হিন্দু দর্শন
হিন্দু দর্শন বলতে বোঝায় প্রাচীন ভারতে উদ্ভূত একগুচ্ছ দর্শনের একটি সমষ্টি। এটি ভারতীয় দর্শনসমূহের একটি অংশ যা প্রাচীন বেদকে জ্ঞানের প্রামাণ্য ও গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসাবে স্বীকার করা হয়। মূল ধারার হিন্দু দর্শনের মধ্যে ছয়টি দার্শনিক শাখা বিদ্যমান, যাকে একত্রে ষড়দর্শন বলা হয়। এগুলো হল: সাংখ্য, যোগ, ন্যায়, বৈশেষিক, মীমাংসা ও বেদান্ত।[১] ষড়দর্শন বেদের প্রামাণ্যতা স্বীকার করে বলে একে আস্তিক দর্শনও বলা হয়।[২][note ১] প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় ভারতে আরও কয়েকটি দার্শনিক শাখার উদ্ভব ঘটেছিল যেগুলো বেদকে অস্বীকার করে কিছুটা একই ধরনের দার্শনিক ধারণা প্রচার করেছিল। এগুলো নাস্তিক দর্শন নামে পরিচিত।[১][২] ভারতীয় নাস্তিক দর্শনগুলো হল: বৌদ্ধধর্ম, জৈনধর্ম, চার্বাক, আজীবক এবং অন্যান্য।[৪] তবে এগুলোকে হিন্দু দর্শনের অংশ বলে অনেকে মনে করেন না। হিন্দু দর্শন বলতে কেবল আস্তিক দর্শনকেই বুঝানো হয়।[৫]
আস্তিক দর্শনের বিভিন্ন শাখাগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক এবং আস্তিক ও নাস্তিক শাখাগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ও পার্থক্য নিয়ে গবেষকদের মধ্যে মতভেদ আছে। ১৮শ ও ১৯শ শতাব্দীর ভারততত্ত্ববিদ ও প্রাচ্যবিদদের রচনা থেকে এই মতভেদের সূচনা। মনে রাখতে হবে, এঁদের রচনার উৎস সেই যুগে প্রাপ্ত অল্প কিছু ভারতীয় সাহিত্য গ্রন্থ ও মধ্যযুগীয় ধর্মগ্রন্থ।[১] হিন্দু দর্শনের বিভিন্ন পরস্পর-সম্পর্কযুক্ত ধারাগুলো বৈচিত্র্যপূর্ণ। ইতিহাস, ধারণা, একই মূল ধর্মগ্রন্থ, একই তত্ত্ববিদ্যা ও মুক্তিতত্ত্ব ও বিশ্বতত্ত্বের মাধ্যমে এগুলো পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।[৬][৭] বৌদ্ধ ও জৈনধর্মকে পৃথক দর্শন ও ধর্ম হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে চার্বাক ইত্যাদি কয়েকটি নাস্তিক শাখাকে হিন্দু দর্শনের অন্তর্গত মনে করা হয়।[৮][৯][১০]
ষড়দর্শনের একটি বা দুটি শাখার সঙ্গে সম্পর্ক-যুক্ত কয়েকটি আস্তিক্যবাদী উপশাখাও হিন্দু দর্শনের অন্তর্গত। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ন্যায়ের বাস্তববাদ, বৈশেষিকের প্রকৃতিবাদ, সাংখ্যের দ্বৈতবাদ, অদ্বৈত বেদান্তের অদ্বৈতবাদ ও মোক্ষলাভের জন্য আত্মজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তার ধারণা, যোগের আত্ম-নিয়ন্ত্রণ এবং কৃচ্ছ্রসাধন ও আস্তিক্যবাদী ধারণার বিভিন্ন উপাদান উল্লেখযোগ্য।[১১][১২][১৩] এই ধরনের দর্শনগুলোর থেকে পাশুপত শৈবধর্ম, শৈবসিদ্ধান্ত, প্রত্যভিজ্ঞ ও বৈষ্ণবধর্মের উৎপত্তি।[১১][১২] কোনো কোনো উপশাখায় কয়েকটি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অনুরূপ তান্ত্রিক ধারণার অবতারণা করা হয়েছে।[১৪] এই সব উপশাখাগুলো পুরাণ ও আগমে পাওয়া যায়।[১৫][১৬][১৭]
হিন্দু দর্শনের প্রত্যেকটি শাখার বিস্তারিত জ্ঞানতত্ত্বীয় সাহিত্য পাওয়া যায়। এগুলোকে ‘প্রমাণ বলা হয়।[১৮][১৯] এছাড়া প্রত্যেকটি শাখার অধিবিদ্যা, মূল্যবিদ্যা ও অন্যান্য বিষয়ের উপর তাত্ত্বিক গ্রন্থও পাওয়া যায়।[২০]
শ্রেণিবিন্যাস
সম্পাদনামধ্যযুগ থেকে ব্রাহ্মণেরা ভারতীয় দর্শনকে আস্তিক ও নাস্তিক – এই দুই ভাগে বিভক্ত করে এসেছে।[২১] হিন্দুধর্মের ইতিহাস অধ্যয়ন করলে দেখা যায়, হিন্দু দর্শনের ছয়টি প্রধান শাখা (ষড়দর্শন) খ্রিস্টের জন্মের সমসাময়িক কাল থেকে গুপ্ত সাম্রাজ্য বা খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতাব্দীর মধ্যে বিদ্যমান ছিল।[২২] এই দার্শনিক শাখাগুলোর মধ্যে বৈচিত্র্য ও প্রত্যেকটি প্রধান শাখার মধ্যে মতবাদের বিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো কোনো গবেষক অবশ্য প্রশ্ন তুলেছেন যে, হিন্দু দর্শনকে আস্তিক ও নাস্তিক – এই দুই ভাগে ভাগ করার প্রবণতাটি যথেষ্ট বা যথাযথ কিনা তা নিয়ে। অন্যদিকে এমন কিছু দার্শনিক উপশাখাও ছিল, যেগুলোর মধ্যে আস্তিক ও নাস্তিক উভয় মতবাদের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান ছিল।[২৩]
আস্তিক
সম্পাদনাঈশ্বরএ বিশ্বাসী নয় বরং প্রাচীন বেদএ বিশ্বাসী ব'লে নিম্নোক্ত ছয়টি দর্শনের আস্তিক অস্তিত্ব স্বীকৃত।[note ২] এগুলোর প্রত্যেকটিকে ‘দর্শন’ বলা হয়। প্রত্যেকটি দর্শনেই বেদের প্রামাণ্যতা ও ‘আত্মা’র অস্তিত্ব স্বীকার করা হয়।[২][২৪] আস্তিক দর্শনগুলো হল:
- সাংখ্য: নিরীশ্বরবাদী দর্শন। এই দর্শনে পুরুষ ও প্রকৃতির দ্বৈতবাদী তাত্ত্বিক ব্যাখ্যার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
- যোগ: এই দর্শনে ধ্যান, সমাধি ও কৈবল্যের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
- ন্যায় বা নীতিশাস্ত্র: এই দর্শনে ‘প্রমাণ’ বা জ্ঞানের উৎসের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়। ন্যায়সূত্র এই দর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ।
- বৈশেষিক: পরমাণুবাদের একটি অভিজ্ঞতাবাদী শাখা।
- মীমাংসা: অর্থোপ্র্যাক্সির একটি কৃচ্ছ্রসাধন-বিরোধী ও মরমিয়াবাদ-বিরোধী শাখা।
- বেদান্ত: বেদের সর্বশেষ জ্ঞানভাগ বা ‘জ্ঞানকাণ্ড’। মধ্যযুগের পরবর্তী পর্যায়ে হিন্দুধর্মে বেদান্ত দর্শন প্রাধান্য বিস্তার করে।
নাস্তিক
সম্পাদনাদর্শনের যে সকল শাখা বেদের প্রামাণ্যতা স্বীকার করে না, সেগুলোকে নাস্তিক দর্শন বলা হয়। নাস্তিক দর্শনগুলোর মধ্যে চারটি শাখা প্রধান:[৪]
- চার্বাক: একটি বস্তুবাদী শাখা যেটি স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির অস্তিত্বে বিশ্বাস করে।[২৫][২৬]
- আজীবক: একটি বস্তুবাদী শাখা যেটি স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির অস্তিত্ব অস্বীকার করে।[২৭][২৮]
- বৌদ্ধধর্ম: এই দর্শন আত্মার অস্তিত্ব অস্বীকার করে।[২৯] বৌদ্ধ দর্শনের ভিত্তি গৌতম বুদ্ধের উপদেশ ও বোধিলাভ।
- জৈনধর্ম: এই দর্শন আত্মার অস্তিত্ব স্বীকার করে। এই দর্শনের ভিত্তি তীর্থঙ্কর নামে পরিচিত চব্বিশজন ধর্মগুরুর উপদেশ ও বোধিলাভ। এই তীর্থঙ্করদের প্রথম হলেন ঋষভ এবং সর্বশেষ হলেন মহাবীর।[৩০]
অন্যান্য শাখা
সম্পাদনাপ্রধান আস্তিক্য ও নাস্তিক্যবাদী শাখাগুলোর পাশাপাশি কিছু কিছু উপশাখাও রয়েছে যেগুলো বিভিন্ন মতবাদকে যুক্ত করে নিজস্ব দর্শন খাড়া করেছে। মধ্যযুগীয় পণ্ডিত মধ্ব জৈনধর্ম ও বৌদ্ধধর্মের সঙ্গে এই জাতীয় নিম্নোক্ত উপশাখাগুলোকে হিন্দু দর্শনের উপশাখা বলে বর্ণনা করেছেন:[৩১][৩২]
- পাশুপত শৈবধর্ম: এই দর্শনের প্রবক্তা নকুলীশ।[৩৩]
- শৈবসিদ্ধান্ত: ঈশ্বরবাদী সাংখ্য শাখা।[৩৪][৩৫]
- প্রত্যভিজ্ঞ: কাশ্মীর শৈবধর্মের একটি প্রামাণ্য শাখা।[৩৬]
- রসেশ্বর: একটি শৈব শাখা, যেটি মনে করে পারদ ব্যবহার করে অমরত্ব অর্জন করা যায়।[৩৭]
- রামানুজ শাখা[৩৮]
- পূর্ণপ্রাজ্ঞ (মধ্বাচার্য) শাখা [৩৯]
- পাণিনীয়[৪০]
উপরিউক্ত উপশাখাগুলো ন্যায়ের বাস্তববাদ, বৈশেষিকের প্রকৃতিবাদ, অদ্বৈত বেদান্তের অদ্বৈতবাদ ও মোক্ষলাভের জন্য আত্মজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা, যোগের আত্ম-সংযম এবং ঈশ্বরবাদী ধারণাগুলোর নানা উপাদান গ্রহণ করে নিজস্ব দার্শনিক মতবাদ গড়ে তোলে।[১১] কোনো কোনো উপশাখায় বৌদ্ধধর্মের অনুরূপ তান্ত্রিক প্রভাবও দেখা যায়।[১৪]
বৈশিষ্ট্য
সম্পাদনাটীকা
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ Advaita, Vishishtadvaita and Dvaita have evolved from an older Vedanta school and all of them accept Upanishads and Brahma Sutras as standard texts.
- ↑ Vyasa wrote a commentary on the Yoga Sutras called Samkhyapravacanabhasya.(Radhankrishnan, Indian Philosophy, London, George Allen & Unwin Ltd., 1971 edition, Volume II, p. 344.)
- ↑ M Chadha (2015), in The Routledge Handbook of Contemporary Philosophy of Religion, states that Vedas were knowledge source but interpreted differently by different schools of Hindu philosophy: "The sacred texts of the Hindus, the Vedas, are variously interpreted by the six traditional Hindu philosophical schools. Even within a single school, philosophers disagree on the import of Vedic statements. (...) Hindu intellectual traditions must be understood as standing for the collection of philosophical views that share a textual connection. There is no single, comprehensive philosophical doctrine shared by all intellectual traditions in Hinduism that distinguishes their view from other Indian religions such as Buddhism or Jainism on issues of epistemology, metaphysics, logic, ethics or cosmology. The Vedas are regarded as Apauruseya, but by the same token, they are not the Word of God either.[৩]
- ↑ For an overview of the six orthodox schools, with detail on the grouping of schools, see: Radhakrishnan and Moore, "Contents", and pp. 453–487.
