খ মঞ্জুলা, পদ্মনাভন (৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩)। "Shahidul Zahir's Why there are no Noyontara flowers in Agargaon colony" (ইংরেজি ভাষায়)। ইন্ডিয়া টুডে। ২০২৩-০২-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ ক খ সান্যাল, দেবপ্রিয়া (৬ নভেম্বর ২০২২)। "Fantastical folklore: 'Why There are No Noyontara Flowers in Agargaon Colony' by V Ramaswamy" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। ১৬ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ রামস্বামী, ভি. (৭ অক্টোবর ২০২২)। "Why There Are No Noyontara Flowers in Agargaon Colony"। ঢাকা ট্রিবিউন। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ ক খ গ "Why There Are No Noyontara Flowers In Agargaon Colony : Stories"। harpercollins.co.in (ইংরেজি ভাষায়)। হার্পার পেরিনিয়াল। ১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "Books on the shelves"। ফ্রন্টলাইন (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য হিন্দু গ্রুপ। ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২। আইএসএসএন 0970-1710। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।