হরিশ চন্দ্র মিত্র

বাঙালি লেখক

হরিশ চন্দ্র মিত্র (জন্ম ১৮৩৭ বা ১৮৩৮ - মৃত্যু ৪ এপ্রিল ১৮৭২) উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের একজন সাংবাদিক, লেখক ও কবি। তিনি ঢাকা থেকে প্রথম বাংলা পত্রিকা কবিতা কৌমুদি প্রকাশ করেছিলেন।[১] ১৮৬২ সালে বিধবাবিবাহ বিষয়ক তার একটি নাটক হচ্ছে ম্যাও ধরবে কে?[২] এবং ১৮৬৩ সালে বিধবাবিবাহ বিষয়ক তার অপর গ্রন্থের নাম হচ্ছে বিধবা বঙ্গাঙ্গনা[৩]

হরিশ চন্দ্র মিত্র
জন্মঢাকা
মৃত্যুএপ্রিল ৪, ১৮৭২(১৮৭২-০৪-০৪)
পেশাকবি, সাংবাদিক
ভাষাবাংলা
সময়কালউনিশ শতক

অবদান সম্পাদনা

হরিশ চন্দ্র মিত্র ঢাকায় সমাজ-সংস্কারের লক্ষ্যে, বিধবা বিবাহ প্রবর্তনের পক্ষে এবং বহুবিবাহ, পণপ্রথা ও যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। তিনি তার লেখায়, নাটকে, কবিতায় সামাজিক অগ্রগতির দিকচিহ্ন নির্দেশ করে গেছেন।[১] তার কবিতা কৌমুদির মোট ১২টি সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল। এর মধ্যে তিনটি সংস্করণের মুদ্রণ সংখ্যা জানা গেছে ৯০০০ কপি। বাকি ৯টি সংস্করণের মুদ্রণ সংখ্যা গড়ে আনুমানিক ২০০০ করে ধরলে ১৮,০০০ কপি হয়। অর্থাৎ ১২টি সংস্করণে প্রকাশিত হয়েছিল ২৭,০০০ কপি।[৪] তার লেখা একটি কবিতার বিখ্যাত চারটি লাইন হচ্ছে:-

 মহামূল্য পরিচ্ছদ রতন ভূষণ
 নরের মহত্ত্ব নারে করিতে বর্ধন।
 জ্ঞান-পরিচ্ছদ আর ধর্ম-অলঙ্কার,
 করে মানুষের মহত্ত্ব বিস্তার।

প্রকাশিত গ্রন্থ সম্পাদনা

  • হাস্যরসতরঙ্গিণী
  • ম্যাও ধরবে কে
  • ঘর থাকতে বাবুই ভেজে
  • কৌতুক শতক
  • সরল পাঠ
  • আদর্শ শ্রেণী
  • বীরবাক্যাবলী
  • জয়দ্রথবধ বৃত্তান্ত
  • কীচকবধ কাব্য
  • আগমনী
  • হতভাগ্য শিক্ষক
  • নির্বাসিতা সীতা
  • বঙ্গবালা
  • বিধবা বঙ্গাঙগনা প্রভৃতি।[৫]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. সন্তোষ গুপ্ত, অনালোকে আলোকস্তম্ভ, সময় প্রকাশন, ঢাকা; প্রথম প্রকাশঃ বইমেলা ২০০২; পৃষ্ঠা-৯৩-৯৬।
  2. শ্রী সুহাস চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত, মার্কসবাদ ও নন্দনতত্ত্ব, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুস্তক পর্ষদ, নভেম্বর, ১৯৯০, পৃষ্ঠা-১৪০
  3. স্বপন বসু, বাংলায় নবচেতনার ইতিহাস, পুস্তক বিপণি, কলকাতা, ডিসেম্বর, ১৯৮৫, পৃষ্ঠা-২৮০।
  4. মুনতাসীর মামুন, ঢাকার হারিয়ে যাওয়া বইয়ের খোঁজে, অনন্যা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি, ২০০৬, পৃষ্ঠা-১০৮।
  5. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৮৫৩