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ Andrew Nicholson (2013), Unifying Hinduism: Philosophy and Identity in Indian Intellectual History, Columbia University Press, আইএসবিএন ৯৭৮-০২৩১১৪৯৮৭৭, pages 2-5
- ↑ ক খ গ Klaus Klostermaier (2007), Hinduism: A Beginner's Guide, আইএসবিএন ৯৭৮-১৮৫১৬৮৫৩৮৭, Chapter 2, page 26
- ↑ M Chadha (2015), The Routledge Handbook of Contemporary Philosophy of Religion (Editor: Graham Oppy), Routledge, আইএসবিএন ৯৭৮-১৮৪৪৬৫৮৩১২, pages 127-128
- ↑ ক খ P Bilimoria (2000), Indian Philosophy (Editor: Roy Perrett), Routledge, আইএসবিএন ৯৭৮-১১৩৫৭০৩২২৬, page 88
- ↑ ভারতীয় দর্শন - অধ্যাপক প্রমোদবন্ধু সেনগুপ্ত - ব্যানার্জি পাবলিশার্স
- ↑ Frazier, Jessica (২০১১)। The Continuum companion to Hindu studies। London: Continuum। পৃষ্ঠা 1–15। আইএসবিএন 978-0-8264-9966-0।
- ↑ Carl Olson (2007), The Many Colors of Hinduism: A Thematic-historical Introduction, Rutgers University Press, আইএসবিএন ৯৭৮-০৮১৩৫৪০৬৮৯, pages 101-119
- ↑ R Thomas (2014), Hindu Perspectives on Evolution: Darwin, Dharma, and Design. Sociology of Religion, Vol. 75, No. 1, pages 164-165, Quote: "some of the ancient Hindu traditions like Carvaka have a rich tradition of materialism, in general, other schools..."
- ↑ KN Tiwari (1998), Classical Indian Ethical Thought, Motilal Banarsidass, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১২০৮১৬০৭৭, page 67; Quote: "Of the three heterodox systems, the remaining one, the Cārvāka system, is a Hindu system.";
- ↑ V.V. Raman (2012), Hinduism and Science: Some Reflections, Zygon - Journal of Religion and Science, 47(3): 549–574, Quote (page 557): "Aside from nontheistic schools like the Samkhya, there have also been explicitly atheistic schools in the Hindu tradition. One virulently anti-supernatural system is/was the so-called Carvaka school.", ডিওআই:10.1111/j.1467-9744.2012.01274.x
Bill Cooke (2005), Dictionary of Atheism, Skepticism, and Humanism, আইএসবিএন ৯৭৮-১৫৯১০২২৯৯২, page 84;
For a general discussion of Cārvāka and other atheistic traditions within Hindu philosophy, see Jessica Frazier (2014), Hinduism in The Oxford Handbook of Atheism (Editors: Stephen Bullivant, Michael Ruse), Oxford University Press, আইএসবিএন ৯৭৮-০১৯৯৬৪৪৬৫০, pages 367-378 - ↑ ক খ গ Klaus K. Klostermaier (1984), Mythologies and Philosophies of Salvation in the Theistic Traditions of India, Wilfrid Laurier University Press, আইএসবিএন ৯৭৮-০৮৮৯২০১৫৮৩, pages 124-134, 164-173, 242-265
- ↑ ক খ Flood 1996, পৃ. 132-136, 162-169, 231-232।
- ↑ Teun Goudriaan and Sanjukta Gupta (1981), Hindu Tantric and Śākta Literature, A History of Indian Literature, Volume 2, Otto Harrassowitz Verlag, আইএসবিএন ৯৭৮-৩৪৪৭০২০৯১৬, pages 7-14
- ↑ ক খ Klaus K. Klostermaier (1984), Mythologies and Philosophies of Salvation in the Theistic Traditions of India, Wilfrid Laurier University Press, আইএসবিএন ৯৭৮-০৮৮৯২০১৫৮৩, pages 219-223
- ↑ Klaus K. Klostermaier (1984), Mythologies and Philosophies of Salvation in the Theistic Traditions of India, Wilfrid Laurier University Press, আইএসবিএন ৯৭৮-০৮৮৯২০১৫৮৩, pages 28-35
- ↑ Jayandra Soni (1990), Philosophical Anthropology in Śaiva Siddhānta, Motilal Banarsidass Publishers, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১২০৮০৬৩২০, pages vii-xii
- ↑ Hilko Schomerus and Humphrey Palme (2000), Śaiva Siddhānta: An Indian School of Mystical Thought, Motilal Banarsidass Publishers, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১২০৮১৫৬৯৮, pages 13-19
- ↑ Potter 1991, পৃ. 172।
- ↑ Guttorm Fløistad 1993, পৃ. 137-154।
- ↑ Karl H. Potter (1961), A Fresh Classification of India's Philosophical Systems, The Journal of Asian Studies, Vol. 21, No. 1, pages 25-32
