হিন্দু ধর্মে বাঙালি বৌদ্ধ দেবদেবী

টেমপ্লেট:তথ্য রেফারেন্স প্রয়োজন

চর্যাপদে উল্লেখিত বাঙালি বৌদ্ধ দেবদেবীগণের অধিকাংশই বর্তমান বাঙালি হিন্দু কর্তৃক উপাসিত হচ্ছেন। বর্তমানে বাংলার হিন্দুধর্মে বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি সংস্কৃতিতে বৌদ্ধ ধর্মের উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে। বাঙালি হিন্দু সংস্কৃতি প্রধানত শাক্ত, বৌদ্ধ ও শৈব ধর্মের মিশ্রণ। বাংলার তন্ত্র উপাসনাও হিন্দু ও বৌদ্ধ তন্ত্রের মিলিত ধারা। বাঙালি বৌদ্ধ ও হিন্দু উভয়ের মধ্যে উপাসিত দেবদেবীরা ( চর্যাপদে যাঁদের উল্লেখ রয়েছে) হলেন শ্রীমহাকাল, বাসলী(বাস্থালী), শ্রীউগ্রতারা প্রভৃতি।

শ্রীমহাকাল সম্পাদনা

চর্যাপদে বৌদ্ধ দেবতা হিসেবে উল্লেখ্য রয়েছে। তিনি হিন্দুধর্মের শিব বা মহাকালের অনুরূপ দেবতা। তার যে বর্ণনা পাওয়া গেছে গাত্রবর্ন নীল, লম্বোদর, ক্রোধাধিপাতি, কটিতে ব্যাঘ্র চর্ম, ত্রিনয়ন। নাগকুণ্ডল, নাগহার তার প্রসাধন। তিনি প্রেতে আরূঢ় হয়ে আছেন।

বাসলী(বাস্থালী) সম্পাদনা

চর্যাপদে উল্লেখিত বৌদ্ধদেবী, হিন্দুধর্মের কালীর অনুরূপ দেবী। তিনি তান্ত্রিক বৌদ্ধদেবী হিসেবে প্রসিদ্ধ তার ধ্যান মন্ত্রে উল্লেখ রয়েছে যে তিনি যোগিনী পরিবেষ্টিত রয়েছেন। তিনি জিহ্বা বের করে ভয়ঙ্কর রূপ - "লোল জিহ্বা ভয়ঙ্করা"। তিনি দিগম্বরী, মুক্তকেশী, কণ্ঠে নরমুন্ড মালা, শিরে সিঁদুর, নয়নে কজ্জল। ত্রিনয়না তিনি। হাতে খড়্গ ও করোটি। তিনি এক পায়ে হেরুক-বজ্ররায়কে চেপে ধরেছেন। উল্লেখ তিনি বৌদ্ধদেবতা হেরুকের গৃহিণী। তিনি শ্মশানবাসিনী অক্ষয় দুঃখ দূর করেন।

শ্রীউগ্রতারা সম্পাদনা

বৌদ্ধদেবী শ্রীউগ্রতারা সারাসরি হিন্দুধর্মে গৃহীত হয়েছে। তিনি বৌদ্ধতন্ত্রের দেবী আবার অন্যদিকে হিন্দুতন্ত্রের দশমহাবিদ্যার দ্বিতীয় বিদ্যা। গাত্রবর্ন নীল, বস্ত্র বলতে ব্যাঘ্রাম্বর, ত্রিনয়ন। তিনি চতুর্ভুজা, হাতে খড়্গ, নরকরোটি, কপাল ও নীলপদ্ম। শব তার পায়ে দলিত, তিনি লম্বোদর। পশ্চিমবঙ্গের তারাপীঠবর্গভীমা তার প্রসিদ্ধ মন্দির।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা