হলি ক্রস কলেজ, ঢাকা
হলি ক্রস কলেজ একটি ক্যাথলিক উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ। পবিত্র ক্রুশ সংঘের সন্ন্যাসিনীদের দ্বারা কলেজটি পরিচালিত হয়। এটি ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় অবস্থিত। এখানে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য তিন বিভাগে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে। কলেজটির বর্তমান অধ্যক্ষ পবিত্র ক্রুশ সংঘের সন্ন্যাসিনী শিখা গোমেজ।
হলি ক্রস কলেজ | |
---|---|
অবস্থান | |
, ১২১৫ | |
তথ্য | |
নীতিবাক্য | Spes Unica |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৫০ |
ইআইআইএন | ১৩১৯৬২ |
অধ্যক্ষ | শিখা গোমেজ |
শিক্ষকমণ্ডলী | ৪৫ জন |
শ্রেণি | ১০-১২ |
লিঙ্গ | বালিকা |
শিক্ষার্থী সংখ্যা | ২৫০০ |
শিক্ষায়তন | ০.৭৩৪৬১৮ একর (২,৯৭২.৮৯ মি২) |
ক্যাম্পাসের ধরন | শহুরে |
ডাকনাম | এইচসিসি |
বোর্ড | ঢাকা শিক্ষা বোর্ড |
ওয়েবসাইট | hcc.edu.bd |
ইতিহাস
সম্পাদনাভারত ভাগের পর ঢাকার আর্চবিশপ লরেন্স গ্রেইনার, সিএসসি পূর্ব পাকিস্তানে মেয়েদের শিক্ষা বিস্তারে পবিত্র ক্রুশ সংঘের (হলি ক্রস) সিস্টারদের বিশেষভাবে অনুরোধ জানালেন পূর্ব পাকিস্তানে মেয়েদের জন্য একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য। ১৯৫০ সাল, ১ নভেম্বর পাঁচ জন ছাত্রী নিয়ে হলি ক্রস কলেজের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। সিস্টার আগস্টিন মারী ১৯৫০ সালের ১ নভেম্বর থেকে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৬ সালে সিস্টার যোসেফ মেরী, সিএসসি কলেজের দ্বিতীয় অধ্যক্ষারূপে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত মিসেস গার্টি আব্বাস অধ্যক্ষা ছিলেন। ১৯৭২-২০১০ সালের ৩০শে জুন পর্যন্ত এই সুদীর্ঘকাল সিস্টার মেরিয়ান টিরিজা অধ্যক্ষা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এই অর্ন্তবর্তীকালীন বিভিন্ন সময়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন সিস্টার যোয়্যান, সিএসসি, সিস্টার রোজ বার্ণার্ড, সিএসসি, এবং সিস্টার যোসেফ মেরী, সিএসসি।বর্তমানে জুলাই ০১,২০১০ সাল থেকে অধ্যক্ষা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন সিস্টার শিখা গমেজ, সিএসসি।[১]
১৯৭৫ সালে কলেজের রজত জয়ন্তী এবং ২০০০ সালের কলেজের সুবর্ণ জয়ন্তী পালিত হয়। বর্তমানে ৪৫ জন দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক এখানে শিক্ষা ও অন্যান্য কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছেন। একাদশ, দ্বাদশ ও পরীক্ষার্থী মিলিয়ে ছাত্রী সংখ্যা প্রায় ২৫০০।
১৯৬০ সালে অ্যালামনায়েক এসোসিয়েশন আরম্ভ হয়।
কলেজ শুরুর পর্যায়ে শুধু মানবিক বিভাগ ছিল। ১৯৬২ সালে ঢাকা বোর্ডের অনুমোদনে এখানে বিজ্ঞান বিভাগ খোলা হয় এবং ২০০৫ সালে কলেজে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ খোলা হয়। ১৯৫৪ সালে কলেজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বি.এ ক্লাস ছিল। ১৯৭০ সালে তা বন্ধ করে দেয়া হয়। ১৯৫২ সাল থেকে কলেজ সংলগ্ন ছাত্রীহোস্টেল ছিল। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত কলেজে ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষাদান করা হত। ১৯৭২ সাল থেকে সরকারী নির্দেশ অনুযায়ী তা বাংলা মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়। ২০০৮ সালে কলেজের নবনির্মিত ভবন, অডিটোরিয়াম উদ্বোধন করা হয়েছে।
২০০৮ সাল থেকে কলেজে দ্বিতীয় শিফট চালু করা হয়।[২]
কলেজ ইউনিফর্ম
সম্পাদনাহলি ক্রস কলেজের ইউনিফর্ম সম্পূর্ণ সাদা রঙের। সাদা ফ্রক, সাদা পায়জামা, সাদা ওড়না, সাদা মোজা, সাদা জুতা, সাদা বেল্ট নিয়ে কলেজটির ইউনিফর্ম।[৩]
সহশিক্ষা কার্যক্রম
সম্পাদনা- বিভিন্ন ক্লাব: বিতর্ক ক্লাব, বিজ্ঞান ক্লাব,English Language Club, Business Club.
- বছরে একবার আর্ট কম্পিটিশন আয়োজন করা হয়।
- বার্ষিক ম্যাগাজিন: স্ক্রাইব, জ্যোতি,কেন্দ্রিকা
- শিক্ষামূলক ছবি প্রদর্শনী, সেমিনার আয়োজন
উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী
সম্পাদনা- শিরীন শারমিন চৌধুরী - বাংলাদেশের প্রথম নারী স্পিকার
- দীপু মনি - বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সমাজক্যাণ মন্ত্রী
- মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা - রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) এর পরিচালক
- সুবর্ণা মুস্তাফা - বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও সাবেক সাংসদ
- ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা- সাবেক সংসদ সদস্য।
- ফাহমিদা কাদের-একজন বিচারপতি।
- সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "History of Our College"। hccbd.com।
- ↑ "History of Our College"। hccbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-২৬।
- ↑ "College Uniform | hccbd.com"। hccbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-২৬।
বাংলাদেশের বিদ্যালয় বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |