সৈয়দ এমদাদ আলী
সৈয়দ এমদাদ আলী (১৮৭৫ - ৩ ডিসেম্বর ১৯৫৬) ছিলেন একজন বাঙালি কবি ও লেখক। তিনি ইসলামি মানবতাবাদের আলোকে সমাজের কল্যাণ কামনায় বিশ্বাসী ছিলেন।[১]
সৈয়দ এমদাদ আলী | |
---|---|
জন্ম | ১৮৭৫ খিলগাঁও গ্রাম, বিক্রমপুর, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান বাংলাদেশ) |
মৃত্যু | ৩ ডিসেম্বর ১৯৫৬ ঢাকা, পূর্ব পাকিস্তান, পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) | (বয়স ৮০–৮১)
পেশা |
|
ভাষা | বাংলা |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারতীয় (১৮৭৫-১৯৪৭) পাকিস্তানি (১৯৪৭-১৯৫৬) |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | জগন্নাথ কলেজ |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | খান সাহেব |
জন্ম
সম্পাদনাসৈয়দ এমদাদ আলী ১২৮২ বঙ্গাব্দের ১ আশ্বিন (১৮৭৫ খ্রিষ্টাব্দ) ঢাকা জেলার বিক্রমপুরের খিলগাঁও গ্রামে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। বিক্রমপুরের দামপাড়া তার পৈতৃক নিবাস ছিল।[১]
শিক্ষাজীবন
সম্পাদনাসৈয়দ এমদাদ আলী ১৮৯৫ সালে মুন্সীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর জগন্নাথ কলেজ থেকে তিনি আইএ পাশ করেন।[১]
কর্মজীবন
সম্পাদনাসৈয়দ এমদাদ আলী প্রথমে নেত্রকোণা দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এরপর পুলিশ বিভাগে সাব-ইনস্পেক্টর ও ইনস্পেক্টর হিসেবে নিযুক্ত হন।[১] কর্মজীবনের স্বীকৃতি হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তাকে খান সাহেব উপাধিতে ভূষিত করে।[১]
সাহিত্য
সম্পাদনাসৈয়দ এমদাদ আলী গদ্যশিল্পী হিসেবে সুনাম অর্জন করেছিলেন। ছাত্র থাকাকালীন সময় থেকে সাহিত্যের প্রতি উৎসাহী ছিলেন। মোসলেম হিতৈষী, মোসলেম ভারত, সওগাত ও বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকায় তার কবিতা ও প্রবন্ধ প্রকাশিত হত।[১][২] তার উল্লেখযোগ্য রচনার মধ্যে রয়েছে:
- ডালি (১৯১২)
- তাপসী রাবেয়া (১৯১৭)
- হাজেরা (১৯২৯)
সম্পাদনা
সম্পাদনাসাহিত্যচর্চা ছাড়াও তিনি পত্রিকা সম্পাদনায় জড়িত ছিলেন। নবনূর পত্রিকা তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হত।[১][৩]
মৃত্যু
সম্পাদনাসৈয়দ এমদাদ আলী ১৯৫৬ সালের ৩ ডিসেম্বর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।[১]