সেন্ট্রাল লাইন (লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ড)
সেন্ট্রাল লাইন লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ড একটি রেলপথ, যা উত্তর লন্ডনের মধ্য দিয়ে উত্তর-পূর্বে এসেক্সের ইপিং থেকে পশ্চিম দিকে ইলিং ব্রডওয়ে ও পশ্চিম রুইস্লিপ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। টিউব মানচিত্রে লাল রঙযুক্ত এই রেলপথটি ৪৯ মাইল (৭৪ কিলোমিটার) দীর্ঘ পথে ৪৯ টি স্টেশন সরবরাহ করে।[৩] এটি বৃহত্তর লন্ডনের সীমানা অতিক্রমকারী আন্ডারগ্রাউন্ড নেটওয়ার্কের মাত্র দুটি লাইনের একটি, অন্যটি মেট্রোপলিটন লাইন। লন্ডনের অন্যতম গভীর-স্তরের রেলপথ সেন্ট্রাল লাইনের ট্রেনগুলি ব্রিটিশ মূল লাইনের ট্রেনের তুলনায় ছোট।
সেন্ট্রাল লাইন | |||
---|---|---|---|
![]() | |||
![]() | |||
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |||
ধরন | দ্রুতগামী গণপরিবহন | ||
সিস্টেম | লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ড | ||
স্টেশনসমূহ | ৪৯ | ||
যাত্রীসংখ্যা | ২৬০.৯১৬ মিলিয়ন (২০১১/১২)[১] যাত্রী ভ্রমণ | ||
Colour on map | লাল | ||
ওয়েবসাইট | tfl.gov.uk | ||
ক্রিয়াকলাপ | |||
উদ্বোধন | ৩০ জুলাই ১৯৯০ | ||
শেষ প্রসার | ১৯৪৯ | ||
বৈশিষ্ট্য | গভীর সুড়ঙ্গ | ||
ঘাঁটি(গুলি) | |||
রোলিং স্টকের ধরন | ১৯৯২ স্টক | ||
প্রযুক্তিগত | |||
রেলপথের দৈর্ঘ্য | ৭৪ কিলোমিটার (৪৬ মাইল) | ||
ট্র্যাক গেজ | ১,৪৩৫ মিমি (৪ ফুট ৮ ১/২ ইঞ্চি) স্ট্যান্ডার্ড গেজ | ||
|
তৃতীয় গভীর-স্তরের নির্মিত ও পূর্ব-পশ্চিম অক্ষে মধ্য লন্ডন অতিক্রমকারী টিউব লাইনটি ১৯০০ সালে সেন্ট্রাল লন্ডন রেলওয়ে হিসাবে খোলা হয়। পরে এটি পশ্চিম শহরতলি ইলিংয়ে প্রসারিত করা হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে রেলপথটি লন্ডনের সীমানা ও পূর্বের সীমানা পর্যন্ত স্টিম-হুলড বহিরাগত-শহরতলির পথ ধরে লাইনটি সম্প্রতি নির্মিত শহরতলিতে যথেষ্ট পরিমাণে প্রসারিত হয়। যুদ্ধে সময়ে নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ারর ফলে বিলম্ব হয়ে যায়া এবং অব্যবহৃত সুড়ঙ্গগুলি বিমান-আক্রমণে আশ্রয় কেন্দ্র ও কারখানা হিসাবে ব্যবহৃত হয়। তবে শহরতলির বৃদ্ধি প্রত্যাশার চেয়ে কম প্রমাণিত হয় এবং পরিকল্পিত প্রসারণগুলির একটি (ডেনহাম, বাকিংহ্যামশায়ারের কাছে) মেট্রোপলিটন গ্রিন বেল্টে অবস্থানের কারণে এবং অন্যটি (ওঙ্গারে) ১৯৯৪ সালে অবশেষে পৃষ্ঠপোষকতার অভাবের কারণে বন্ধ হয়; ইপিং এবং ওঙ্গারের মধ্যবর্তী বিভাগটি পরে ইপিং ওঙ্গার রেলওয়ের অংশ হয়ে যায়। ১৯৯০-এর দশকে একটি বড় সংস্কারের পরে সেন্ট্রাল লাইনটি বেশিরভাগ স্বয়ংক্রিয় ট্রেন পরিচালনার দ্বারা পরিচালিত হয়, যদিও সমস্ত ট্রেনে এখনও চালক থাকে। এর অনেকগুলি স্টেশন ঐতিহাসিক আগ্রহের বিষয়, শতাব্দীর অতিক্রমকারী পশ্চিম লন্ডনের সেন্ট লন্ডনের রেলওয়ে ভবন থেকে শুরু করে পশ্চিম রুইস্লিপ ও হেইনল্ট শাখায় যুদ্ধোত্তর আধুনিকতাবাদী নকশাগুলির পাশাপাশি স্ট্র্যাপফোর্ডের পূর্বে ভিক্টোরিয় যুগের ইস্টার্ন কোনটিএস রেলওয়ে ও ইস্টার্ন কোনটিএস রেলওয়ে ভবনগুলি, যখন ইপিং পর্যন্ত লাইনটি গ্রামীণ শাখার রেলপথ ছিল।
