স্যামুয়েল টিকেল
কর্নেল স্যামুয়েল রিচার্ড টিকেল (১৯ আগস্ট, ১৮১১ - ২০ এপ্রিল, ১৮৭৫) একজন ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা, চিত্রশিল্পী ও পক্ষীবিদ। তার প্রধান কর্মক্ষেত্র ছিল ভারত ও বার্মায় (তৎকালীন মায়ানমার)।
স্যামুয়েল রিচার্ড টিকেল | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ২০ এপ্রিল ১৮৭৫ | (বয়স ৬৩)
জাতীয়তা | ব্রিটিশ |
পরিচিতির কারণ | পক্ষীবিজ্ঞান |
সংক্ষিপ্ত জীবনী
সম্পাদনাটিকেল ভারতের কটকে জন্মগ্রহণ করেন। ইংল্যান্ডে পড়াশোনা শেষ করে তিনি ভারতে ফিরে আসেন এবং উনিশ বছর বয়সে বেঙ্গল নেটিভ ইনফ্যান্ট্রিতে যোগদান করেন। ১৯৪০ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলায় অবস্থান করেন। পরবর্তীতে তাকে ব্রায়ান হজসনের রক্ষীবাহিনীর প্রধান করে কাঠমুন্ডুতে প্রেরণ করা হয়। ১৯৪৩ সালে তিনি বাংলায় ফেরৎ আসেন। ১৯৪৭ সালে তাকে ক্যাপ্টেন পদমর্যাদা দিয়ে মায়ানমারে পাঠানো হয়।
ভারতে অবস্থানকালে তিনি সেখানকার স্তন্যপায়ী ও পাখি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। পর্যবেক্ষণ ও নমুনা সংগ্রহের মাধ্যমে তিনি সে অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে নতুন নতুন মূল্যবান তথ্য আবিষ্কার করেন। জার্নাল অফ দ্য এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গল- এর ১৭তম খণ্ডে তিনি মূল্যবান অবদান রাখেন। ১৮তম খণ্ডে তিনি বার্মা সম্পর্কে একটি রিপোর্ট লেখেন। তিনি অর্নিথগনমোন ও ওল্ড লগ এই দুই ছদ্মনামে লিখতেন।[১]
১৮৬৫ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন এবং চ্যানেল দ্বীপপুঞ্জে স্থায়ী হন। ১৮৭০ সালে চোখের প্রদাহে তিনি তার দৃষ্টিশক্তি হারান। ইলাস্ট্রেশন অফ ইন্ডিয়ান অর্নিথোলজি নামক একটি বইয়ের উপর তিনি কাজ করছিলেন, দৃষ্টিশক্তি হারানোর ফলে তার এ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। মৃত্যুর আগে তার এ অসমাপ্ত কাজটি তিনি জ্যুলজিক্যাল সোসাইটি অব লন্ডনে দান করে যান। চেল্টেনহ্যামে ১৮৭৫ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
প্রজাতিসমূহ
সম্পাদনাকয়েক প্রজাতির নাম টিকেলের নামে রাখা হয়েছে। প্রজাতিগুলো হল:
- টিকেলের বাদামি ধনেশ, Anorrhinus tickelli
- টিকেলের দামা, Turdus unicolor
- টিকেলের ফুলঝুরি, Dicaeum erythrorhynchos
- টিকেলের পাতাফুটকি, Phylloscopus affinis
একটি প্রজাতির নাম তার স্ত্রীর নামে রাখা হয়েছে:
- টিকেলের নীলচুটকি, Cyornis tickelliae
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Walden, Arthur Viscount (১৮৭৬)। "Notes on the late Colonel Tickell's manuscript Work entitled "Illustrations of Indian Ornithology""। Ibis। 18 (3): 336–357। ডিওআই:10.1111/j.1474-919X.1876.tb06930.x।