স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ীদের তালিকা (২০০০–২০০৯)

পুরস্কারজয়ীগণের তালিকা
(স্বাধীনতা পুরস্কার (২০০০–০৯) থেকে পুনর্নির্দেশিত)

স্বাধীনতা পুরস্কার বাংলাদেশের জাতীয় এবং “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার”।[১] দেশ ও জাতির কল্যাণে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের উদ্দেশ্যে ১৯৭৭ সাল থেকে এই পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।[২] এই তালিকাটি ২০০০ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্তদের সম্পর্কিত সার-সংক্ষেপণ।

স্বাধীনতা পুরস্কার
প্রথম পুরস্কৃত১৯৭৭
সর্বশেষ পুরস্কৃত২০২৩
ওয়েবসাইটwww.cabinet.gov.bd

২০০০সম্পাদনা

২০০০ সালে ১০ জন ব্যক্তিত্বকে জাতীয় জীবনে তাদের অসাধারণ অবদানের জন্য “স্বাধীনতা পুরস্কার” সম্মাননায় ভূষিত করা হয়; যাদের মধ্যে ৪ জনকে “মরণোত্তর” সম্মাননা প্রদান করা হয়।

প্রতিকৃতি প্রাপক ক্ষেত্র মন্তব্য
  মরহুম মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ মরণোত্তর বিজয়ী
  মরহুম মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবদুর রব
বীর উত্তম
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ মরণোত্তর বিজয়ী
  সরদার ফজলুল করিম শিক্ষা
  সৈয়দ শামসুল হক সাহিত্য
  শিল্পী শাহাবুদ্দীন সংস্কৃতি
(চারুকলা)
মরহুমা সুলতানা কামাল (খুকী) ক্রীড়া ও খেলাধুলা মরণোত্তর বিজয়ী
  বিনোদ বিহারী চৌধুরী সমাজসেবা
ওস্তাদ খুরশিদ খান সংস্কৃতি
(সঙ্গীত)
  পণ্ডিত অজিত রায় সংস্কৃতি
(সঙ্গীত)
মরহুম রোকনুজ্জামান খান (দাদা ভাই) সংস্কৃতি
(শিশু সংগঠক)
মরণোত্তর বিজয়ী

২০০১সম্পাদনা

২০০১ সালে ১০ জন ব্যক্তিত্ব ও ১টি প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় জীবনে তাদের অসাধারণ অবদানের জন্য “স্বাধীনতা পুরস্কার” সম্মাননায় ভূষিত করা; যাদের মধ্যে ৮ জনকে “মরণোত্তর” সম্মাননা প্রদান করা হয়।

প্রতিকৃতি প্রাপক ক্ষেত্র মন্তব্য
শহীদ মশিউর রহমান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ মরণোত্তর বিজয়ী
মরহুম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ মরণোত্তর বিজয়ী
মরহুম এম. এ. আজিজ স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ মরণোত্তর বিজয়ী
শহীদ মোহাম্মদ ময়েজউদ্দিন স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ মরণোত্তর বিজয়ী
মরহুম রুহুল কুদ্দুস স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ মরণোত্তর বিজয়ী
শহীদ আমিনউদ্দিন স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ মরণোত্তর বিজয়ী
  শহীদ ডা. জিকরুল হক স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ মরণোত্তর বিজয়ী
প্রয়াত কবি সৈয়দা মোতাহেরা বানু সাহিত্য মরণোত্তর বিজয়ী
আশফাকুর রহমান খান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ
এম আর আখতার মুকুল সাংবাদিকতা
  বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ক্রীড়া ও খেলাধুলা প্রতিষ্ঠান

২০০২সম্পাদনা

২০০২ সালে ৪ জন ব্যক্তিত্ব ও ১টি প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় জীবনে তাদের অসাধারণ অবদানের জন্য “স্বাধীনতা পুরস্কার” সম্মাননায় ভূষিত করা; যাদের মধ্যে ৩ জনকে “মরণোত্তর” সম্মাননা প্রদান করা হয়।

প্রতিকৃতি প্রাপক ক্ষেত্র মন্তব্য
মরহুম এস এ বারী এটি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ মরণোত্তর বিজয়ী
মরহুম হাসান হাফিজুর রহমান সাহিত্য মরণোত্তর বিজয়ী
প্রয়াত পণ্ডিত বারীণ মজুমদার সংস্কৃতি
(সঙ্গীত)
মরণোত্তর বিজয়ী
আব্দুল লতিফ সংস্কৃতি
(সঙ্গীত)
ঢাকা আহ্‌ছানিয়া মিশন সমাজসেবা /
জনসেবা
প্রতিষ্ঠান

২০০৩সম্পাদনা

২০০৩ সালে ২ জন ব্যক্তিত্বকে জাতীয় জীবনে তাদের অসাধারণ অবদানের জন্য “স্বাধীনতা পুরস্কার” সম্মাননায় ভূষিত করা; তাদের উভয়কেই “মরণোত্তর” সম্মাননা প্রদান করা হয়। তবে, পরবর্তী সময়ে, মন্ত্রীপরিষদের মতামতের ভিত্তিতে ১ জনের সম্মাননা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

প্রতিকৃতি প্রাপক ক্ষেত্র মন্তব্য
  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের স্থপতি
মরণোত্তর বিজয়ী
  মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ মরণোত্তর বিজয়ী
(প্রত্যাহার কৃত)[৩]

২০০৪সম্পাদনা

২০০৪ সালে ৭ জন ব্যক্তিত্ব ও ৩টি প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় জীবনে তাদের অসাধারণ অবদানের জন্য “স্বাধীনতা পুরস্কার” সম্মাননায় ভূষিত করা; যাদের মধ্যে ৪ জনকে “মরণোত্তর” সম্মাননা প্রদান করা হয়।

প্রতিকৃতি প্রাপক ক্ষেত্র মন্তব্য
ব্রিগেডিয়ার (অবঃ) প্রফেসর ডা. আব্দুল মালিক চিকিৎসাবিদ্যা

২০০৫সম্পাদনা

২০০৫ সালে ১ জন ব্যক্তিত্ব ও ১টি প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় জীবনে তাদের অসাধারণ অবদানের জন্য “স্বাধীনতা পুরস্কার” সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।

প্রতিকৃতি প্রাপক ক্ষেত্র মন্তব্য
মোঃ মুজিবুল হক জনসেবা
চিত্র:Logo of ICDDR,B.png ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) জনসেবা প্রতিষ্ঠান

২০০৬সম্পাদনা

২০০৬ সালে ২টি প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় জীবনে তাদের অসাধারণ অবদানের জন্য “স্বাধীনতা পুরস্কার” সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।

প্রতিকৃতি প্রাপক ক্ষেত্র মন্তব্য
  বাংলাদেশ বেতার স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ প্রতিষ্ঠান
চিত্র:র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের লোগো.png র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র‌্যাব) জনসেবা প্রতিষ্ঠান

২০০৭সম্পাদনা

২০০৭ সালে ২টি প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় জীবনে তাদের অসাধারণ অবদানের জন্য “স্বাধীনতা পুরস্কার” সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।

প্রতিকৃতি প্রাপক ক্ষেত্র মন্তব্য
  বাংলাদেশ সেনাবাহিনী স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ
এবং
জনসেবা
প্রতিষ্ঠান
  ব্র্যাক সমাজসেবা প্রতিষ্ঠান

২০০৮সম্পাদনা

২০০৮ সালে ৩ জন ব্যক্তিত্ব ও ১টি প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় জীবনে তাদের অসাধারণ অবদানের জন্য “স্বাধীনতা পুরস্কার” সম্মাননায় ভূষিত করা হয়; যাদের মধ্যে ২ জনকে “মরণোত্তর” সম্মাননা প্রদান করা হয়।

প্রতিকৃতি প্রাপক ক্ষেত্র মন্তব্য
  বাংলাদেশ রাইফেলস্ স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ প্রতিষ্ঠান
  শহীদ ডক্টর মুহাম্মদ শামসুজ্জোহা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ মরণোত্তর বিজয়ী
  ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ মরণোত্তর বিজয়ী
  অধ্যাপক রেহমান সোবহান গবেষণা ও প্রশিক্ষণ

২০০৯সম্পাদনা

২০০৯ সালে ৪ জন ব্যক্তিত্বকে জাতীয় জীবনে তাদের অসাধারণ অবদানের জন্য “স্বাধীনতা পুরস্কার” সম্মাননায় ভূষিত করা হয়; যাদের মধ্যে ১ জনকে “মরণোত্তর” সম্মাননা প্রদান করা হয়।

প্রতিকৃতি প্রাপক ক্ষেত্র মন্তব্য
  আবদুল গাফফার চৌধুরী সাহিত্য
  আবদুল মতিন সংস্কৃতি
  আবুল মকসুদ হারুন অর রশীদ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  আইভি রহমান সমাজসেবা মরণোত্তর বিজয়ী

আরও দেখুনসম্পাদনা

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. সানজিদা খান (জানুয়ারি ২০০৩)। "জাতীয় পুরস্কার: স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার"। সিরাজুল ইসলামজাতীয়_পুরস্কারঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশআইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৭স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। 
  2. "স্বাধীনতা পদকের অর্থমূল্য বাড়ছে"কালেরকন্ঠ অনলাইন। ২ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৭ 
  3. "জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের সিদ্ধান্ত"দৈনিক ইত্তেফাক অনলাইন। ২৬ আগস্ট ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৭ 

বহিঃসংযোগসম্পাদনা