হাজি মোহাম্মদ সিদ্দিক চৌধুরী
হাজি মোহাম্মদ সিদ্দিক চৌধুরী (১৯১২-২০০৪) পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রথম স্থানীয় সর্বাধিনায়ক ছিলেন, তিনি এ পদে ১৯৫৩ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে ১৯৫৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছিলেন।[১][২] পাকিস্তান স্বাধীন হবার পরে রাষ্ট্রটির প্রথম নৌ সর্বাধিনায়ক একজন ইংরেজ ছিলেন এবং তার নাম ছিলো রিয়ার অ্যাডমিরাল জেমস উইলফ্রেড জেফোর্ড।
হাজি মোহাম্মদ সিদ্দিক চৌধুরী | |
---|---|
পাকিস্তান নৌবাহিনীর সর্বাধিনায়ক | |
কাজের মেয়াদ ৩১ জানুয়ারি ১৯৫৩ – ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৯ | |
পূর্বসূরী | রিয়ার অ্যাডমিরাল জেমস উইলফ্রেড জেফোর্ড |
উত্তরসূরী | ভাইস অ্যাডমিরাল আফজাল রহমান খান |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | মোহাম্মদ সিদ্দিক চৌধুরী ১৯১২ বটালা, গুরুদাসপুর জেলা, পাঞ্জাব প্রদেশ (ব্রিটিশ ভারত) |
মৃত্যু | ২০০৪ (বয়স ৯১–৯২) করাচি, সিন্ধু প্রদেশ, পাকিস্তান |
নাগরিকত্ব | পাকিস্তান |
জাতীয়তা | পাকিস্তানি |
সামরিক পরিষেবা | |
শাখা | রাজকীয় ভারতীয় নৌবাহিনী পাকিস্তান নৌবাহিনী |
কাজের মেয়াদ | ১৯৩০-১৯৫৯ |
পদ | ভাইস অ্যাডমিরাল |
ইউনিট | এক্সিকিউটিভ শাখা |
যুদ্ধ | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ |
নৌ জীবন
সম্পাদনাহাজি মোহাম্মদ সিদ্দিক চৌধুরীর জন্ম বর্তমান ভারতের বটালাতে ১৯১২ সালে। ১৯৩১ সালে তিনি রাজকীয় ভারতীয় নৌবাহিনীতে কমিশন পেয়েছিলেন।[৩] ১৯৩৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি সাব লেফটেন্যান্ট হন এবং লেফটেন্যান্ট হন ১৯৩৬ সালে। ১৯৩৮ সালের ২৪শে মে যুদ্ধ জাহাজ এইচএমআইএস লরেন্সে নিয়োগ পেয়েছিলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি এই জাহাজে ছিলেন। তাকে টর্পেডো এবং অ্যান্টি সাবমেরিন যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিলো, ১৯৪২ সালে তাকে ব্রিটেন পাঠানো হয়েছিলো। ১৯৪৪ সালের ২৫ মার্চ তিনি ভারপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হিসেবে মাইনসুইপার এইচএমআইএস রোহিকান্দের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন। একই বছরের ১ সেপ্টেম্বর তার লেঃ কমান্ডার পদবীকে ভারপ্রাপ্ত থেকে প্রকৃত করা হয়।
তিনি ১৯৪৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার হন এবং যুদ্ধ জাহাজ এইচএমএস গোডাবারিতে নিয়োগ পান।[৪] ১৯৪৭ সালের জুলাইতে তিনি ভারপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন হন।
১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান স্বাধীন হয়, চৌধুরী পাকিস্তানে বসবাস করার সিদ্ধান্ত নেন এবং তিনি নবগঠিত রাজকীয় পাকিস্তান নৌবাহিনীর একজন সদস্য বনে যান।[৫] তার সার্ভিস নম্বর করা হয় পিএন - ০০০১।[৬] ১৯৫০ সালে তিনি কমোডোর হন, ১৯৫৩ সালের ৩১ জানুয়ারি জাতিগত ভাবে ব্রিটিশ জেমস উইলফ্রেড জেফোর্ড অবসরে গেলে চৌধুরীকে নৌবাহিনীর সর্বাধিনায়ক নিযুক্ত করা হয় এবং রিয়ার অ্যাডমিরাল পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।[৪] ১৯৫৯ সালের ১ মার্চ অ্যাডমিরাল আফজাল রহমান খান তার স্থলাভিষিক্ত হন, অবসর গ্রহণের দিন চৌধুরীকে ভাইস অ্যাডমিরাল পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Hussain, Captain Shahid (২৩ মার্চ ২০১২)। "A tryst with destiny"। The Nation। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ Katari, Admiral R. D. (৮ মে ২০১৪)। A Sailor Remembers (ইংরেজি ভাষায়)। Prabhat Prakashan। আইএসবিএন 978-9-3504-8778-5। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ ক খ Wasay, Rear Admiral Khalid (৯ মার্চ ২০০৪)। "Vice-Admiral Choudri"। Dawn। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ Askari, M. H. (২৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৪)। "HMS Choudri: crusader for peace"। Dawn। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ Kazi, KGN। "The first few executive officers transferred to the Pakistan Navy on Partition"। Flickr। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০১৬।