মোট যাত্রীদের ক্ষেত্রে সেন্ট্রাল লাইনটি আন্ডারগ্রাউন্ডে দ্বিতীয় ব্যস্ততম। লাইনটিতে ২০১৬/১৭ সালে ২৮০ মিলিয়নেরও বেশি যাত্রীর যাতায়াতের তথ্য নথিভুক্ত করা হয়।[৪] এটি বর্তমানে নেটওয়ার্কের দ্বিতীয় ঘন ঘন পরিষেবাটি পরিচালনাকারী, সকালের ব্যস্ত সময়ে পশ্চিম দিকে দের ঘণ্টা ধরে প্রতি ঘণ্টায় (টিপিএফ) ৩৪ টি ট্রেন পরিচালনা করে এবং ব্যস্ত সময়ের বাকী অংশে প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ২৭ থেকে ৩০ টির ট্রেন চলাচল করে।[৫] এটি সেন্ট্রাল লাইনটিকে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে ব্যস্ততম এবং সবচেয়ে নিবিড়ভাবে ব্যবহৃত রেলপথে পরিণত করে: এটি পূর্ব-পশ্চিম অক্ষে কেন্দ্রীয় লন্ডনের মধ্য দিয়ে, অক্সফোর্ড স্ট্রিটের তলদেশ দিয়ে ও লন্ডন শহরের আর্থিক কেন্দ্রের নিচ দিয়ে দিয়ে চলমান একমাত্র টিউব লাইন। ২০২০ সালের শেষ দিকে বা ২০২১ সালের প্রথম দিকে ক্রসরেল তার মূল পরিচালনার বেশিরভাগ অংশ চালু করলে[৬] স্ট্রাটফোর্ড, লিভারপুল স্ট্রিট, টটেনহ্যাম কোর্ট রোড, বন্ড স্ট্রিট এবং ইলিং ব্রডওয়েতে সেন্ট্রাল লাইনের সাথে সংযোগ সরবরাহ করবে, যা এই অঞ্চলের উপচে পড়া ভিড় থেকে মুক্তিদেবে।[৭]
ট্রেনগুলি বর্তমানে সিএলআইপি (সেন্ট্রাল লাইন ইমপ্রুভমেন্ট প্রোগ্রাম) নামে পরিচিত একটি সংস্কার প্রোগ্রামের অধীনে চলছে। হুইলচেয়ার অঞ্চল ও সিসিটিভি এর সাথে ট্রেনে যাত্রীবাহী তথ্য প্রদর্শন করা হবে। অতিরিক্ত হিসাবে এটি মোটর, এলইডি আলো, দরজা এবং আসনগুলির সংস্কার অন্তর্ভুক্ত করবে।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "LU Performance Data Almanac" (2011/12 সংস্করণ)। Transport for London। ৩ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০১২।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Tfl Key Facts
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Line Facts
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "Up to date per line London Underground usage statistics"। TheyWorkForYou। ২৯ এপ্রিল ২০১৮। ২ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Central Line Timetable" (PDF)। TfL। ১৫ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৫।
- ↑ "Crossrail Project Update"। Crossrail (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০১।
- ↑ "Tube Map"। TfL। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৫।