- ↑ Nicholson 2010।
- ↑ Students' Britannica India (2000), Volume 4, Encyclopedia Britannica, আইএসবিএন ৯৭৮-০৮৫২২৯৭৬০৫, page 316
- ↑ Potter 1991, পৃ. 98-102।
- ↑ John Plott, James Dolin and Russell Hatton (2000), Global History of Philosophy: The Axial Age, Volume 1, Motilal Banarsidass, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১২০৮০১৫৮৫, pages 60-62
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;bhattacarv
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;bronkhorst
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ James Lochtefeld, "Ajivika", The Illustrated Encyclopedia of Hinduism, Vol. 1: A–M, Rosen Publishing. আইএসবিএন ৯৭৮-০৮২৩৯৩১৭৯৮, page 22
- ↑ AL Basham (2009), History and Doctrines of the Ajivikas - a Vanished Indian Religion, Motilal Banarsidass, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১২০৮১২০৪৮, Chapter 1
- ↑ Steven Collins (1994), Religion and Practical Reason (Editors: Frank Reynolds, David Tracy), State Univ of New York Press, আইএসবিএন ৯৭৮-০৭৯১৪২২১৭৫, page 64; Quote: "Central to Buddhist soteriology is the doctrine of not-self (Pali: anattā, Sanskrit: anātman, the opposed doctrine of ātman is central to Brahmanical thought). Put very briefly, this is the [Buddhist] doctrine that human beings have no soul, no self, no unchanging essence.";
John C. Plott et al (2000), Global History of Philosophy: The Axial Age, Volume 1, Motilal Banarsidass, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১২০৮০১৫৮৫, page 63, Quote: "The Buddhist schools reject any Ātman concept. As we have already observed, this is the basic and ineradicable distinction between Hinduism and Buddhism"
KN Jayatilleke (2010), Early Buddhist Theory of Knowledge, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১২০৮০৬১৯১, pages 246–249, from note 385 onwards;
Katie Javanaud (2013), Is The Buddhist 'No-Self' Doctrine Compatible With Pursuing Nirvana?, Philosophy Now (2013, Subscription Required); - ↑ Paul Dundas (2002), The Jains, 2nd Edition, Routledge, আইএসবিএন ৯৭৮-০৪১৫২৬৬০৫৫, pages 1-19, 40-44
- ↑ Cowell and Gough (1882, Translators), The Sarva-Darsana-Samgraha or Review of the Different Systems of Hindu Philosophy by Madhva Acharya, Trubner's Oriental Series, pages 12-35
- ↑ Cowell and Gough (1882, Translators), The Sarva-Darsana-Samgraha or Review of the Different Systems of Hindu Philosophy by Madhva Acharya, Trubner's Oriental Series, pages 36-63
- ↑ Cowell and Gough (1882, Translators), The Sarva-Darsana-Samgraha or Review of the Different Systems of Hindu Philosophy by Madhva Acharya, Trubner's Oriental Series, pages 103-111
- ↑ Cowell and Gough (1882, Translators), The Sarva-Darsana-Samgraha or Review of the Different Systems of Hindu Philosophy by Madhva Acharya, Trubner's Oriental Series, pages 112-127
- ↑ King 2007, পৃ. 45।
- ↑ Cowell and Gough (1882, Translators), The Sarva-Darsana-Samgraha or Review of the Different Systems of Hindu Philosophy by Madhva Acharya, Trubner's Oriental Series, pages 128-136
- ↑ Cowell and Gough (1882, Translators), The Sarva-Darsana-Samgraha or Review of the Different Systems of Hindu Philosophy by Madhva Acharya, Trubner's Oriental Series, pages 137-144
- ↑ Cowell and Gough (1882, Translators), The Sarva-Darsana-Samgraha or Review of the Different Systems of Hindu Philosophy by Madhva Acharya, Trubner's Oriental Series, pages 64-86
- ↑ Cowell and Gough (1882, Translators), The Sarva-Darsana-Samgraha or Review of the Different Systems of Hindu Philosophy by Madhva Acharya, Trubner's Oriental Series, pages 87-102
