সৈয়দ আহমদ হাশমি

জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক

সৈয়দ আহমদ হাশমি (১৭ জানুয়ারি ১৯৩২ - ৪ নভেম্বর ২০০১) একজন ভারতীয় মুসলিম পণ্ডিত ও রাজনীতিবিদ। তিনি জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের সপ্তম সাধারণ সম্পাদক এবং যাত্রী সুবিধা কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দুই মেয়াদে ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় উত্তরপ্রদেশের প্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্য ছিলেন।

সৈয়দ আহমদ হাশমি
সদস্য, রাজ্যসভা (উত্তরপ্রদেশ)
কাজের মেয়াদ
৩ এপ্রিল ১৯৭৪ – ২ এপ্রিল ১৯৮০
কাজের মেয়াদ
৬ জুলাই ১৯৮০ – ৪ জুলাই ১৯৮৬
৭ম সাধারণ সম্পাদক, জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ
কাজের মেয়াদ
১১ আগস্ট ১৯৭৩ – ১৮ জানুয়ারি ১৯৮০
পূর্বসূরীআসআদ মাদানি
উত্তরসূরীআসরারুল হক কাসেমি
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম(১৯৩২-০১-১৭)১৭ জানুয়ারি ১৯৩২
মৃত্যু৪ নভেম্বর ২০০১(2001-11-04) (বয়স ৬৯)
দিল্লি, ভারত
ধর্মইসলাম
জাতীয়তাভারতীয়
আখ্যাসুন্নি
ব্যবহারশাস্ত্রহানাফি
যেখানের শিক্ষার্থী

জীবনী সম্পাদনা

১৯৩২ সালের ১৭ জানুয়ারি দ্বারভাঙ্গায় তার মাতামহের বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দ আহমদ হাশমি।[১][২] তিনি তার ভাই সাইয়্যিদ মুহাম্মদ হাশমির কাছে লালিত-পালিত হন। তিনি তাকে গাজীপুরের (উত্তরপ্রদেশ) মাদরাসায়ে দ্বীনিয়ায় ভর্তি করান। সেখানে আহমদ হাশমি ১৯৪০ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। তিনি ১৯৪৮ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত কলকাতার আলিয়া মাদ্রাসায় (বর্তমানে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়) উচ্চশিক্ষা লাভ করেন এবং ১৯৫৫ সালে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে স্নাতক হন।[২][৩] তিনি হুসাইন আহমদ মাদানির নিকট সহিহ বুখারিজামি আত-তিরমিযি অধ্যয়ন করেন।[৪]

হাশমি ১৯৫৭ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত কলকাতায় অবস্থান করেন এবং সেখানে আঞ্জুমানে নিদায়ে ইসলাম মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন এবং জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৩] তিনি সেখানে আর্মঘন ও কুন্দন নামের দুটি সাপ্তাহিক পত্রিকা চালু করেন এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার সাপ্তাহিক অর্মঘনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে এবং তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।[৩][৫] ১৯৭৪ থেকে ১৯৮০ এবং ১৯৮০ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন।[৬] তিনি ১৯৭৭ সালে দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন এবং ১৯৭৩ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[২] জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম কর্তৃপক্ষ তাকে তার সাপ্তাহিক আল-জমিয়তের ব্যবস্থাপক নিযুক্ত করে। তিনি অল ইন্ডিয়া মুসলিম মজলিসে মুশাওয়ারাত-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং সহ-সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড এবং বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটির সদস্য ছিলেন।[৩] তিনি যাত্রী সুবিধা কমিটির সদস্য ছিলেন এবং পরবর্তীতে এর চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন।[৫] পরবর্তী জীবনে তিনি জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মিল্লি জমিয়ত উলামা গঠন করেন, যার অস্তিত্ব কেবল কাগজে সীমাবদ্ধ ছিল।[২]

হাশমি ২০০১ সালের ৪ নভেম্বর দিল্লিতে মারা যান।[৭] তার জানাজার নামাজ পড়ান ফতেপুরী মাদরাসায়ে আলিয়ার তৎকালীন জ্যেষ্ঠ হাদিস অধ্যাপক আব্দুল গাফ্ফার।[৮]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Amini 2017, p. 583.
  2. "مولانا سید احمد ہاشمی ؒ (متوفیٰ۴؍نومبر ۲۰۰۱؁ء) ناظم عمومی جمعیۃ علماء ہند"Millat Times | A Leading Urdu English, Hindi News Portal and YouTube Channel। ২০১৭-১১-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-৩১ 
  3. Amini 2017, p. 584.
  4. Amini 2017, p. 569.
  5. "The Milli Gazette"www.milligazette.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-৩১ 
  6. RAJYA SABHA MEMBERS BIOGRAPHICAL SKETCHES 1952 - 2003 (পিডিএফ)। রাজ্যসভা। 
  7. Amini 2017, p. 563.
  8. Amini 2017, p. 585.

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা