হেমচন্দ্র বাগচী (১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯০৪ — ৪ এপ্রিল, ১৯৮৬) ছিলেন কল্লোল যুগের খ্যাতনামা বাঙালী কবি।[১]

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

নদিয়া জেলার গোকুলনগরে হেমচন্দ্র জন্মগ্রহণ করেন। ১০ বছর বয়েসে তিনি কৃষ্ণনগরের নিকট ঘুর্নিতে আসেন ও কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুল এ ভর্তি হন। ১৯২১ সালে প্রথম বিভাগে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কৃষ্ণনগর সরকারি কলেজ থেকে বি এস সি পাস করেন।[২] কলেজ জীবন থেকেই কবিতা লিখতেন। বিজ্ঞান তার পছন্দের বিষয় না হওয়ায় কলকাতার বঙ্গবাসী কলেজ থেকে বি এ পাস করেন ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম এ তে ভর্তি হন। ভবানীপুরের পদ্মপুকুর ইনস্টিটিউশনে শিক্ষকতা করতেন ও পরে রাজশাহী কলেজে অধ্যাপনার কাজ নিয়ে চলে যান।

সাহিত্য সম্পাদনা

কলকাতায় 'বাগচী এন্ড সন্স' প্রকাশনা সংস্থা খোলেন হেমচন্দ্র। একাধিক কবি ও সাহিত্যিকের বই বের করেছিলেন। বৈশ্বানর সাহিত্য পত্রিকা বের করতেন যদিও শারীরিক অসুস্থতার কারণে এই পত্রিকা স্থায়ী হয়নি। তার কাব্যগ্রন্থগুলি হল দ্বীপান্বিতা, তীর্থপথে, মানসবিরহ ইত্যাদি। তপনকুমারের অভিযান, কবিকিশোর, মায়া প্রদীপ ইত্যাদি শিশুসাহিত্য, কিছু ছোটগল্প ও একটি উপন্যাসও লিখেছিলেন তিনি। শেষজীবনে মানসিক অসুস্থতার শিকার হন রবীন্দ্রোত্তর যুগের অন্যতম কবি হেমচন্দ্র বাগচী।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Rāẏa, Jībendra Siṃha (১৯৮৬)। Ādhunika kabitāra mānacitra। De'ja Pābaliśiṃ। 
  2. "ইতিহাসপ্রেমী বাঙালির আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র কৃষ্ণনগর - West Bengal News 24"। ২০২০-১০-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-২৩