- ↑ Cowell and Gough (1882, Translators), The Sarva-Darsana-Samgraha or Review of the Different Systems of Hindu Philosophy by Madhva Acharya, Trubner's Oriental Series, pages 203-220
- ↑ Mike Burley (2012), Classical Samkhya and Yoga - An Indian Metaphysics of Experience, Routledge, আইএসবিএন ৯৭৮-০৪১৫৬৪৮৮৭৫, pages 43-46
- ↑ Tom Flynn and Richard Dawkins (2007), The New Encyclopedia of Unbelief, Prometheus, আইএসবিএন ৯৭৮-১৫৯১০২৩৯১৩, pages 420-421
- ↑ Nyaya Realism, in Perceptual Experience and Concepts in Classical Indian Philosophy, Stanford Encyclopedia of Philosophy (2015)
- ↑ Dale Riepe (1996), Naturalistic Tradition in Indian Thought, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১২০৮১২৯৩২, pages 227-246
গ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনা- Chatterjee, Satischandra; Datta, Dhirendramohan (১৯৮৪)। An Introduction to Indian Philosophy (Eighth Reprint সংস্করণ)। Calcutta: University of Calcutta।
- Cowell, E. B.; Gough, A. E. (১৮৮২)। The Sarva-Darsana-Samgraha or Review of the Different Systems of Hindu Philosophy: Trubner's Oriental Series। Taylor & Francis। আইএসবিএন 978-0-415-24517-3।
- Dyczkowski, Mark S. G. (১৯৮৭)। The Doctrine of Vibration: An Analysis of the Doctrines and Practices of Kashmir Shaivism। Albany, New York: State University of New York Press। আইএসবিএন 0-88706-432-9।
- Guttorm Fløistad (২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩)। Philosophie asiatique/Asian philosophy। Springer Netherlands। আইএসবিএন 978-0-7923-1762-3।
- Flood, Gavin (১৯৯৬)। An Introduction to Hinduism। Cambridge University Press। আইএসবিএন 978-0-521-43878-0।
- Flood, Gavin (Editor) (২০০৩)। The Blackwell Companion to Hinduism। Malden, MA: Blackwell Publishing Ltd। আইএসবিএন 1-4051-3251-5।
- Flood, Gavin (২০০৫)। The Tantric Body: The Secret Tradition of Hindu Religion। I. B. Tauris। আইএসবিএন 1845110110।
- Grimes, John A. (১৯৮৯)। A Concise Dictionary of Indian Philosophy: Sanskrit Terms Defined in English। SUNY Press। আইএসবিএন 978-0-7914-0100-2।
- King, Richard (২০০৭), Indian Philosophy. An Introduction to Hindu and Buddhist Thought, Georgetown University Press
- Lochtefeld, James G. (২০০২)। The Illustrated Encyclopedia of Hinduism: N-Z। The Rosen Publishing Group। আইএসবিএন 978-0-8239-3180-4।
- Müeller, Max (১৮৯৯)। Six Systems of Indian Philosophy; Samkhya and Yoga, Naya and Vaiseshika। Calcutta: Susil Gupta (India) Ltd.। আইএসবিএন 0-7661-4296-5। Reprint edition; Originally published under the title of The Six Systems of Indian Philosophy.
- Nicholson, Andrew J. (২০১০), Unifying Hinduism: Philosophy and Identity in Indian Intellectual History, Columbia University Press
- Perrett, Roy W. (২০০০)। Philosophy of Religion। Taylor & Francis। আইএসবিএন 978-0-8153-3611-2।
- Potter, Karl H. (১৯৯১)। Presuppositions of India's Philosophies। Motilal Banarsidass Publishe। আইএসবিএন 978-81-208-0779-2।
- Radhakrishnan, S.; Moore, CA (১৯৬৭)। A Sourcebook in Indian Philosophy। Princeton। আইএসবিএন 0-691-01958-4।
আরও পড়ুন
সম্পাদনা- হিন্দুশাস্ত্র বেদ ঋগ্বেদ সামবেদ যজুর্বেদ অথর্ববেদ
- ঋগ্বেদীয় ঋষি
- সপ্তর্ষি
- Radhakrishnan, Sarvepalli; and Moore, Charles A. A Source Book in Indian Philosophy. Princeton University Press; 1957. Princeton paperback 12th edition, 1989. আইএসবিএন ০-৬৯১-০১৯৫৮-৪.
- Rambachan, Anantanand. "The Advaita Worldview: God, World and Humanity." 2006.
- Zilberman, David B., The Birth of Meaning in Hindu Thought. D. Reidel Publishing Company, Dordrecht, Holland, 1988. আইএসবিএন ৯০-২৭৭-২৪৯৭-০. Chapter 1. "Hindu Systems of Thought as Epistemic Disciplines".