সৈয়দ মহিবুল হাসান
সৈয়দ মহিবুল হাসান বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার রাজনীতিবিদ যিনি তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য, তৎকালীন সিলেট-১৬ আসনের সংসদ সদস্য ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।[১]
সৈয়দ মহিবুল হাসান | |
---|---|
শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ২৪ নভেম্বর ১৯৭৯ – ২৪ নভেম্বর ১৯৮১ | |
জনশক্তি উন্নয়ন ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ২৪ নভেম্বর ১৯৮১ – ২৪ মার্চ ১৯৮২ | |
সিলেট-১৬ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ – ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | হবিগঞ্জ, ব্রিটিশ ভারত। (বর্তমান বাংলাদেশ) |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
রাজনৈতিক দল | জাতীয় পার্টি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মুসলিম লীগ |
দাম্পত্য সঙ্গী | সুরাইয়া হাসান |
সম্পর্ক | সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান (কন্যা) |
সন্তান | এক ছেলে এক মেয়ে |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাসৈয়দ মহিবুল হাসান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটের নরপতি হাবিলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তার স্ত্রী সুরাইয়া হাসান। এক মেয়ে এক ছেলে, মেয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আইনজীবী ও পরিবেশকর্মী এবং বর্তমানে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।[৩] [৪]
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনাসৈয়দ মহিবুল হাসান ১৯৬৪ সালের তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান প্রাদেশিক নির্বাচনে ফুল প্রতীক নিয়ে মুসলিম লীগের হয়ে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৫]
১৯৭০ সালের তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান প্রাদেশিক নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মানিক চৌধুরীর কাছে পরাজিত হন।
১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন সিলেট-১৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[১] এর পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে যোগদিয়ে জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভার শ্রম ও জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এবং আবদুস সাত্তারের মন্ত্রিসভায় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৬]
১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৩ আসন থেকে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির প্রার্থী চৌধুরী আবদুল হাইর কাছে জামানত হারান। এর পর জাতীয় পার্টিতে যোগদেন। ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ সালের এরশাদ সরকারের পতনের পর তিনি প্রকাশ্যে রাজনীতি থেকে দূরে চলে যান।
তিনি ৮ আগস্ট,২০২৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন।[৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "২য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "চুনারুঘাট ইউনিয়ন, প্রখ্যাতব্যক্তিত্ব"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৪-০৮-০৮)। "অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আছেন যাঁরা"। Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ নিজস্ব প্রতিবেদক (২১ এপ্রিল ২০১৪)। "সামাজিক মাধ্যমে বিতর্কের ঝড়"। দৈনিক কালের কণ্ঠ। ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (২০ এপ্রিল ২০১৪)। "সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ঘরেল"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ "চুনারুঘাট-মাধবপুরবাসী মন্ত্রী পেল ৪ জন মাহবুব আলী বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী"। প্রথম সেবা। ১১ জানুয়ারী ২০১৯। ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ "About: Syed Mahibul Hasan"। dbpedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |